বাংলাদেশের প্রায় ৯০ ভাগের বেশি শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণ করে স্কুলের কেরানিরা। তাই অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের আসল জন্ম তারিখের সাথে সার্টিফিকেটের কোনো মিল নেই। বয়স কমানো হলে চাকরির ক্ষেত্রে আবেদন করার সুযোগ বেশি পাওয়া যায় এমন ধারণার বশবর্তী হয়ে অধিকাংশ মা-বাবা তাদের সন্তানের সয়স কমিয়ে লেখে। এছাড়াও কেরানিদের অযথা নাক গলানো তো আছেই।
আমার ছোট বোনকে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করানোর ব্যাপারেও এমন পদক্ষেপ নিয়েছে আমার মা-বাবা।
তাদের যুক্তি, এক বছর দেরিতে ভর্তি করানো হয়েছে তাই বয়স কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বললাম, আল্লাহ না করুন যদি কখনো ওর এক বছর ড্রপ হয়। কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি আমার মা-বাবা।
বাংলাদেশের সামাজিক ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, বিয়ের সময় মেয়ের বয়স কমা বলা কিংবা ছেলের বয়স কম বলার একটা প্রচলন ছিল। এখনও হয়তো একটু-আধটু আছে।
কিন্তু এই ক্ষুদ্র মিথ্যে দিয়ে কী এমন স্টাটাস বৃদ্ধি পায়, আমি বুঝি না। বয়স নিয়ে আমারও মাঝে মাঝে দ্বিধান্বিত হতে হয়। কারণ কেরানি সাহেবের অবদানে আমিও অনেক দিন যাবত তরুণ হয়ে থাকব। হয়তো চাকরির ক্ষেত্রে বেশি দিন পর্যন্ত আবেদন করতে পারব। এটা ভাবা যদিও সুখকর, কিন্তু সামাজিকভাবে চিন্তা করলে - এটা এক ধরনের হীনমন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।