আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বসে বসে বেতন গুনবেন দুই ডাচ কোচ!

আগামী ছয় মাসে ফুটবলে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা নেই। সে কারণে কথা উঠেছে দুই ডাচ কোচ লোডডিক ক্রুইফ ও রেনে কোস্টার এ সময় কি করবেন? সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে দু'জনার সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছে বাফুফে। সে হিসেবে তাদের প্রতিমাসে মোটা অংকের বেতন ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। বেতনে টাকার পরিমাণ বাফুফে পরিষ্কার করে বলেনি। তবে বিভিন্ন সূত্রের তথ্য জানা গেছে, মাসে দুজনার বেতন হচ্ছে প্রায় ১৬ লাখ টাকা।

বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশের এ বাজেট বিশালই বলা যায়। এ ছাড়া কোনো উপায়ও ছিল না ভালোমানের কোচ পেতে হলে অর্থ তো খরচ হবেই। কথা হচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের পর দুই কোচ বসেই আছেন। মাঝে অনূধর্্ব-১৯ দলকে নিয়ে ক্রুইফ ও কোস্টার ইরাক ঘুরে আসেন। এখন দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ কবে নামবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

অন্তত আগামী ছয় মাসে কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না তা অনেকটাই নিশ্চিত। ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি দুই কোচ বিনা পরিশ্রমে পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন? আসলে এখানে দুই কোচের কিছু করারও নেই। কারণ বাফুফে যদি তাদের কাজ না দিতে পারে তাদের কি করার আছে। আর তারা তো প্রফেশনাল, খেলা থাকুক আর নাইবা থাকুক বেতন তো নেবেনই।

বিষয়টি দেশের বেশ ক'জন কোচ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তাদের কথা জাতীয় দলের দায়িত্ব থাকার সময় আমাদের খুবই কম পারিশ্রমিক দেওয়া হতো। এখন তো দেখছি দুই বিদেশি কোচ বসে বসে বেতন পাচ্ছেন। বাফুফের বেশ ক'জন সদস্যও তা মানতে পারছেন না। কিন্তু কোচকে তো আর ফেরত পাঠানো যাবে না। চুক্তির শর্ত মানতেই হবে।

তা না হলে ফিফা বা এএফসি নাখোশ হতে পারে। এ প্রসঙ্গে ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল বলেন, এ নিয়ে কারো ক্ষোভ আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে প্রশ্ন উঠাটা স্বাভাবিক কাজ ছাড়া এত টাকার বেতন বসে বসে পাবেন কেন? দেখুন এমন সমস্যা হতো না যদি সিলেটে ফুটবল একাডেমি চালু করা যেত। ক্রুইফকে জাতীয় দল ও কোস্টারকে আনা হয়েছিল একাডেমি দেখাশোনার জন্য। একাডেমি থাকলে তিনি এমনভাবে অলস সময় কাটাতেন না।

ক্রুইফকেও এখানে মাঝে মধ্যে কাজে লাগানো যেত। এখন কোনো কাজ না থাকলে কোচ বা বাফুফেরই বা কি করার আছে। ক্রুইফ কিন্তু আমাদের বলেছেন, মাসে অন্তত ক'বার করে ফুটবলারদের অনুশীলন দেওয়ার। কিন্তু তাও অসম্ভব কেননা মৌসুম চলাকালে কোনো ক্লাবই তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে চাইবে না। সুতরাং কোচরাও তো চাচ্ছে কাজ।

তবে ফুটবল মৌসুম শুরু হয়ে গেলে ক্রুইফ ব্যস্ততায় জড়িয়ে পড়বেন। তিনি প্রতিটি ম্যাচ দেখে তার পছন্দের পারফরমার বাছাই করবেন। এদের নিয়েই মৌসুম শেষের পরই ক্যাম্প শুরু হবে। তিন মাস বা আরও বেশি সময় ধরে ফুটবল মৌসুম চলতে পারে। সেক্ষেত্রে এতদিন ধরে খেলোয়াড় বাছাই করাটা বড় ধরনের দায়িত্ব পালনই বলা যায়।

তাছাড়া লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে এবারই ফুটবলের মূল কোচ দীর্ঘসময়ে লোকাল আসরগুলো দেখবেন। এতে জাতীয় দল গঠনে সুবিধাও পাওয়া যাবে। স্বল্প সময়ে পারফরমেন্স দেখে ঠিকমতো খেলোয়াড় বাছাই করা যায় না। এবারে ক্রুইফের পর্যবেক্ষণে তা দূর হবে। সুতরাং এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে কোচরা একেবারে বসেই বসেই বেতন পাবেন।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।