আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জে. এস. সি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস! নিশ্চই আপনারা অনেক আগেই পেয়ে গেছেন।




চলতি  জে . এস . সি পরীক্ষায় আমার বেশ কিছু পরীক্ষার্থী ছাত্রছাত্রী ছিল, যাদের মধ্যে বেশ কিছু মেধাবী ছাত্রছাত্রীও ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্র কোনভাবে সংগ্রহ করে যাচাইয়ের জন্য আমার কাছে নিয়ে আসে, তো আমি তাদের কে বোঝানোর চেষ্টা করি যে “ভালো ছাত্ররা প্রশ্নপত্র ফাঁস এর আশায় থাকেনা, তাছাড়া তোমাদের প্রস্তুতি বেশ ভালো, তোমরা কেনো পরীক্ষার আগে শুধু শুধু এ অনৈতিক কাজে মাথা ঘামাচ্ছো?”। সবচেয়ে হতাশার ব্যাপার হলো ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন এবং আগের ‍দিনে আনা প্রশ্নের মিলে যাওয়া । শুধু তাই নয় একে একে সমস্ত পরীক্ষার আগেই তারা যথারীতি প্রশ্ন পেয়ে গেলো এবং তারা সবাই খুব ভালো পরীক্ষা দিলো। এরপর তারা কখনই আমার নীতি কথা শুনবেনা, সেটা আমি জানি।

তাদের মতো বয়সে থাকলে হয়তো আমিও পরীক্ষার আগেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেয়ে গেলে তার লোভ সামলাতে পারতাম না। জাতি কে মেধাশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। যেখানে পাড়ার প্রতিটা ছাত্রছাত্রীর কাছে ফাঁসকৃত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পৌছে গেছে সেখানে সরকার বসে বসে কি করছে, তা আমার বোধগম্য নয়। বর্তমান সরকারের কোন একজন মণ্ত্রী বলে ছিলেন “বারো বছরের শিক্ষা জীবনে যদি একটি ছাত্রের মেধা যাচাই করা না যায় তবে এক ঘন্টার ভর্তি পরীক্ষায় কিভাবে মেধা যাচাই হবে?” আমি তার বক্তব্যকে শ্রদ্ধা এবং সমর্থন করি। কিন্তু তাহলে কি, এভাবেই হবে মেধা যাচাই? এটা আসলে একটা পাবলিক পরীক্ষা পরীক্ষা নাটক, শুধু এটা নয় বিগত বেশ কিছু পরীক্ষার ক্ষেত্রেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এবং প্রমান পাওয়া গেছে।

পরীক্ষা শেষে দেখা যায় প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত দুর্বল শিক্ষার্থী(যে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পেয়ে গেছে) ভালো ফলাফল করে। যা যায় প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের চরম হতাশাগ্রস্থ করে। আসলে আমাদের রক্তের সাথে মিশে গেছে দূর্নীতি। তা থেকে বাদ যায়নি এই কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরাও। আমরা কি একবার ভেবে দেখেছি তাদেরকে আমরা কোথায় ঠেলে দিচ্ছি? তাদেরকে আমরা কি শিক্ষা দিচ্ছি? এই তথাকথিত ভালো ছাত্ররাই(যারা ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে ভালো ফলাফল করবে) হবে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।

তারা যখন দেশকে নেতৃত্ব দেবে, তখন কি হবে দেশের অবস্থা? নিশ্চই তারা আপনাদের(প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের রাজনীতিবিদগন) চেয়ে কোন অংশে কম হবে না, কেননা তার প্রশিক্ষন তারা ইতিমধ্যে পাওয়া শুরু করেছে।
অত্যন্ত কাতর হৃদয়ে কথাগুলো লিখলাম। কাউকে হেয় বা ছোট করা নয় সচেতনতা সৃষ্টিই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।