কিছু দিন আগে গ্রামের বাড়ি ছিলাম, আমাদের গ্রামে এখনো বিদ্যুৎ আসেনি কিন্তু প্রযুক্তি ঠিক ই এসে গেছে। ।
চা খাওয়ার জন্য বাজারে গেলাম,পরিচিত একটা দোকানে বসলাম। ।
পাশেই ছিল জেনারেটর চালিত কম্পিউটার ভিত্তিক mp3,mp4....হাবিযাবি লোডের ব্যাবসা,,,,,,।
। ।
গ্রামের মানুষ সাধারণত সারাদিন কাজ-কর্ম্য করে সন্ধার পরেই বাজারে অাসে,,,,,।
তো কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম কম্পিউটারের দোকানটাতে ভীড় জমেগেছে,চালকের আসনে বসে থাকা কম্পিউটার অপারেটরের বয়স ১৪ থেকে কম বিনে বেশি নয়, চায়ের দোকানটা কম্পিউটার দোকানটার একদম পাশাপাশি থাকায় লোড করতে আসা পাবলিকদের কথাবার্তা স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম। ।
মধ্যবয়সী একজন বলতেছে:
'কি রে! নিউ কালেকশান কি কি অাছে?'
" শাকিবখান-অপু বিশ্বাসের নতুন ২ ডা ছবি অাইছে"
'আমি কি তরে এইডা জিগাইছি?
টক-ঝাল.....কি কি নতুন আনছস হেইডা ক '
" ও ও... এইডা ত ডাইরেক্ট কইলেই হয়, দেখতারবাইন আর মুখে কইতে শরম লাগে, হুহ্!!"
'এত কথা না বইলা মেমোরি ডা ফুল কর্ ,আমি বাজারডা কইরা আই,যাওনের সময় নিয়া যামু,দেখিছ্ ভাইরাস যাতে না ঢুকে'
....................এই হল অবস্থা,
খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, যে লোকটা লোড করতে অাসল তার থেকে কম্পিউটারে বসে থাকা ছেলেটির বয়স অর্ধেক কম,তাদের কথাবার্তা থেকে বুঝাই যাচ্ছে এখানে সম্মান-মূল্যবোধের লেশ মাত্র নেই।
অাবার ভাইরাসের জন্য যে মেমোরি নষ্ট হয় তা কিন্তু ঠিক ই মাথায় অাছে, তিনি যে সম্মান টা হারিয়েছেব সেই খেয়াল তার নেই।
অার শহরের শিক্ষিতরা তো হাইব্রিড,তাদের তো অার দোকানে গিয়ে লোড করতে হয়না,
3 জি গতির এক এক জন ফুল-নাইট ডাউনলোড ম্যানেজার।
এভাবেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছি অামরা। ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।