ম খা আলমগীরকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার দরকার নেই । প্রায় প্রতিদিনই নিত্য নতুন বক্তব্য দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনি । ছেলে বুড়ো সকলের কাছেই তার বক্তব্য এখন মোটামুটি আনন্দ দানের খোরাক ।
রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ার পর ঘটনাস্থলে আসার পর - ‘দুর্ঘটনার আগে কিছু মৌলবাদী ও
বিএনপির ভাড়াটে লোক সাভারের
ভবনটির গেট ও বিভিন্ন স্তম্ভ
ধরে নাড়াচাড়া করেছিল ।
ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটাকেও
একটি কারণ
হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে’ —
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন
খান আলমগীরের বক্তব্য এটি ।
গত ১৪
মাসে নিয়মিত বিরতিতে তিনি এমন
বক্তব্য দিয়ে সংবাদ ও সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যম দখল
করে রেখেছেন ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক
হিসেবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের
ক্যারিয়ারের শুরু । ছিলেন দুঁদে আমলা ,
ঝুড়িতে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের
অর্থনীতির পিএইচডি , তিন
তিনটি স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি । ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিগত
সরকারে তিনি একাধিক
মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব
পালন করেছেন ।
শুধু যে নাড়াচাড়া তত্ত্ব
দিয়ে ‘খ্যাতি’ পেয়েছিলেন
মহীউদ্দীন খান আলমগীর তা-ই নয় ,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব
নেওয়ার পরপরই সাংবাদিক
দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের
রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের
শাস্তি দেওয়া হবে বলে বাহবা পেয়েছেন , কিন্তু
পারেননি ।
উল্টো এ বছরের ২৭
ফেব্রুয়ারি তিনি নিহত এই সাংবাদিক
দম্পতির দাম্পত্য জীবন
সম্পর্কে কটূক্তি করেন সাংবাদিক
নেতাদের সামনে । পরে অবশ্য
তিনি তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার
করে নেন । আর ঘটনাস্থলে উপস্থিত
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু
তাঁর পক্ষে সাফাই গান এই বলে যে ,
‘মন্ত্রী সরল মনে বলেছেন ।
কৌশলী হলে এভাবে বলতেন না । ’
মহীউদ্দীন খান আলমগীর
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন
ফারুকের ওপর নির্যাতন চালানো পুলিশ
কর্মকর্তা হারুন অর
রশিদকে রাষ্ট্রপতির পদক দেওয়ার
যৌক্তিকতা তুলে ধরে আরেক বিতর্কের
জন্ম দেন ।
তিনি বলেন , ‘তাঁকে পদক
দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ঘটনাও বিবেচনায়
আনা হয়েছে । আপনারা লক্ষ করবেন ,
তিনি (হারুন) তাঁর ওপর অর্পিত
দায়িত্ব পালন করেছেন । ওই ভদ্রলোক
যাকে আপনাদের ভাষায় দমন
করা হয়েছে , তিনি তো মা-
বাবা তুলে গালি দিয়েছেন । ’
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য অবশ্য নোবেল পুরস্কার
দাবি করেছিলেন জয়নুল আবদিন ফারুক ।
কারণ তিনি ‘পেপার স্প্রে’র প্রচলন
করেছেন ।
ওই পেপার স্প্রে ব্যবহার
করা হয়েছিল শিক্ষকদের ওপর , বাম
সংগঠনগুলোর হরতালেও । পেপার
স্প্রে ব্যবহারে উদ্বেগ জানিয়েছিল
আইন ও সালিশ কেন্দ্র ।
উত্তরে চাঁদপুরের কচুয়ায় বঙ্গবন্ধু
ডিগ্রি কলেজের এক
অনুষ্ঠানে ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছিলেন,
‘যখন নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য
নিরাপত্তাকর্মীরা মাঠে যান , তখন
অবৈধ সমাবেশ দমন করতে নিশ্চয়
ফুলের মালা নিয়ে যাবে না ,
বরং দমনের উপকরণ নিয়েই যাবে । ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।