ভাল কথার দাম নাই, ভাল মানুষের দাম নাই। একটু চালাক হও, এত সত্যবাদী, সততা দিয়ে কি করবা বল ? বাস্তবতার সাথে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা কর। নিজের উপকার হবে।
উপরের কথা গুলো এখন সমাজে চলতে গেলে এ ধরনের কথার সম্মুখীন হতেই হয়। একটা ছেলে যখন ছোটবেলায় স্কুলে যায় তখন মনে হয় আদর্শের কথা গুলো সবচেয়ে বেশী শোনানো হয়, একটু একটু করে সে যখন বড় হতে থাকে তার বাস্তবতার সাথে শিক্ষার কিছু মিল থাকেনা।
যখন সে পরিপূর্ণ মানুষ তখন তাকে বাস্তবতা শিখতে হয়। ভাল মন্দ তখন বিচার করতে নেই আশেপাশের পরিবেশ তাকে তাই বলে। মানুষের মূল্য মনুষ্যত্বে ? কে বলছে ভাই, ক্ষমতা আর টাকা মানুষের মাপকাঠি। আমাদের সমাজটা কোন অংশটা আছে সুস্থ ? সমাজ আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে যখন মানুষে মানুষে সম্পর্কটা যখন ব্যবসায়িক হয়ে উঠে। এখন চাকরির যোগ্যতায় দেখা হয় আপনি কতটুকু সামাজিক।
এই সামাজিকতা স্কুলে পড়ানো সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া না এই সামাজিকের অপর নাম আপনি মানুষকে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারেন। প্রভাবিত করতে গিয়ে আপনি যে পন্থাই অবলম্বন করুন না কেন সেটা মুখ্য নয় এখন। এখন ব্যবসায়িক সমাজ।
আপনি বাচলে বাপের নাম। বাচাটা সম্মানীয় কিনা ভাবার সময় নাই।
দেশের মাথারা অবলীলায় কিভাবে ক্ষমতাবান রয়ে যাচ্ছে খেয়াল করলেই তো একটা শিশু ভবিষ্যতে ক্ষমতাবান হতে পারবে, বড় হতে পারবে। কেন শুধু শুধু মাথামোটা মানুষের আদর্শের, তাদের মহান জীবনী, তাদের আবিষ্কারের কতগুলো বই পড়ায় ছোটবেলায়। স্কুলে ফার্স্ট হলে স্কুল পর্যন্তই কেননা বাস্তব জীবনে তার ক্লাসের শেষ বেঞ্ছের মারমুখী ছেলেটা এখন তার এলাকার সমাজসেবী। কতসম্মান দেয় এলাকার লোকজন তাকে। স্কুলের প্রথম হওয়া ছেলেটি তখনই সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় পড়ে যখন তাকে ভোট দেওয়ার জন্য মন্দের ভাল হিসেবে মারমুখী ছেলেটাকে বেছে নিতে হয়।
আসলে আমরাই এখন কাকে সম্মান দিতে হবে সেটা অনেক সময় বুঝতে পারিনা। হয়তবা নিজের স্বার্থের জন্য বুঝলেও উপযুক্তকে সম্মান দিই না।
তবুও নিজের সন্তানদের ওই বইয়ের আদর্শটাই শিখাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।