আশা অনেক কিন্তু প্রত্যাশা শুধু নিজেকে এগিয়ে নেয়ার।
নুহাশপল্লীতে দুইবার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। প্রথমবার ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে আমরা ৪ বন্ধু এবং দ্বিতীয়বার ২০১১ সালের জুন মাসে আরো অনেকে গিয়েছিলাম।
** আমরা কোন প্রকার তথ্য ছাড়াই গিয়েছিলাম। প্রথমবার প্রবেশে কোন সমস্যা হয়নি।
বাহিরের লোক বলতে আমরা ছাড়া আর কেউ ছিল না, তাই সারা দিনই ছিলাম এবং সব জায়গায় প্রায় অবাধে ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল।
*** দ্বিতীয়বার আমাদেরকে কোনমতে ঢুকতে দিবে না। শেষে অনেক অনুরোধের পর কিছু শর্তসাপেক্ষে ১ ঘন্টা ঘুরে দেখার অনুমতি পাই।
বর্তমান অবস্থা*** কিছুদিন আগে স্যার মারা যাওয়ার পর আমার এক বড় ভাই নুহাশপল্লীতে গিয়েছিল। তার থেকে জানতে পারি এখন প্রবেশের জন্য টিকিট লাগে এবং টিকিটের মুল্য ২০০ টাকা মাত্র।
### সব ছবি মোবাইলে উঠানো। এই দুইবার ভ্রমনের ছবি নিয়ে আমার প্রথম ছবি ব্লগ-------
২০০৯ সালের নুহাশপল্লীর প্রবেশের মূল গেইট।
২০১১ সালের নুহাশপল্লীর প্রবেশের সংস্কারকৃত গেইট।
মূল গেইট দিয়ে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে বিশাল মাঠ।
মাঠের ছবি ভিতরের দিক থেকে উঠানো।
মুল ফটকে প্রবেশ করে ডান পাশে তাকালে দেখা যাবে এই সুন্দর মূর্তিটি।
পাশেই আরেকটি মূর্তি।
মূর্তিগুলো ও সুইমিং পুলের পাশে বসার জায়গা। ছবিতে আমরা চার বন্ধুর তিন জন। আর একজন আমাদের ছবি তোলায় ব্যস্ত।
তার পাশেই ছোট আকারের সুমিং পুল ও চৌবাচ্চা। যা হুমায়ুন আহমেদের অনেক নাটক ও ছবিতে দেখানো হয়েছে।
পানিশূন্য চৌবাচ্চায় আমি।
পুলে আমরা তিন বন্ধু।
পুলের পাশে আরেকটি বসার জায়গা।
নাটকে অনেকবার দেখেছেন , যা ঢোকার শুরুতে সবার চোখে পড়বে।
বিল্ডিং এর আরেকটা ভিউ।
বিল্ডিং থেকে আরেকটু ভিতরের দিকে।
খেজুর বাগান।
নুহাশপল্লীর মাটি ও ইটের প্রাচীর।
এটাই হুমায়ুন আহমেদের বৃষ্টিবিলাস, টিনের শেড। তিনি এটা তৈরী করেছেন বৃষ্টির শব্দ শোনার জন্য।
বৃষ্টিবিলাস এর নিচে বসার জায়গা। ঐদিন হুমায়ুন আহমেদ স্যার ছিলেন না বলে অনেকক্ষন এখানে চার বন্ধু মিলে আড্ডা দিয়েছি। (এটা প্রথম বার, দ্বিতীয়বার ১ ঘন্টা ঘুরার সুযোগ পেয়েছিলাম।
)
এই কুকুরটাকে নাটক , সিনেমায় অনেকবার দেখেছেন।
বৃষ্টিবিলাস বরাবর মাঠের মাঝখানে অবস্থিত।
দাবা খেলার জন্য নির্মিত ঘর।
দাবা বোর্ড।
রূপকথার রাজ্যের বিরাট দৈত্য।
মৎসকন্যা।
হুমায়ুন আহমেদ স্যারের মূর্তির পাশে আমি।
ছোট বিনোদন পার্ক। মাটির তৈরী ডাইনোসর।
মাটির তৈরী জীবজন্তু।
বাচ্চাদের খেলার জায়াগা।
দিঘি লীলাবতী। এই দিঘির পানিতে স্যার জোসনা উপভোগ করতেন।
দিঘিতে কাঠের ব্রীজ এবং দিঘির মাঝখানে বসার জায়গা।
দিঘিতে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ময়ুরপঙ্কী নাউ।
অনেক গরমে বৃক্ষছায়ায় আমরা।
সীমানার প্রাচীর ঘেষে তৈরী দোলনা। তার পাশেই ধানক্ষেত।
পুরাতন গেইটের ছবি। ভিতিরের দিক থেকে তোলা ছবি।
অতিরিক্ত সংযোজন
নুহাশপল্লীর পাশেই একটি অনেক বড় বট গাছ আছে। নুহাশপল্লী থেকে হেটে যেতে ২০ মিনিট সময় লাগে। কেউ গেলে দেখে আসবেন। বর্ষাকালে এর চারপাশে পানি দিয়ে ঘেরা থাকে, সেই দৃশ্য নাকি অনেক সুন্দর। (সেখানকার লোকজনের মুখে শুনা, সত্য/ মিথ্যা জানিনা)।
শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিতে যে বটবৃক্ষ দেখানো হয় এটি তার ছবি।
বটগাছে চড়া কিন্তু অনেক সহজ। তাই সবাই মিলে উঠলাম।
বটগাছের আরেকটা ছবি।
এই হল আমার নুহাশপল্লী ভ্রমন।
স্যারের জন্মদিনে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । সুযোগ পেলেই ঘুরে আসবেন ঢাকার অদূরে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে। আর আমার প্রথম ছবিব্লগ নিয়ে মতামত জানাতে ভুলবেন না যেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।