মিসরের স্বৈরশাষক হোসনি মোবারক ১৯৮১ থেকে ২০১১ অর্থাৎ ত্রিশ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। লিবিয়ার স্বৈরশাষক ১৯৬৯ থেকে ২০১১ অর্থাৎ ৪২ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। পৃথিবীর এরকম অনেকেই দীর্ঘদিন শাষন ক্ষমতায় থাকলেও তারা কখনো দাবী করেন নি যে তাদের দেশের জনগন গনতান্ত্রিক শাষন ব্যবস্হা ভোগ করছে। অন্তত আমি শুনি নি। তাহলে এক্ষেত্রে তাদের ধন্যবাদ দেয়া যায় যে তারা আর যাই হোক 'হিপোক্রাট' ছিলেন না।
আমাদের দেশের নেতা নেত্রীরা যারা বিগত চল্লিশ বছর যাবৎ দলীয় প্রধানের পদ আকড়ে বসে আছেন, যাদের নিজেদের দলের মধ্যেই কোন গনতন্ত্র নাই, কখনও দেয়া হয় নাই, তারা কিভাবে দেশে গনতন্ত্র কায়ম করবেন? অথচ, তারা কেমন হিপোক্রেট, প্রতিদিন জনগনকে 'গনতন্ত্র' এর ছবক দিয়েই চলেছেন।
আরে বাপু, যেভাবেই হোক আপনারা আছেন, আমরাও কমবেশী আপনাদেরকেই পছন্দ করি, বার বার ভোট ঠোট দেই, তাইলে ঐ কথাটার দোহাই না দিলে কি হয়! আপনারা যা, তাই বলুন নিজেদেরকে, তবুওতো আমরা আছিই নাকি! রাজতন্ত্র আর পরিবারতন্ত্র মিলে একটা তন্ত্র ফন্ত্রের নাম বানিয়ে দিলেইতো ল্যাঠা চুকে যায়। গনতন্ত্র যে সব দেশে আছে অন্তত তারা আর লজ্জা পেতেন না। আর না হলে, ঐসব দেশকেই নুতন করে ভাবতে হবে 'গনতন্ত্র' নামটা বদলিয়ে অন্য কিছু দেয়া যায় কিনা!
আর যদি সত্যিই গনতন্ত্র পছন্দ করেন, আগে নিজের দলে গনতন্ত্র কায়েম করেন, রাজনীতি করে জীবন যৌবন শেষ করে দেয়া তোফায়েল, আমু, তরিকুল, নোমানদেরকে দলের চেয়ারম্যান, সভাপতি হবার সুযোগ দেন, নাইলে, দয়া করে 'গনতন্ত্রের বাকবাকুম' বন্ধ করেন।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।