অলভিয়া বন্দরে জাহাজ ভেড়ার একটু আগে।
মিউনিখ থেকে রওয়ানা হয়ে বোডেন লেক পেরিয়ে সুইজারল্যান্ড। সেখান থেকে আরও চারশো কিলোমিটার দক্ষিণে ইতালির সমুদ্রবন্দর জেনোয়া। গাড়িপথে বাড়ি থেকে সর্বসাকুল্যে ৬৩০ কিলোমিটার।
সুইজারল্যান্ডের ভেতরে পুরোটা পথই পাহাড়, গিরিপথ, খরস্রোতা নদী আর লেকের স্ফটিক জলে পাহাড় আর ঘন নীল আকাশের প্রতিচ্ছবি।
দৃষ্টিনন্দনের আনন্দে আমি আর আমার স্ত্রী মূল পথ ছেড়ে বারবারই অন্য পথ ধরি। এই অভ্যাসের প্রকোপে মাঝে মাঝে নানা জানা-অজানা পরিস্থিতির মুখোমুখি হই। সময়ের টানাপোড়নে পড়ে যাই প্রায়শই। লেকের পানির স্পর্শ পেতে পাহাড়ি পথ বেয়ে বিপদসংকুল পথে নিচে নেমে গল-ধর্ম হয়ে ফিরে আসি মুল পথে। এসব কারণেই ছয় ঘণ্টার পথে দশ ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে পা বাড়াতে হয়।
তারপরও এভাবেই বেড়াতে পছন্দ দুজনেরই।
আঁকাবাঁকা পথ
পাহাড়ের গায়ে গ্রাম
সার্দিনিয়ার পতাকা
তবে বেরুনোর কয়েকদিন আগে সার্দিনিয়ার পতাকা দেখে বেশ ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। চারজন কালো আফ্রিকান মানুষের চোখ বাঁধা ছবি পতাকায় আঁকা। যে দেশের মানুষ আমি, এ বকম পতাকা দেখে ঘাবড়ে যাবারই কথা। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, এ পতাকা ১৩১৪ থেকে ১৪৭৯ অবধি দখলদার উত্তর আফ্রিকানদের বিরুদ্ধে নিজেদের যুদ্ধজয়ের প্রতীকী চিহ্ন।
তবে পরে পতাকা পরিবর্তিত হয়ে চোখের বদলে কপালে বাঁধা হয় কাপড়। বর্ণবৈষম্যকে ঘৃণা করি, আর কোনো এলাকার পতাকা যদি সেখানকার বর্ণবৈষম্যের প্রতীকী চিহ্ন বহন করে, তাহলে সেটি একেবারেই পছন্দ হবার কথা নয়। কিন্তু তারপরও ইতিহাসকে সামনে রেখে,আফ্রিকান দখলদারের আগ্রাসী ভূমিকাকে স্বীকার করে নিজের ভেতরেই যুক্তি খুঁজে পাই।
সমুদ্র-পাহাড় আর মেঘ
পাহাড়ের গায়ে আছড়ে পড়া ঢেউ
পাহাড়ের গুহার নীচে সমুদ্র
জেনোয়া থেকে সার্দিনিয়ান বন্দর অলভিয়া দশ ঘণ্টার ফেরি-পথ। মবি লাইনের বিশাল ফেরি।
রাত সাড়ে নটায় ছেড়ে পরদিন সকাল সাড়ে সাত অবধি পাঁচশ কিলোমিটার সমুদ্রপাড়ি। কতো গাড়ি আর বিশাল বিশাল ট্রাক এই ফেরির ভেতর ঢুকানো হল, তার ইয়ত্তা নেই। রাতে সামান্য ঘুমের পর শান্ত ভূমধ্যসাগরের বৃকে সকালের যে সূর্যোদয় দেখলাম, মনে হল একটি রক্তাক্ত বল বেরিয়ে এলো সমুদ্র ফুঁড়ে। সৌভাগ্যে এতোই আপ্লুত যে, দৃশ্যটি ক্যামেরা-বন্দী করতেও ভুলে গেলাম। অলভিয়া পৌঁছে আরও দুশ কিলোমিটার পাহাড়ি চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দ্বীপের দক্ষিণে আমাদের প্রথম সপ্তাহের বাসস্থান।
এক সপ্তাহের মাঝে সমুদ্র-স্নানের পাশাপাশি দক্ষিণাংশে ঘোরাফেরার পর দ্বীপের উত্তরাংশে আরও এক সপ্তাহ কাটানোর জন্যে আরেকটি বাড়ি ভাড়া করেছি। সেখানেও এক সপ্তাহ ঘোরাফেরার পর আবার অলভিয়া হয়ে ফেরাপথ।
নোনাজলে ক্ষয়ে যাওয়া পাথরে প্রাকৃতিক শিল্পীর হাত।
আকাশের চাইতেও নীল সাগর
সমুদ্র, পাহাড়, পাহাড়ের কোল ঘেঁষে তিরতির করে বয়ে যাওয়া নদী, ঘন অরণ্যের আড়ালে হাজারো পাখির কিচির মিচির গান, প্রাকৃতিক বন্ধুরতার সাথে প্রতিযোগিতা করে সাজানো বাড়িঘর, সমতল এলাকায় দিগন্ত বিস্তৃত মাঠ, খামারবাড়ি সবই আছে এই দ্বীপে। ভূমধ্যসাগরের দিগন্ত বিস্তৃত আঁচলে সিসিলির পর এটাই দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ।
উত্তর দক্ষিণে লম্বায় দুশো সত্তর কিলোমিটার আর চওড়ায় সর্বোচ্চ একশো আশি কিলোমিটার । এর পনেরো কিলোমিটার উত্তরেই সাগরের বুকে ফরাসী দ্বীপ কর্সিকা। সার্দিনিয়ার রাজধানী কালিয়ারি। ছোটোবড়ো বিখ্যাত শহরগুলোর নাম, সাসারি, অলভিয়া, ওরিসান্ত ও আলঘেরো। ইতালির পতাকা তলে এর স্বায়ত্তশাসিত অস্তিত্ব।
১৬.৪ লক্ষ অধিবাসী এই দ্বীপে। রাষ্ট্রভাষা ইতালিয়ানের পাশাপাশি এখানকার নিজস্ব ভাষা সার্দিনিয়াতেও কথা বলা হয়। অধিবাসীদের সিংহভাগই রোমান ক্যাথলিক ধর্মের অনুসারী। ঘটা করে বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান পালনের উদাহরণ হিসেবে এই দ্বীপের বেশ নামডাক। এইসব সামাজিক অনুষ্ঠানের সূত্র ধরে নিজদের পুরনো ধর্মীয় ও সামাজিক ঐতিহ্য ভালোবেসে ও উপভোগ করে বাইরের অতিথিদের সামনে তুলে ধরায় সার্দিনিয়ার আদি অধিবাসীরা সবসময়েই অগ্রণী।
সার্দিনিয়ার বাড়ির প্রবেশ-দরজা
গ্রামের দেয়ালে শিল্পকর্ম
একেকটা সমুদ্র সৈকতের একেক রকম অবয়ব। কখনো খাড়া পাহাড়ের পাদদেশে বিস্তীর্ণ নীল জলে ঢেউ পাথরের খুনসুটি, কখনো বিস্তীর্ণ বালুতটে রৌদ্র মেঘের খেলা, কখনো ছোটছোট পাথুরে তটভূমিতে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের ঝঙ্কৃত সঙ্গীত। বালুতটে বালির রঙ কখনো ধবধবে সাদা, কখনো চিকচিকে রূপালি, কখনো লালচে আবির মাখা। কোনো কোনো জায়গায় পাহাড় বেয়ে নিচে নামার পরও ছোট্ট বালুতটের দেখা মেলে। দ্বীপের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে এখানকার সবচাইতে সুন্দর সমুদ্রতটে ইউরোপের ধনীদের মেলা।
অনেকে বলে, ইতালিয়ান প্রতাপশালী মাফিয়া বসদের বিলাসী অবসর সময়ের আনন্দের জায়গাটি নাকি এখানেই- এই কোষ্টা স্মারাল্ডায়। আমরাও একটি দিন কাটিয়েছি, সৌন্দর্যে আপ্লুত হলেও এক অস্বস্তি-বোধের প্রকোপ থেকে মুক্ত করতে পারিনি নিজদেরকে। অন্যান্য সৈকতে হাজারো মানুষের ভিড় নেই, নেই ঐশ্বর্যের পশরা। সাধারণ মানুষের মাঝে আমরাও শান্তি পাই।
সাদা বালুতট
উত্তরের ছোট্ট দ্বীপ
পাহাড়ি গ্রামের উপর থেকে সমুদ্র
ট্যুরিজম, পশুপালন আর আর চাষকর্মের পাশাপাশি কর্ক ব্যবসা সার্দিনিয়ার একটা উল্লেখযোগ্য আয়ের উৎস।
বনভূমি জুড়ে বিশাল এলাকা নিয়ে কর্ক গাছের বাগান। প্রতি বারো থেকে পনেরো বছর পরপর গাছের ছাল কাটা হয়। কারখানায় কেটে তৈরি করা হয় বোতলের ছিপি। দামী শ্যাম্পেনের বোতলের জন্যে দামী ছিপি, যেখানে কোনো জোড়া থাকবে না। সাধারণ মানের পানীয়ের জন্যে জোড়াতালি ছিপি।
একটি কর্ক-মিউজিয়াম দেখতে গিয়েছিলাম। নানা ধরণের শিল্পসামগ্রীর সাথে কর্কের তৈরি কাপড়ও বানান হয়।
কর্ক বাগান
কর্ক গাছ ও তার বাকল
পাহাড় কেটে পথ
দ্বীপের একটি মাত্র হাইওয়ে এর বুক চিড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত। বাকী রাস্তাগুলো চওড়া না হলেও বেশ ভালোভাবেই তৈরি। তবে পাহাড়ের কোল আর পাশ ঘেঁষে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এসব রাস্তা এতো আঁকাবাঁকা যে, অভিজ্ঞ না হলে এসব রাস্তা গাড়ি চালানো খুব সহজ কর্ম নয়।
আমার সে সমস্যা নেই আর আমার স্ত্রীর আমার উপর অসীম ভরসা। প্রতিদিনই চষে বেড়িয়েছি এসব রাস্তাঘাট। আমাদের সাধারণ হিসেব! ম্যাপে যে রাস্তা যতো আঁকাবাঁকা, তার আশে পাশের প্রকৃতি ততো বেশী নৈসর্গিক। এই সাধারণ হিসেবের খুব গড়মিল কখনো হয়নি। পুরস্কার হিসেবে হাজার মিটার উঁচুতে কোনো এক অজানা গ্রামের চারপাশের প্রকৃতিতে চোখ রেখে বাইরে বসে কোনো এক ক্যাফেতে এককাপ কাপুচিনো।
সেইসাথে ইতিহাস সচেতন প্রতিটি শহর আর গ্রামে কোনো এক ঐতিহাসিক নিদর্শনে সময়ের আনাচে কানাচে হাতড়ে বেড়ানো। এর চাইতে সুন্দর আর কী হতে পারে! আর খোলা সমুদ্রকে পাশে রেখে পাহাড়ে কোল ঘেঁষে যে পথ, তাতে সৌন্দর্য আর রোমাঞ্চ মিলেমিশে এক।
সাগর ছুঁয়ে রাস্তা
সবুজ বনভূমি
গ্রামের ছোট্ট কফি-শপ থেকে দিগন্তে দৃষ্টিপাত
সার্দিনিয়ার উত্তর-পূর্ব দিকে ছোট্ট দ্বীপ লা-মাদলেনা। সেখানকার একটি খামারবাড়িতে বাস করতেন ইতালিয়ান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক গারিবাল্ডি। এখন সে খামারবাড়ি মিউজিয়াম হিসেবে দেশি বিদেশি টুরিস্টদের আকর্ষণ করে।
ভাবতে অবাক লাগে, ইউরোপের স্বনামধন্য দুই রাষ্ট্রনায়কের নামে সাথে কাছাকাছি দুটো ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ জড়িত। একদিকে কর্সিকা, নেপোলিয়নের জন্মস্থান ও অন্যদিকে সার্দিনিয়া, গারিবাল্ডির বাসস্থান। দুজনেই নিজ নিজ দেশে বীরত্বের সর্বময় প্রতীক।
উত্তাল সাগর
আমাদের বাংলোর বারান্দায়
নীল-সবুজের খেলা
একক ইউরোপ প্রতিষ্ঠার লক্ষে ১৮৩৪ সালে যে যুদ্ধে নেমেছিলেন, তাতে পরাজিত হয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন গারিবাল্ডি। তারপরও কোনোভাবে দক্ষিণ আমেরিকায় পালাতে সক্ষম হন।
সেখানে ব্রাজিলের এক বিপ্লবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন ও সেই সূত্রেই পরিচয় হয় একই পথের অনুসারী আনা মারিয়া আনিতার সাথে। সে পরিচয় প্রণয়ে পরিণত হতে দেরী হয়নি একেবারেই। যুদ্ধশেষে দুজনে ফিরে আসেন ১৮৪১ সালে উরুগুয়ের শহর মন্টিভিডিওতে। তার এক বছর পরই আর্জেন্টিনার একনায়ক তান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন দুজনে। ১৮৪২ সালের ২৬শে মার্চ বিয়ে করেন আনা মারিয়া আর গারিবাল্ডি।
চার সন্তানের জন্ম দিয়ে আনা মারিয়া ১৮৪৯ সালে সরকারী সৈন্যদলের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে নিহত হন।
গারিবাল্ডির খামাবাড়ি
এর একবছর আগে, ১৮৪৮ সালেই ইউরোপে ফিরে ইতালিয়ান বিপ্লবে যোগ দেন গারিবাল্ডি। সেনাপতি হিসেবে ফরাসী সৈন্যদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিজয় লাভ করেও পরে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হন। শত্রুদের প্রখর নজরদারি সত্ত্বেও পালাতে সক্ষম হন আমেরিকায়। পরাজয়ের পরও তার যুদ্ধ-দক্ষতা ও বিশেষ করে ইতালির প্রশ্নে তার নাছোড়বান্দা চরিত্রের কারণে ইতালিয়ান বীর হিসেবে সর্বসাধারণের সন্মান ও স্বীকৃতি অর্জন করেন।
১৮৫৪ সালে ইতালি ফিরে সার্দিনিয়ার পক্ষ নিয়ে ফরাসী ও অস্ট্রিয়ানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পরেন। বিভিন্ন রণক্ষেত্রে জয়পরাজয়ের পর ১৮৬০ সালে ইতালিয়ান দ্বীপ সার্দিনিয়া দখল করে নিজেকে সেখানকার রাজা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইতালিয়ার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংকল্প ও যুদ্ধক্ষেত্রে তার বীরত্ব ও দৃঢ় অধ্যবসায়ের কারণে ইতালিয়ানদের মাঝে মুক্তিকামী নেতা হিসেবে পরিচিতি আরও বাড়তে থাকে তার। অনেকেই স্বেচ্ছায় তার সৈন্যদলে যোগ দেয়। তাদেরকে সঙ্গে করে ১৮৬৭ সালে ব্যর্থ হলেও ১৮৭১ সালে রোম দখল করে বর্তমান ইতালি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেন গারিবাল্ডি।
গারিবাল্ডির পারিবারিক কবরস্থান
প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিশাল দ্বীপ সার্দিনিয়ার পার্শ্ববর্তী ছোট্ট এক দ্বীপ লা-মাদেলেনায় এক খামারবাড়িতে স্থায়ী বাসস্থান গড়েন গারিবাল্ডি। এক লেখিকার সাথে প্রণয়ের পর জোসেফিনা রায়মন্ডি নামে এক মহিলার নাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের আগেই অন্তসত্বা ছিলেন জোসেফিনা, সেটি জানার পর তালাক দিয়ে নিজের ছেলেমেয়েদের আয়া, আর্মেনিয়ান বংশোদ্ভূত ফ্রান্সিসকা আর্মেসিনোকে বিয়ে করেন গারিবাল্ডি। তার চাইতে চল্লিশ বছর কনিষ্ঠা এই নারীর সাথের বিবাহ জীবনে আরও তিনটি সন্তানের পিতা হন তিনি।
গারিবাল্ডির নৌকা
জীবনের বেশিরভাগ সময় যে বাড়িতে কাটিয়েছেন গারিবাল্ডি, সেটা কোনো প্রাসাদ নয়, যদিও ইতিহাসের বীর হিসেবে সেটি তার প্রাপ্য ছিল।
একজন অবস্থাপন্ন চাষির বাড়ির মতো সে বাড়িটি। গোলাঘরটিও চাষবাসের সমস্ত যন্ত্রপাতি দিয়েই সাজানো। নিজের ও স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের ঘরগুলোর কোনোটাই সাধারণত্বের বাইরে পড়ে না। সে তার খামার বাড়ির একটি ঘরেই ১৮৮২ সালে মৃত্যু হয় গারিবাল্ডির। এই ঘরেরই বড়োসরো এক বিছানায় মৃত্যুপূর্বর্তী সময় কাটে তার।
উঁচু সে বিছানার রোগশয্যায় শুয়ে বিশাল সমুদ্রের সৌন্দর্যে চোখ রেখে কাটিয়েছেন নিজের সফল ও ঘটনাবহুল জীবনের শেষ অধ্যায়। তার বিছানার পাশের আলমারি ও ভেতরে রাখা ঔষধের শিশিবোতল ও আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র আগের মতোই সাজানো।
গারিবাল্ডির শেষশয্যার জানালা থেকে বাইরের সাগর
দুটো সপ্তাহ শেষ হল খুব দ্রুত। এবার ফেরাপথের পালা। আমাদের দ্বিতীয় বাসস্থান উত্তরের বাডেসি থেকে অলভিয়া প্রায় একশো কিলোমিটারের পথ।
সেখান থেকে একই সমুদ্র আর পথে মিউনিখ। তবে সার্দিনিয়াতে আবারও পা ফেলব আমরা, এই ভাবনা মাথায় রেখে ফেরাপথের বেদনাকে প্রশমিত করার প্রচেষ্টায় আমরা সামান্য হলেও সফল হতে পারলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।