আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আজও হচ্ছে না দপ্তর বণ্টন?

শপথ নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দপ্তর পাননি নতুন মন্ত্রীরা। পাশাপাশি নির্বাচনকালীন সরকারে পুরোনো মন্ত্রীদের মধ্যে কারা থাকছেন, কারা বাদ পড়ছেন—তাও ঘোষণা হয়নি। ১৮ নভেম্বর সোমবার আটজন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঞয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন এবং পুরোনোদের মধ্যে কাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্তও প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি।

জানা গেছে, আজও মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন হচ্ছে না।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতার দেখা করার বিষয়টিকে সরকার ইতিবাচকভাবে দেখছে। আর এ কারণেই দপ্তর বণ্টন কিংবা মন্ত্রিসভার পুনর্গঠন দেরি হচ্ছে। এ সময় তিনি বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি পরিষ্কার করবেন। মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন এবং পুনর্গঠন বিষয়ে কাল বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি না হলে প্রধানমন্ত্রীর ওমরাহ পালনের পর দপ্তর বণ্টন হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, কাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভার কলেবর হচ্ছে ২১ জনের। নতুন শপথ নেওয়া ছয় মন্ত্রী এবং দুই প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে পুরোনোদের মধ্য থেকে ১২ জন থাকতে পারেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আবুল মাল আবদুল মুহিত, মতিয়া চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ওবায়দুল কাদের, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, জি এম কাদের, হাসানুল হক ইনু, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাছান মাহমুদ, আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভায় থাকছেন।

যাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে উপদেষ্টা করা হতে পারে।

এর বাইরেও কয়েকজনকে উপদেষ্টা করা হতে পারে বলে সূত্র জানায়।

সরকারি দল এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি যদি সরকারে যোগ দেয় তাহলে তাদের পরিকল্পনা এক রকম, না দিলে অন্য রকম।

আজ মতিয়া চৌধুরী ও হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিএনপি সরকারে যোগ দিলে সর্বদলীয় সরকার হবে, না হলে বহুদলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন হবে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির জন্য অপেক্ষা করার পাশাপাশি ১৮-দলীয় শরিক জোট এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতাকে সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে উপদেষ্টা করার প্রস্তাব দিয়ে দর-কষাকষিও চলছে বলে জানা যায়।

পাশাপাশি সরকারের পুরোনোদের মধ্যে অনেকেই নির্বাচনকালীন সরকারে থাকার আগ্রহ নিয়ে নানা তদবির করে যাচ্ছেন। এসব সামাল দিতেই মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন এবং মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।