চলচ্চিত্রের আপকামিং একট্রেস অমৃতা খান আপনি, আপনার যাত্রা শুরু কিংবা পথ চলার গল্পটাই শুনি_
একেবারে ঝকঝকে তকতকে পথে হেঁটে চলেছি। চলচ্চিত্রকে ঘিরে ভালো লাগাগুলো রঙিন প্রজাপতি হয়ে আমার চারপাশে উড়ে বেড়াচ্ছে। যাত্রা শুরুর গল্পটাই বলি। শুরুতে তো বিজ্ঞাপন, ফটোশুট নিয়ে মজা করে এগুচ্ছিলাম। পত্রিকায় আমার ছবি দেখে চলচ্চিত্র নির্মাতারা প্রস্তাব নিয়ে আসতে শুরু করেন।
কিন্তু ফ্যামেলি রাজি ছিল না। এক সময় রয়েল ও অনিক ভাই 'গেম' ছবির গল্প নিয়ে এলেন। সৌখিন ভাইয়ের [জাকারিয়া সৌখিন] লেখা চমৎকার গল্প এবং এতে নায়িকার চরিত্রটি কম বয়সী একটি বোকাসোকা মেয়ের। গল্পটি আমার এবং আমার পরিবারের ভালো লেগে গেল। ব্যস 'গেম' নিয়ে আমার যাত্রা শুরু হলো।
মাস, দিনক্ষণ মিলে এই যাত্রার বয়স এখন প্রতিদিনই বাড়ছে।
সঙ্গে কি অমৃতার বয়সও বাড়ছে?
হা... হা... হা..., কি যে বলেন, মেয়েদের বয়স কী কখনো বাড়ে... হো-হো-হো...।
'গেম' থেকে 'অন্তরে অন্তরে'। মানে রিমেক এ চলচ্চিত্রে নিজের মধ্যে মৌসুমীকে ধারণ করা কতটা সহজ মনে হয়েছে?
একটুও সহজ না। মৌসুমী আপুর চরিত্রে কাজ করা মানে কঠিন অবস্থার মুখোমুখি হওয়া।
প্রথম দিন তো ভয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। পরে নিজেকে সহজ করতে সিদ্ধান্ত নিলাম মৌসুমী আপুকে কপি করা নয়, নিজের মতো করে এগুতে হবে। ব্যস, তখনই এই চরিত্রের পথ ধরে এগোনো আমার জন্য একেবারে সহজ হয়ে গেল।
'অন্তরে অন্তরে' চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে সালমান শাহকে মিস করেছেন?
করেছি মানে, প্রতিটা মুহূর্তে তার কথা মনে করে চোখের কোণে পানি জমেছে। তিনি আমার ভীষণ প্রিয় নায়ক ছিলেন।
অমন হ্যান্ডসাম রাজপুত্রের মতো মানুষ কটা হয় বলুন। এ চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে ভাবছিলাম ইস্ যদি সালমান শাহ আজ আমার বিপরীতে থাকতেন!!!
'গেম' এবং 'অন্তরে অন্তরে' আপনার দুটো চলচ্চিত্রের নায়কই তো নিরব। সহশিল্পী হিসেবে তিনি কেমন?
অবশ্যই ভালো। শুটিংয়ে আমাকে যথেষ্ট হেল্প করেছেন তিনি। আমার মনে হয়, আমাদের পর্দা রসায়নটা দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করবে।
আপনার প্রথম ছবি 'গেম'ই প্রথমে মুক্তি পাচ্ছে। কি মনে হয়, 'গেম' কি জমে উঠবে নাকি গোল্লা পাবে?
'গেম' জমে উঠবে, টানটান উত্তেজনা থাকবে- আমি কনফিডেন্ট এ ব্যাপারে। কারণ আমাদের এ ছবিটির গল্প খুব স্ট্রং। দর্শককে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে পরিণতি জানার জন্য। কেউই আগে থেকে অাঁচ করতে পারবে না কি হবে।
নতুন একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হলেন?
হ্যাঁ, চলচ্চিত্রটির শিরোনাম 'দেহ'। পতিতাদের জীবনের মর্মস্পর্শী কিছু দিক নিয়ে এর গল্প গড়ে উঠেছে। আমার চরিত্রটি পতিতার। ফেব্রুয়ারিতে শুটিং।
কিন্তু 'দেহ' নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
হ্যাঁ, আমি শুনেছি। অন্য কোনো নির্মাতা যেন একই ধরনের ছবি নির্মাণ করতে চাচ্ছেন। তাদের কপিরাইটও নাকি আছে। সেখানে পপি আপুর অভিনয় করার কথা। বিতর্ক সত্যি হলে আমি নিজেকে সরিয়ে নেব।
* আলাউদ্দীন মাজিদ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।