হু
নারিন্দা সিমেট্রি, ১৮৭০
নারিন্দা সিমেট্রি- ১৮৭০। এর ফটোগ্রাফারের নাম জানা যায় নি। এখানে বাম দিকে একটি প্রবেশদ্বার দেখানো হয়েছে, যার আর্চের ধরণ অনেকটা মোঘল স্টাইলের এবং ডান দিকে ইন্দো-গোথিক স্টাইলের সমাধি সৌধ লক্ষ করা যায়।
পাগলা পুলের ধ্বংসাবশেষ, ১৮৭০
পাগলা পুলের ধ্বংসাবশেষ: এটি ঢাকা হতে ৫ মাই দুরে অবস্থিত। ছবিটি ১৮৭০ সালে তোলা হয়েছিল তবে এর ফটোগ্রাফারের নাম জানা যায় নি।
এটি নির্মিত হয়েছিল ১৭ শতকে, যখন ঢাকা মোঘলদের অধীনে ছিল। মোঘল শাসকগণ ঢাকায় অনেক পুল (ব্রীজ) নির্মান করেছিল, এটি ছিল সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। আবহাওয়া বা পরিবেশ গত কারণে এই ব্রীজের গুলোর অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে যায়।
পানাম নগরী, সোনারগাঁও, ১৮৭০
পানাম নগরীর (সোনারগাঁও) রাস্তা । এই ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৮৭০ সালে, এর চিত্রগ্রাহক সম্পর্কেও জানা যায় নি।
১৬০৮ সাল পর্যন্ত সোনারগাঁও পূর্ব বাংলার রাজধানী ছিল। মোঘল সুবাদার ইসলাম খান ১৬১০ সালে সোনারগাঁও হতে রাজধানী ঢাকাতে স্থানান্তরিত করেন।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কুটি, ১৮৭২
এই ছবিটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর কুটির একটি ছবি। এই কুটিটি সোনারগাঁও এর পানামে অবস্থিত। ছবিটি ১৮৭২ সালে তোলা হয়েছে।
এর চিত্রগ্রাহক W. Brennand ছবিটি বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়র কাছে সংরক্ষিত রয়েছ্ । সোনারগাঁও একসময় মসলিনের জন্য বিখ্যাত ছিল, এই কারণে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এখানে একটি কুটি স্থাপন করেন। জেমস্ ওয়াইজের বর্ণনায়ও এই কুটির কথা উল্লেখ রয়েছে।
রমনা গেইট থেকে রেসকোর্স ( এটি এখন সহরোয়ার্দী উদ্দান নামে পরিচিত। ), ১৮৭০
রমনা গেইট থেকে রেসকোর্স শিরোনামের ছবিটি তোলা হয়েছিল ১৮৭০ সালে।
এর চিত্রগ্রাহক সম্পর্কে জানা যায় নি। ছবিটিতে কয়েক হাতি দেখা যাচ্ছে।
মিল বিল্ডিং, গেন্ডারিয়া, ১৮৭০
গেন্ডারিয়ার মিল বিল্ডিং এর এই ছবিটি ১৮৭০ সালে তোলা হয়েছে এবং এর চিত্র গ্রাহক সম্পর্কেও জানা যায় নি।
নারিন্দা খ্রিষ্টান সিমেট্রি, ১৮৭০
নারিন্দার খ্রিষ্টান সিমেট্রির এই ছবিটি তোলা হয়েছে ১৮৭০ সালে। এর চিত্র গ্রাহক কে তা জানা যায় নি।
এখানে সমাধি সৌধের নাম ফলকের পাথর দেখানো হয়েছে।
ময়ূরপঙ্খী খালের উপর নির্মিত একটি ব্রিজ, ১৮৭০
সোনারগাঁয়ের ময়ূরপঙ্খী খালের উপর নির্মিত একটি ব্রিজের ছবি। ছিবিটি ১৮৭০ সালে তোলা, এর চিত্রগ্রাহক সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় নি। এই ব্রিজের অবস্থান সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে। অনেকে মনে করেন এটি ঢাকার কোন এক খালের উপর নির্মিত ছিল, আবার অনেকে মনে করেন এটি সোনারগাঁয়ে নির্মিত ছিল।
তবে অধিকাংই মনে করেন এটি সোনারগাঁয়ের ময়ূর পঙ্খী খালের উপর নির্মিত । তবে এই ব্রিজটির অবস্থান কোথায় তা এখনো সনাক্ত করা যায় নি।
ঢাকার টঙ্গীর লোহার পুল, ১৮৮০
টঙ্গীর লোহার পুলের এই ছবিটি নেয়া হয়েছে Johnston ও Hoffman এর আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা নামক একটি বই থেকে । এই ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা।
ঢাকার সাসপেন্সন ব্রিজ, ১৮৮০
সাসপেন্সন ব্রিজের এই ছবিটিও নেয়া হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা গ্রন্থ থেকে ।
এই ব্রিজটি নির্মিত হয়েছিল ১৮৩০ সালে এবং এই ছবিটি তোলা হয় ১৮৮০ সালে।
হিন্দু মন্দির, ১৮৮০
ঢাকার কাছাকাছি কোন এক স্থানের ছবি। ১৮৮০
মাহামুদ মসজিদ, ১৮৮০
মাহামুদ মসজিদ, ১৮৮০ সালের তোলা একটি ছবি। এই ছবিটি সংগ্রহ করা হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা ১৩ তম সংস্করণ থেকে।
দিলখুশা আনন্দ ভবন, ১৮৮০
আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা গ্রন্থের ১৩ তম সংষ্করণ থেকে এই ছবিটি নেয়া হয়েছে।
ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা।
বুড়িগঙ্গা নদী, ১৮৮০
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী । ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা, আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে। ছবিতে নদী তীরবর্তী একটি হিন্দু মন্দির দেখা যাচ্ছে।
ঢাকার লালবাগ কেল্লা , ১৮৮০
ঢাকার লালবাগ কেল্লার এই ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা ।
এই ছবিটিও নেয়া হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা থেকে। এখানে পরীবিবির সমাধি সৌধ দেখা যাচ্ছে।
চক বাজার, ১৮৮০
ঢাকার চক বাজারের এই ছবিটি ১৮৮০ সালে তোল এবং এই ছবিটি নেয়া হয়েছে আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা গ্রন্থ থেকে। এই ছবিটি ব্রিটিশ ঢাকার বাজার এলাকার চিত্রকে প্রতিনিধিত্ব করে।
ঢাকার টঙ্গীর একটি ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ, ১৮৮০
এটি একটি ব্রিজের ধ্বংসাবশেষ।
এটি লোহার পুলের পাশে অবস্থিত ছিল। ছবিতে লোহার পুলও দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি একতে ব্রিজের কয়েকটি ভাঙ্গা পিলার দেখা যাচ্ছে। ছবিটি আর্কিটেক্চারাল ভিউ অব ঢাকা থেকে নেয়া হয়েছে। ছবিটি ১৮৮০ সালে তোলা হয়েছে।
ঢাকা কলেজ ও কোর্ট ভবন, ১৮৭০
ছবিটির বাম পাশের ভবন টি ঢাকা কলেজের (পুরাতন) এবং ডান পাশের ভবন টি কোর্ট ভবন (পুরাতন) । ছবিটি ১৮৭০ সালে তোলা। এই দুইটি ভবনই ১৯৮৫ সালে ভেঙ্গে ফেলা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।