ঘাটের এই পারে বসে আছি ঐ পারে যাওয়ার অপেক্ষা।
ডরোথীকে আমার বন্ধুকে দিয়ে হাসপাতালে পাঠালাম। বাইরে প্রচন্ড ঝড় বইছে। কোথাও যাওয়ার সাধ্য নাই। বাস স্টপের ভিতর দাঁড়িয়ে আছি আমি রাবিন্দ্রিক মেয়ের সাথে।
কিছুক্ষণ পর লাইনের বাস এলো। আগেই বুঝতে পেরেছিলাম-টায়ার পাংচার হয়ে যাওয়া বাস শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে। কারণ প্রায় ৯৯। ৯৯% বাসেই স্পেয়ার টায়ার থাকে।
পাশাপাশি বসে আছি দুজন।
এ সুখের আর শেষ নাই। ভালোবাসা ফিরে এসেছে।
রাবিন্দ্রিক মেয়েটার সাথে কথা হয়, দেখা হয়। একদিন স্টারবাক কফি শপে বসে আছি । দেখি খুব সুদর্শণ একজন লোক লাবণ্যর দিকে চেয়ে আছে।
ও লাবণ্য হলো আমার রাবিন্দ্রিক মেয়ে।
কিছুক্ষণ পর লোকটি এসে লাবন্যর সাথে কোশল বিনিময় করে ,আমার সাথে হ্যান্ডশেক করে চলে গেলো।
আমি বললাম কে?
লাবন্য বলে - আমার নতুন ডাক্তার। এই শহরে আসার পর অনেকেই উনাকে রিকমেন্ড করলো। খুব ভালো ডাক্তার ।
তাই গত মাস থেকে উনাকে দেখাচ্ছি।
তবে চিন্তা করছি। এই ডাক্তারের কাছে আর যাবোনা। অকারণে ফোন করে। বাসায় আসতে চায়।
আর থাকেও আমাদের বাসার ঠিক উল্টোদিকে। সেদিন জিগ্গাসা করে, অনন্য কনফারেন্সে কবে যাবে?
লাবন্য'র ভাই অনন্য আর আমি একই রিসার্চ সেন্টারে কাজ করি। আগামী কাল থেকে ১ সপ্তাহের জন্য দুজনেই দূরের এক শহরে যাচ্ছি।
আমি খুব চিন্তায় পড়লাম। লাবণ্য একা থাকলেই ডাক্তার বেটা সুযোগ নিবে।
এই এক সপ্তাহ লাবণ্যকে কীভাবে ডাক্তারের কাছ থেকে দূরে রাখা যায়।
হঠাৎ খুব সুন্দর একটা বুদ্ধি পেয়ে গেলাম। আর সাথে সাথেই লাবণ্যকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আমি গাড়ী নিয়ে বের হলাম।
কিছুক্ষণ পর লাবণ্যর বাসায় এসে ওকে একটা প্যাকেট পৌঁছে দিয়ে একেবারে নিশ্চিত হলাম যে-এই সাতদিন ডাক্তার বেটা লাবণ্যর আশে পাশেও আসবেনা। কারণ এ একটা যাদুর প্যাকেট।
আপনাদের বলতে হবে- কী এমন জিনিস আমি লাবণ্যকে দিলাম। যার জন্য ডাক্তার আর এক সপ্তাহ লাবণ্যের কাছে আসবেনা।
বুদ্ধি বিষয়ক এই ধারার আগের লিখা,এখানে পড়তে পারেন
খুবই সহজ উত্তর। ফানি লজিক। জানলে অবশ্যই মিটিমিটি হাসবেন।
গুড লাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।