আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর এভাবেই তাদের মতের বিরুদ্ধে কথা বললেই সাধারণ ব্লগাররা হয়ে যায় ছাগু। আমু’ব্লগের চুষিল সিন্ডিকেটের মুখোশ উন্মোচন- পর্ব ২

আমার পাপ আমাকে নিষ্পাপ করে, আমার ভয় আমাকে সাহসী করে- স্বীকারোক্তি, আর্বোভাইরাস **ইদানীংকালের ছাগু’দের মাথায় ঘিলুর পরিমাণ এতই কম যে কেপি টেস্ট নেওয়া লাগে না, পোস্টে ঢুকলেই গন্ধ পাওয়া যায়। তাই আগেই সাবধান করে দিলাম কোন ছাগু এই পোস্টে ল্যাদানোর চেষ্টা করামাত্র তাকে গদামের উপর রাখা হবে** গতকালের পোস্টের পরবর্তী আপডেট এইটা। শাবিপ্রবি গোলচত্তরে ভাস্কর্য্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে জটিলতার মূল আপডেট জানতে এইখানে গুঁতাইয়া আগের পোস্টে ঘুরে আসেন, নাইলে কিছুই বুঝবেন না। তো যা বলছিলাম। গতকাল এই আইডি থেকে এবং আমারব্লগে ঠিক একই নামের আরেকটি নিক থেকে আমু’ব্লগের সুশান্তের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়া হয় একই সময়ে।

স্বাভাবিকভাবেই ২টি পোস্টেই শুরুতে আমাকে ‘ছাগু’ সন্দেহে গালাগাল শুরু হয়। কিন্তু দুই ব্লগের পার্থক্য এখানেই যে সামু’তে সাধারণ ব্লগার আছে যাদের মাথায় ঘিলু আছে এবং কিছুটা হলেও তারা পরিস্থিতি বুঝে। পক্ষান্তরে আমু’ব্লগে আছে শুধুমাত্র একটা নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের ভাই-বেরাদর ব্লগাররা। ফলে রাতের মধ্যেই সামু’র পোস্টে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেল কে ছাগু আর কে জোরপূর্বক মানুষকে ছাগু ট্যাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে আর আমু’তে একমাত্র ‘জটিল বাক্য’ নামের একজন ব্লগার ছাড়া আর কেউ ভাল কোন কথা শুনাইতে পারলো না (খিস্তি-খেউড় ছাড়া)। গতকালকেই সাস্টিয়ান ফেবু গ্রুপে সুশান্তকে সাধারণ ছাত্ররা তার অভব্য আচরণের জন্য তুলোধুনো করে।

যার সবগুলোই পেইজের এডমিন সুশান্ত আজ রিমুভ করে দেয়। এমনকি গতকাল পয়েন্ট বাই পয়েন্ট নোট আকারে লিখে সুশান্ত’র ভন্ডামী ধরিয়ে দেওয়া সুদীপ্ত করকে গতকাল থেকেই অসংখ্য অপরিচিত কলের উৎপাতে ফোন অফ রাখতে বাধ্য হয়েছে (সুদীপ্ত সামু’তেই ব্লগিং করে এবং তার ব্লগে ঘুরে আসলেই বুঝবেন সে কত বিশাল মাপের ছাগু!!!) । যাই হোক, গতকাল উচিৎ এবং যৌক্তিক কথা বলামাত্র সুদীপ্ত করকে ছাগু প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে সুশান্ত’র চ্যালাগোষ্ঠী। নিচের স্ক্রিনশট: শুধু তাই নয়, আমার ইতিহাসে এখন পর্যন্ত শোনা সবচেয়ে অস্থির ছাগু-ট্যাগিংটাও দেখা হয়ে গেল আজকে। সুশান্ত’র এক অতিউৎসাহী চ্যালা যার জন্ম দিল।

সিএসই ডিপার্টমেন্ট ছাগুর খোয়াড়!!! যেই ডিপার্টমেন্টের হেড এতদিন ছিলেন জাফর ইকবাল স্যার। মাসদুয়েক আগে নিজ হাতে শহীদ স্যারকে (বর্তমান হেড অব ডিপার্টমেন্ট সাস্ট সিএসই’র প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং জাফর স্যারের সরাসরি ছাত্র) দায়ভার বুঝিয়ে দেওয়ামাত্র এক মাসের মাথায়ই পুরো ডিপার্টমেন্টশুদ্ধ পোলাপান ছাগু হয়ে গেল?!?!? দুইদিন আগেও তো দেখলাম পুরো ডিপার্টমেন্ট একসাথে ঘটা করে জাফর স্যারের জন্মদিন উদযাপন করল। আর এরকম খোয়াড়ভরা ছাগু’র মধ্যে এতদিন জাফর স্যার টিকে ছিলেন কিভাবে? এটাও নিশ্চয়ই সিএসই ছাগুদের গত ১৮-১৯বছরের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার ফসল!!! এরপর আর কি বলবেন? যেই ছাগু ট্যাগ অর্জনের জন্য শিবিরের পোলাপান বছরের পর বছর তীব্র তপস্যা করে ব্লগে ঢুকে, অনেক ছাগুর মতে যা কিনা কারাতে ব্ল্যাকবেল্ট অর্জনের চেয়েও দুরূহ, সিএসই’র পোলাপান তা কিনা মাত্র এক মাসের মধ্যেই অর্জন করে ফেলল! এ কোন কুফরি কালামরে বাবা? পুরাই আলাদীন হয়ে গেলুম। তার চেয়ে বড় আলাদীন হলাম এটা ভেবে যে গত দুই দশকেও জাফর স্যার এতগুলো ছাগুকে চিনলেন না?! তাদেরকে নিজের পরিবারের মত আপন করে নিলেন?? তাহলে তো শহীদ স্যার যেভাবে ভাস্কর্য্যবিরোধীদের সমর্থন (যা সত্য না, প্রোপাগান্ডা, সুশান্ত গং এর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা) দিয়ে ছাগু/ ছাগ-বান্ধব উপাধি পেয়েছেন, সেই একই লজিকে জাফর স্যারকেও ছাগু উপাধিতে ভূষিত করবে তারা? নিচের ছবিতেই আমাদের শাবিপ্রবির একমাত্র মানবাকৃত ভাস্কর্য্য চেতনা ৭১ এর সামনে জাফর স্যারের সাথে তথাকথিত 'ভাস্কর্য্যবিরোধী' শহীদ স্যার, যা প্রমাণ করে তিনি ভাস্কর্য্য নির্মাণ বন্ধের পক্ষে না। তারপরও তিনি আজ এ-টীম সার্টিফায়েড ছাগু!!! আপাতত শাবিপ্রবি ভাস্কর্য্য সম্পর্কিত আপডেট এতটুকুই।

পরবর্তী পোস্ট আর এক ঘণ্টার মধ্যেই পাবলিশ করা হবে যেখানে সিন্ডিকেট ব্লগিং এর সবচেয়ে নোংরা উদাহরণটা তুলে ধরা হবে। সেই সাথে আরো বের হয়ে আসবে প্রোপাগান্ডা'র মাধ্যমে কিভাবে শাবিপ্রবি'র মত একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে 'মাদ্রাসা' হিসেবে পরিচিত করা হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।