আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০০ টেস্টে ২০০ তথ্যে টেন্ডুলকার (তৃতীয় পর্ব)

ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০০তম টেস্ট খেলছেন শচীন টেন্ডুলকার। যেটি একই সঙ্গে তাঁর বিদায়ী টেস্টও। তাঁর এই ২০০তম টেস্টে আসুন, জেনে নিই টেন্ডুলকার সম্পর্কে ২০০টি কৌতূহল জাগানিয়া তথ্য। তৃতীয় পর্বে এখানে থাকছে ৫০ তথ্য। চতুর্থ পর্বে থাকবে বাকিগুলো।

 

১০১. শচীন তাঁর ক্যারিয়ারে ৫৯টি ভিন্ন ভিন্ন স্টেডিয়ামে টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন।

১০২. টেস্টের প্রথম, দ্বিতীয় এবং চতুর্থ ইনিংসে রান তোলার দিক দিয়েও টেন্ডুলকার সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড গড়েছেন। তৃতীয় ইনিংসে তাঁর তোলা ২৯৯৬ রান অবশ্য তৃতীয় সর্বোচ্চ।

১০৩. শচীন তার টেস্ট ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মোট ৪১১৫৪+ মিনিট ব্যাট করেছেন। শচীনের চেয়ে বেশি সময় ব্যাট করার কৃতিত্ব আছে কেবল রাহুল দ্রাবিড়ের (৪৪১৫২)।

১০৪. টেস্ট ক্রিকেটে শচীনের ব্যাট থেকে ছয়বার জয়সূচক রান এসেছে। ভারতীয়দের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি। আর টেস্ট ক্রিকেটে শচীন ছাড়া কেবল রিকি পন্টিং (৯) এবং ডেসমন্ড হেইন্সের (৭) এর ব্যাট থেকে সবচেয়ে বেশিবার জয়সূচক রান এসেছে।

১০৫. ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেক হয়েছিল ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে (১৬ বছর ২৩৮ দিন)। শচীনের চেয়ে কম বয়সে অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানের আকিব জাভেদের (১৬ বছর ১২৭ দিন) ।

১০৬. শচীন তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে শেষ দুই ম্যাচে তাঁর রান যথাক্রমে ১১৪ এবং ৫২।

১০৭. শচীন ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন (৪৬৩টি)।

১০৮. ১৯৯০ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৯৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত শচীন বিরতিহীনভাবে বিশ্ব রেকর্ড ১৮৫টি ম্যাচ খেলেছিলেন।

১০৯. একমাত্র শচীন টেন্ডুলকারের আছে ৯৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব।

১১০. ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০টি ইনিংস খেলেছেন।

১১১. ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান শচীনের, ৪৪.৮৩ গড়ে করেছেন ১৮৪২৬ রান।

১১২. ওয়ানডেতে এখনো টেন্ডুলকারই ১৪০০০, ১৫০০০, ১৬০০০, ১৭০০০ এবং ১৮০০০ রানের মাইলফলক ছোঁয়া একমাত্র ক্রিকেটার।

১১৩. ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেন্ডুলকার ১০০০০, ১১০০০, ১২০০০, ১৩০০০, ১৪০০০, ১৫০০০, ১৬০০০, ১৭০০০ এবং ১৮০০০ রান করেছেন।

১১৪. ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীনের মোট ১৮৪২৬ রানের ১৫৩১০ রান এসেছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে নেমে, এই রানে রয়েছে ৪৫টি সেঞ্চুরি এবং ৭৫টি হাফ সেঞ্চুরি।

ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে আর কোনো উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের এমন কীর্তি নেই।

১১৫. ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছুঁয়েছিলেন।

১১৬. ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি তিনবার ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৭৫+ রানের ইনিংস খেলেছেন।

১১৭. ইতিহাসের একমাত্র ব্যাটসম্যান, পাঁচবার ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন।

১১৮. আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক বর্ষপঞ্জিতে ওয়ানডে ক্রিকেটে রেকর্ড সাতবার এক হাজার রান করার রেকর্ড আছে শচীনের।

১৯৯৪, ১৯৯৬, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০৩ এবং ২০০৭ সালে এই কীর্তি গড়েন।

১১৯. ওয়ানডে ক্রিকেটের খেলুড়ে প্রায় সব দেশের বিপক্ষে আলাদাভাবে হাজারের বেশি রান আছে তাঁর।

১২০. ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে কোনো ওয়ানডে দলের বিপক্ষে ৩০০০+ রানের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন।

১২১. ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক (৪৯টি)। ৩০টি সেঞ্চুরি নিয়ে শচীনের অনেক পেছনে রিকি পন্টিং।

১২২. ওয়ানডেতে শচীনের প্রিয় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শচীনের ৯টি সেঞ্চুরি। কোনো নির্দিষ্ট দলের বিপক্ষে সর্বাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড। শ্রীলংকার বিপক্ষেও তাঁর ৮টি সেঞ্চুরি।

১২৩. ভারতীয় দলনেতাদের মধ্যে একমাত্র শচীনই অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন।

১৯৯৬ সালে শ্রীলংকার মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে।

১২৪. ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি হাফ সেঞ্চুরির মালিকও শচীন, একটু হলেই ফিফটির সেঞ্চুরি হয়ে যেত তাঁর (৯৬টি)!

১২৫. ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ৫০+ রানের ইনিংস খেলেছেন (১৪৫টি)।

১২৬. ইতিহাসের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০টি ৫০+ ইনিংস খেলেছেন।

১২৭. ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার, ৬২টি।

১২৮. ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ‘ম্যান অব দ্য সিরিজ’ পুরস্কার, ১৫টি।

১২৯. ১৯৯৮ সালে ওয়ানডে ইতিহাসের এক বর্ষপঞ্জিকায় সর্বাধিক ১৮৯৪ রান করার রেকর্ড।

১৩০. ১৯৯৮ সালে ওয়ানডে ইতিহাসের এক বর্ষপঞ্জিকায় সর্বাধিক ৯টি সেঞ্চুরি।

১৩১. শচীন ও সৌরভ গাঙ্গুলী মিলে ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে ১৩৬ ম্যাচে মোট ৬৬০৯ রান তোলেন। যা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ড। অনন্য এই কীর্তিতে ছিল ২১টি সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ, এটিও রেকর্ড।

১৩২. ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে হায়দরাবাদে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শচীন এবং রাহুল দ্রাবিড় মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে গড়েছিলেন ৩৩১ রানের জুটি। যেটি ওয়ানডে ইতিহাসে যে কোনো জুটিতে সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।

১৩৩. প্রথম ভারতীয় হিসেবে কোনো ওয়ানডে ম্যাচে একইসঙ্গে সেঞ্চুরি এবং চার উইকেট নেওয়ার কীর্তি, ঢাকায়, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

১৩৪. ওয়ানডে ক্রিকেটে শচীনের ক্যারিয়ার সবচেয়ে লম্বা, মোট ২২ বছর ৯১ দিনের দীর্ঘ ক্যারিয়ার!

১৩৫. ১২৩ জন সতীর্থ ক্রিকেটার এবং ৭৪৩ জন প্রতিপক্ষ ক্রিকেটার! টেন্ডুলকার তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মোট ৮৬৬ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলেছেন।

১৩৬. শচীন তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিন তিনবার ৯৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন।

সবগুলোই ২০০৭ সালে!

১৩৭.  ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচে আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে এবং দুবারই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে।

১৩৮. ১৯৯০ সালে লিডসের ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের এডি হেমিংসের বলে প্রথম ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন।

১৩৯. শ্রীলংকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে ৩১১৩ রান নির্দিষ্ট কোনো ওয়ানডে খেলুড়ে দলের বিপক্ষে একজন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ।

১৪০. ১৯৯৮ সালে টেন্ডুলকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোট ১২টি সেঞ্চুরি করেছিলেন, যা এক বছরে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড।

১৪১. ১৯৯৩ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শচীন তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২তম ইনিংসে এসে প্রথম ছক্কা মেরেছিলেন, ওমর হেনরির বলে।

১৪২. টেস্ট ক্যারিয়ারে ডিসেম্বর মাসে শচীন টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে। ডিসেম্বর মাসে ৩৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৪৭.৭৬ গড়ে ২৮৬৬ রান করেছেন শচীন।

১৪৩. শচীনের টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি অবশ্য এসেছে জানুয়ারি মাসে, ১০টি। জানুয়ারি মাসে ব্যাটিং গড়টাও সর্বাধিক, ৭২.৯১।

১৪৪. ওয়ানডে ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মার্চ মাসে শচীনের ব্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে।

মার্চ মাসে শচীন তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বাধিক ৮টি ওয়ানডে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। মার্চ মাসে ৬১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৫১.২৩ গড়ে ২৮১৮ রান করেছেন।

 ১৪৫. ওয়ানডে ইতিহাসে শচীন বিশ্বরেকর্ড পাঁচবার ১৫০+ রান করেছিলেন।

১৪৬. ওয়ানডে ব্যাটিং গড়ের বিবেচনায় জুলাই মাসে শচীনের ব্যাট সবচেয়ে বেশি হেসেছে। জুলাই মাসে ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচ থেকে ৫২.৩৩ গড়ে ৯৪২ রান করেছেন।

এছাড়া মার্চ মাসে ৫১.২৩, জুলাই মাসে ৫১.২০ ব্যাটিং গড়ও উল্লেখ করার মতো।

১৪৭. শেষ টেস্টের আগে শচীনের মা রজনী কখনোই মাঠে এসে ছেলের খেলা দেখেননি।  

১৪৮. সুরকার শচীনদেব বর্মণের নামে তাঁর নাম, বাবা ছিলেন মারাঠি ভাষার জনপ্রিয় কবি। শচীনের কৈশোর যে বাসায় কেটেছে সেটির নাম ছিল ‘সাহিত্য সাহস কোঅপারেটিভ সোসাইটি’!

১৪৯. শচীন তাঁর সমগ্র ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১২৩ জন সতীর্থের সঙ্গে খেলেছেন। এঁদের মধ্যে ২০ জন শচীনের আগে অভিষিক্ত।

দুজনের সঙ্গে একই ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। বাকি ১০১ জনের অভিষেক টেন্ডুলকারের পরে।

১৫০. শচীন সর্বাধিক ২৪৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন অনিল কুম্বলে এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে। ২৩৮টি ম্যাচ খেলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী সঙ্গে। ২২৩টি ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মাদ আজহারউদ্দিনের সঙ্গে।

 

চতুর্থ ও শেষ পর্ব আগামী কাল

সোর্স: http://www.prothom-alo.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।