আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৭ আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

হল-মার্ক গ্রুপের ঋণ কেলেঙ্কারি-সংক্রান্ত ১১ মামলায় পলাতক ১৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. জহুরুল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত সোনালী ব্যাংকের আট কর্মকর্তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। ২৭ নভেম্বর পরোয়ানা তামিলসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শেষে হল-মার্ক গ্রুপ ও সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

সোনালী ব্যাংকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করে দুদক। আজ আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আটজনকে অব্যাহতির আদেশ দেন। তাঁরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম ভগবতী মজুমদার ও কানিজ ফাতেমা চৌধুরী, সাবেক জেনারেল ম্যানেজার আনম মাসরুল হুদা ওরফে সিরাজী ও সবিতা সিরাজী, এজিএম আবুল হাসান, আশরাফ আলী পাটোয়ারী, খুরশীদ আলম ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে হল-মার্ক গ্রুপের এমডি তানভীর মাহমুদসহ সাতজন কারাগারে আটক এবং তানভীর মাহমুদের স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম জামিনে আছেন। ১৭ জন পলাতক।


আজ যাঁদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে তাঁরা হলেন হল-মার্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শহিদুল ইসলাম, স্টার স্পিনিং মিলসের মালিক মো. আবদুল বাছির, টিঅ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, সেঞ্চুরি ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জিয়াউর রহমান, আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম, প্যারাগন গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি মো. আবদুল মালেক ও সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকার, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম ননী গোপাল নাথ (বর্তমানে ওএসডি), প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক (বর্তমানে ওএসডি), দুই এজিএম মো. কামরুল হোসেন খান (সাময়িক বরখাস্ত) ও এজাজ আহম্মেদ, সহকারী উপমহাব্যবস্থাক মো. সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন ও সোনালী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখার বর্তমান জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেসা মেরি।

কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন হল-মার্কের এমডি তানভীর মাহমুদ, তানভীরের ভায়রা ও গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদসহ সোনালী ব্যাংক হোটেল রূপসী বাংলা শাখার ব্যবস্থাপক এ কে এম আজিজুর রহমান (সাময়িক বরখাস্ত), সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি আতিকুর রহমান (বর্তমানে ওএসডি), দুই উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শেখ আলতাফ হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) ও মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ (সাময়িক বরখাস্ত)।
গত বছরের ৪ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় তানভীর মাহমুদসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধ ১১টি মামলা করে দুদক। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধ দুই হাজার ৬৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।



সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।