আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০৬-এর মতো অচলাবস্থা চলে এসেছে

দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের অদূরদর্শী অবস্থানের ফাঁদে বাংলাদেশের রাজনীতি আটকে গেছে।

এখন দেশ সেই ২০০৬ সালের অচলাবস্থার মতো পরিস্থিতিতে চলে এসেছে। সেই একই পরিস্থিতির বাইরে যাওয়ার কোনো উপায়ই এখন বাকি থাকছে না বলে মনে হয়। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের কাছে এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দুই নেত্রীর তাদের অবস্থান থেকে সরে আশার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

কারণ দুই নেত্রী এটি ভালো করেই বুঝতে পারছেন এখন যে কারও তার নিজের অবস্থান থেকে সড়ে আসাটা হবে রাজনৈতিক আত্দহত্যার শামিল। প্রধানমন্ত্রী এখন পদত্যাগ করলে বিএনপির যে রাজনৈতিক অর্জনের 'বিজয় মিছিল' দেশজুড়ে হবে- তা নিশ্চয় হতে দেবেন না আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। আবার বিরোধীদলীয় নেতা এতদিন এতকিছুর পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে গেলে তার দলের অবস্থান যথেষ্ট খর্ব হবে। দুই দলই তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে নিজেদের দাবি থেকে সরবে না। একই রকমের পরিস্থিতির জন্য গত ২০০৬ সালে অচলাবস্থায় পড়েছিল দেশ।

এখন আবার পুরোপুরি সেই পরিস্থিতিই আসতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন কোনোভাবেই আর সেই পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। তবে এই পরিস্থিতি কারোই কাম্য নয়। তাই জনগণকে উট পাখির মতো বালির মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে বসে থাকলে চলবে না।

আগের দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েও মন্ত্রীদের কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং সেগুলো পদত্যাগপত্র নয় বলে গতকাল আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে হতবাক ড. শাহদীন মালিক।

তিনি প্রশ্ন করেন, তাহলে কি সরকারের হর্তাকর্তারা কোনটা পদত্যাগপত্র তাও বোঝেন না। নাকি মন্ত্রিপরিষদ সচিব ভুল বা মিথ্যা বলেছেন। ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য শুনেছি। সচিব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের ইচ্ছানুযায়ী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। অনিচ্ছুক হলে গ্রহণ করবেন না।

কিন্তু আমি স্পষ্ট করে বলি এটা সংবিধানের বক্তব্য নয়। সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদ একেবারেই স্পষ্ট। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেই তার পদ শূন্য হয়ে যাবে। পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না করার কোনো এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রীর নেই। এটা কোনো সরকারি চাকরি নয়।

এটা সাংবিধানিক পদ। সব সাংবিধানিক পদেই পদত্যাগের এটাই নিয়ম। তবে আইনমন্ত্রীর কথা যদি সত্যি হয় যে পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি বরাবর দেওয়া হয়নি তাহলে এই পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে না। তাহলে সচিবসহ অন্য মন্ত্রীরা কি মিথা বলেছেন? ড. শাহদীন মালিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেই ৯০ শতাংশ সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আর এটা তো দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়।

প্রধানমন্ত্রী তো বড় জোর ৬ সপ্তাহের জন্য পদ ছাড়বেন। এ সময় তার দলের অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হলেও হয়তো বিএনপি তা মেনে নেবে।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।