মিসির আলি এমন একজন মানুষ, যিনি দেখার চেষ্টা করেন চোখ বন্ধ করে। যে পৃথিবীতে চোখ খুলেই কেউ দেখে না, সেখানে চোখ বন্ধ করে দেখার এক আশ্চর্য ফলবতী চেষ্টা।
বিগব্যাং থেকে শুরু করে এই পোস্ট করার আগ পর্যন্ত যতগুলো অণু পরমাণুতে বিভক্তি হয়েছে, তারচেয়ে বেশি বার তোমরা আমার সাথে ঝগড়া হতে পারো এবং বিশ্বাস করো, আমি আমার চেয়ে বেশি ভালো, কখনোই তোমাকে বাসতে পারবো না। আমার এতো মুরোদ নাই। ছোটোবেলা থেকেই একটা চিলেকোঁঠায় একলা বন্দি থেকে আমি শুধু আমার দিকেই তাকিয়ে থেকেছি।
আরো একশবার অপশন দিলে আমি আমিই হয়ে জন্মাবো। আমার যাপিত জীবনকে আমি হুড়মুড় করে ভালোবাসি।
আমায় এখনও তুমি ধরতে পাড়নি, তার প্রমাণ এই লেখা। তবে আমি ধরা দেওয়ার দিকে হয়তো এগিয়েছি । ধরা পড়া আর ধরা দেওয়া এক নয়, তা হয়তো বোঝ।
ধরা দিচ্ছি, নিজেই এগিয়ে চলেছি শত্রু-শিবিরের দিকে, এর রহস্য হয়তো বলতে পারি। কিন্ত এখন বলব না। মানুষের মন সমুদ্রের চেয়েও বিপুলতর। তাতে কি জোয়ার-ভাটা খেলবে না? যদি না খেলে, তবে তা মানুষের মন নয়। আর আমার মন আসলে শান-বাঁধানো পুকুরগুলোর মত যেখানে শুধুই কাপড় কাঁচা চলে, ইচ্ছে হলে গলায় কলসি বেঁধে ডুবে মরাও চলে, আমার মন সুমদ্রের মত এত বিশাল নয় যে “এখানে চলে না জাহাজ”
... সেটাই নার্সিসিজমের শুরু।
একটা কথা আগেই বলে রাখি, তোমার কাছে লিখতে কোন সঙ্কোচের আড়াল রাখিনি। তুমি সাবালিকা এবং বোনও তাই বলে তার দরকার মনে করিনি। যদি দরকার মনে কর, আমায় মনে করিয়ে দিও।
অনেক আগে কোরবানি ঈদের আগেরদিন সন্ধ্যায় তুমি আর তোমার সেই ছোট্ট বোন গরু দেখতে নিচে নেমেছিলে আর ঢং করে গরুরে দূর থিকে কাঁঠাল পাতা ছুরে মেরে বলেছিলে “কাম কাউ কাম” আমিও অবুঝ প্রেমিকের মত বড় বড় চোখ মেলে তোমার দিকে তাকায়ে দেখতাম এখন শুধু মাঝে মাঝে মনে হয় আমার আর গরুর মধ্যে কোন পার্থক্য নাই আমরা ভাই। আমি কখনোই তোমার বোন কে তোমার থিকে আলাদা করে দেখবার প্রয়োজন মনে করিনি।
সব সময় আমিও চাইতাম ওর ভালো সঙ্গ হোক কারণ ইশপ দিনে ২বার করে বলতেন “সৎ স্বর্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ” এতদিন পরে সে মেঘ মুক্ত আকাসে উড়ছে দেখে ভালোই লাগছিলো কিন্ত ওর চোখের দিকে তাকাতে কেমন মনে হলো বেচারি মেন্টালি প্রেসারে আছে ! পাশের পরিচিত একজন কে ভয়ে প্রশ্ন করেই বসলাম ড্রাগস নিছে নাকি? তুমি একটু খেয়াল রাইখো ওর, আর হ্য আমি আরও একটা কারণ দেখাতে পারি আগের রাত্রের লাইভ প্রোগ্রাম আর কনসার্ট এর জন্য হয়তো ঘুম হয়নি তাই অমন ছিলো
আমি হয়তো তোমাকে বিশ্ব ব্রাম্ভান্ড খুজে ১০১টি নীল পদ্মতো দুরের কথা ২১ টি নীল গোলাপ খুজে দিতাম না কারন আমি খুবই অলস তুমি যদি চাইতে ঐদিন তোকে ঈদের রাত্রে বৃষ্টি ভেজা নির্জন রাস্তায় ১০১ লক্ষ নীল বাতির নিচে হাত ধরে ঘুরাতে পারতাম যদি তাই হতো আমি মুখ লুকিয়ে অঝরে কাঁদতামনা, দুঃখিত আমি তোমাকেই উদ্দেশ্য করে এগুলো লিখে ফেললাম জানতাম না তোর কাছে এগুলো মেকি জানতাম না আমার মুল্য তোর কাছে নেই ভাই। দুশ্চিন্তা, হীনমন্যতা, চাপ, মানসিক অশান্তি, অতীত আর ভবিষ্যতের চিন্তা এই পাঁচটা জিনিস একটা ছেলের জীবন নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। অবশেষে এভাবেই একটা ছোট্ট ছেলে এক মুহুর্তের মাঝে পুরুষ হয়ে ওঠে ঠিক সেই মুহুর্তেই তার হাসিমুখের আড়ালে সব পরিস্থিতির সম্মুখীন হবার কাঠিন্য জেগে ওঠে
আরো একটি কথা সাধক বাবা ব্রাম্বাচারি নিমাই ভণ্ড চার্জ একবার বলেছিলেন “মেয়েদের বোঝা খুব কঠিন। কখনোই একটি মেয়েকে পুরোপুরি বুঝতে যাবেননা। তাকে পুরোপুরি বুঝতে গেলে হয় আপনি পাগল হয়ে যাবেন, না হয়, তার প্রেমে পড়ে যাবেন”
আমিতো তোকে একটু জানতে গিয়েই , পাবার আগেই আশা হারিয়েছি বলে হারানোর ব্যাথাটা একেবারেই কম, আমি ওদের মত দুর্ভাগা নই তাই পেয়ে হারাই নি।
পাওয়ার আনন্দের চেয়ে হারানোর কষ্টটা অতি তীব্র! এত তীব্র কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই
"With my song, I will Charm the LORD OF THE DEATH!/ Moving their hearts with my melody, I will bear her Away from Hades." মনে আছে এই লাইন গুলোর কথা? কখনোই কি মনে হয়নি আমি ভুলে তোমার নাম্বারে SMS করিনি আসলে এইটাই আমি ২০০৬ থিকে আমি বলতে চাচ্ছিলাম, কিন্ত এই বিশাল খেলার মাঠে নামি দামী দামড়া প্লেয়ারদের সাথে টক্কর দিবার সাহস হয়ে উঠেনি কখনোই আমার, এর পর আবার প্রিস্টিন হাউসে ২ দিন র্য গ, এর পরেই সাইড লাইনে । কখনই আমাকে ওদের সাথে এক পাল্লায় ওজোন করবার বৃথা চেষ্টা করোনা এদিক থিকে হয়তো ওদের থিকে আমি নিস্পাপ !
এমন হাতে গোনা কিছু দিন যেখানে একজন কুষ্ঠ রোগী চাইবে নতুন করে বাচতে একজন অন্ধ দেখতে চাইবে নতুন করে পৃথিবীর আলো, আর আমি বাসার গেট ফাকিদিয়ে সাংবাদিক দের সম্মেলন, মিছিল-মিটিং-বিক্ষোব আর পুলিসের লাঠিচার্জ-কাঁদানো গ্যস- গুলি চালানো কে কাঁচকলা দেখিয়ে কক্টেল এর গন্ধ গায়ে মেখে হরতালে বেরয়েছি অনেক পালকি পালকি ভাবনা নিয়ে ! কিন্তু বিধি বাম তোমার সামনে কিয়ে মুখ খুল্বার খেই হারিয়ে ফেলতাম আর বলতাম আসবো আবার কালকে! আর যদি তোমার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি,যদি আগামীকালকের সূর্যটা দেখার সৌভাগ্য আর না হয়,তবে ভেবোনা আমি স্বার্থপর। শুধু এটুকু যেনে রেখো,আমি পরকালেও তোমার অপেক্ষায় থাকবো মনে রেখো “A King only bows down to her Queen ”
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দূরত্ব কোনটি জানো?? নাহ, জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত, উত্তরটা সঠিক নয় । সবচেয়ে বড় দূরত্ব হলো যখন আমি তোমার সামনে থাকি, কিন্তু তুমি জানো না যে আমি তোমাকে কতটা ভালোবাসি। যেভাবেই থাকিস, যেই আসুক জীবনে, যেন সুখে থাকিস।
সে মানুষটা যাতে তোর সব সপ্ন পূরন করে দেয়। তোর মুখের হাসিটা কখনো যাতে মুছে না যায়। আমার অনেক প্রিয় তোর এই হাসিটা। অনেক ভালোবাসি তোকে। তাই, তোকে সারাজীবন সুখে দেখতে চাই।
সবসময়।
মেয়ে তুমি কঠিন, তুমি দূরুহ, তুমি রেস্ট্রিকট্রেড, তুমি লিমিটেড, তুমি প্রিমিয়াম, তুমি অধরা, তুমি প্যান্ডোরার বাক্স, তুমি আঁড়ালে থাকা বন্ধু, সামনে আসা শত্রু, তুমি যাবতীয় হ্যানত্যানের আধার। তুমি বিশাল বুদ্ধিমান, এবং অতিচালাকের ফ্র্যাংকেনস্ট্যাইন মেয়ে তুমিই আমার সব জানতে চেয়েছিলে তোমাকে কতটা খারাপ মনে করি এখন আর কোন দাবী বা প্রত্যাশা থিকে নয় জিবনেও ভাংবো না বন্ধুর বিশ্বাস, তবুও আমার এই ছেকা খাওয়া মন তোমাকে সারাজীবন...... সুখে থেকো
“জন্মেছি আমি আগেও অনেক মরেছি তোমারই কোলে
মুক্তি পাইনি শুধু তোমাকে আবার দেখবো বলে । ।
আগেও মরেছি আবার মরবো প্রেমের দিব্যি দিয়ে
এই নস্সর জীবনের মানে শুধু তোমাকেই চাওয়া”
""হে মানবী, তুমি প্রথম প্রেমের মতোই আমার কাছে পরম আরাধ্য, সম্মানীয়।
নিজেরই কিছু দীণতার কারণে আমি অগ্রসরে অক্ষম। তুমি হয়তো জানবেও না, তারপরও আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী...
ফাযিল গুইলা, সুনলে আমার সেই মেয়েটির কাহিনী? কেমন লাগলো? যাকে নিয়ে তোমরা এতদিন লিকিয়ে-চুরিয়ে ফিসফাস করেছ, যাকে নিয়ে অনেকে আমার সামনে বাজে সমালোচন করেছো আমি কখনো কখনো জিজ্ঞাস করি “হ্যরে এইসব আজে-বাজে কথা বলে লাভ কি?”, এই হলো সেই মেয়েকে নিয়ে আমার এই শেষ লেখা (আগের সব গুইলাই তোমারে নিয়ে লিখা তুমিই যদি এক্টূ বুঝতা) এবার বলো আমাকে নিয়ে তোমাকে সবাই ক্যান এত খেপায় এর উত্তর পেয়েছো?
তোমরা আমার শূন্যস্থান পুরন করতে চাও ভালো কথা কিন্ত কথা হচ্ছে ঐ হতচ্ছাড়ি পোড়ামুখির আসন পূর্ণ করার মত কাওকে পাবে কি? আমার ঐ ১৯80 ফরম্যাট ফ্যমেলিতে এসেও সুখী হবে এমন মেয়ে কোঁথায় আছে বলতে পারো? ঐ বারান্দায় বসে বই পড়বে, ঐ রকিং চেয়ারে বসে গান গাইবে, ঐ ড্রয়িং রুমে বসে গল্প করবে, ঐ বেড রুমে প্রত্যেকদিন আমাকে ঘুসি দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাবে, এমন সাহস কোন মেয়ের হবে? আর হ্য শুনো মেয়ে ,যে রান্না জানে সে অপরকে ভাল রাখতেও জানে। (এটা গল্প হলেও পারতো)
টেনিসনের একটি লাইন মনে পরছে-----
Time marches on but memories stays, Torturing silently the rest of our day
সেই সৃতির জ্বালা বুকে নিয়েই বোধহয় আমাকে আমার বাকি দিন গুলো কাটবে তাইনা?
তোমাদের
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।