বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “এই জোট গঠন এরশাদ ও শেখ হাসিনার একটি পাতানো খেলা। ”
বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচনের মাধ্যমে এরশাদের এই জোটকে আগামী সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে নাজমুল হুদা মনে করেন।
“শেখ হাসিনার অধীনে একতরফা নির্বাচনকে বৈধতা দেয়ার একটি অপচেষ্টা এটি। বিএনপির নির্বাচন বয়কটকে গুরুত্বহীন করার একটি অশুভ চক্রান্ত। আগামীতে সংসদে বিরোধী দলের আসন গ্রহণের জন্য তৃতীয় জোট গঠন হয়েছে।
”
মহাজোট ছেড়ে নতুন একটি রাজনৈতিক জোট গঠনের কথা বৃহস্পতিবার বলেন এরশাদ। এই জোটে বিকল্প ধারা, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ ও জেএসডি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তার এই বক্তব্যের পরপরই প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে বিবৃতি পাঠান সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদা।
বিএনপি ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর ওই সরকারের তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান নাজমুল হুদা। কিন্তু গণমাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ‘রূপরেখা’ দিয়ে তিনি মন্ত্রীত্ব হারান।
বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সে সময় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে আন্দোলন করছিল। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তিনি যোগাযোগমন্ত্রী হন।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা সেনানিবাসে খালেদা জিয়ার মইনুল রোডের বাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে ঈদের আগে হরতাল ডাকে বিএনপি।
এই হরতালের সমালোচনা করে হুদা সে সময় দলের মধ্যে তোপের মুখে পড়েন।
‘দলীয় অবস্থানের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখায়’ খালেদা জিয়া ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর নাজমুল হুদাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন।
এর ছয় মাস পর ‘অনুতপ্ত’ হুদা বিএনপিতে ফেরার আবেদন জানালে ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তার প্রাথমিক সদস্যপদ ফিরিয়ে দেন খালেদা জিয়া।
কিন্তু সংলাপ নিয়ে তার পরামর্শ খালেদা জিয়া আমলে না নেয়ায় এর এক বছরের মাথায় আবারও গণমাধ্যমের সামনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ব্যারিস্টার হুদা।
বিএনপি ছাড়ার পর গত বছরের শেষভাগে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) নামে একটি নতুন দল গড়ার ঘোষণা দেন তিনি। কিন্তু এখন বিএনএফেও নেই তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।