একজন মানসিক রোগীর ব্লগে আপনাকে স্বাগতম!
কক্সবাজার থেকে বাসযোগে চট্টগ্রামে মেসে আসিতেছি।
বাসেই ঘটিয়া যাইতেছে রোমাঞ্চকর ঘটনা :*। আমি বসিয়া আছি বাসের বামসারিতে। ডানসারিতে আমার পাশেই একজোড়া সদ্যবিবাহিত
কপোত-কপোতী আর আমার ঠিক পেছনের সিটে আরেকজোড়া অবিবাহিত কপোত-কপোতী। তবে কোন জোড়াটি বিবাহিত আর
কোন জোড়াটি অবিবাহিত তাহা দুই জোড়ের কপোত-কপোতীদের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখিলেই বুঝা যায়।
গাড়ির লাইট
বন্ধ হইলেই অবিবাহিত জোড়ের সিট হইতে কিছু ইন্দ্রিয়াগ্রাহ্য শব্দ
আসিতে থাকে। তাহাদের এই
ক্রিয়া দেখিয়া এবং ক্রিয়াকালীন শব্দ শুনিয়া এক দুর্ভিক্ষপীড়িত অবিবাহিত তরুনের বুকে একখানা ছোটখাট মরুঝড় উঠে!!!তাহারা,,সুযোগের একেবারে শতভাগ সদ্ব্যবহার করিতেছে।
যাক সে কথা। তাহাদের কর্ম তাহারা সাধন করুক। ওহা দেখিয়া এবং শুনিয়া কেবল ক্ষুধাই
বাড়িবে,,গাড়িতে কোলবালিশ ও
পাওয়া যাইবেনা ।
আর আমার ডান দিকের বিবাহিত জোড়টির বিশেষ করিয়া কপোত মহাশয়ের ভালবাসা দেখিয়া আমি মুগ্ধ!গাড়িতে ওঠার পর
হইতেই ঐ কপোতীর সাথে এ নাদানের চোখাচোখি হইতেছিল!(এখনো একবার
হইয়াছে )
কপোতীর দেহের বর্ণ একেবারে কাঁচা হলুদের রঙ!তার ওপর আমার দিকে কিছুক্ষন পরপর
তাকাইয়া একটা রহস্যময় হাসি। আমার এবং ঐ
কপোতীর মধ্যে যাতে চোখাচোখি হইতে না পারে _এজন্য কপোত মহাশয় চেষ্টার কোন
ত্রুটি করিতেছেননা!!
কিন্তু,এই নাদানের চক্ষুপর্দা একপ্রকার নাই বলিলেই চলে । লাইট জ্বলামাত্রইসউকিঝুকি মারিয়া হইলেও কপোতীকে দেখিতেছি!এবং আবারো সেই
রহস্যময় হাসি!!:*
এ হাসির অর্থ আমি বুঝিনা!তবে,এটুকু জানি,,,এ
হাসি দেখিতে দেখিতে বাসে করিয়া অনন্তকাল আমি পাড়ি দিতে পারি। তবুও কপোতীর হাসির
রহস্য হয়ত উদঘাটন করিতে পারিবনা!!রহস্য না থাকিলে এ জীবনের কোন অর্থই
থাকিতনা। তাই হয়ত দুর্ভিক্ষপীড়িত এই নাদান তরুনরা নারী নামক "রহস্য" এর সন্ধানে থাকে!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।