প্রজাপতির মতো একটি সরল জীবন চাই
এক ছিল রামছাগল ।
তার ছিল বিশাল এক প্রেমিক হৃদয় । ঝুড়িভর্তি প্রেম নিয়ে সে প্রতিদিন রোডসাইড রোমিওর বেশে ইতিউতি বিচরন করত । অনেক খোঁজাখুঁজিতে ক্লান্ত রামছাগল হঠাৎ আবিষ্কার করল যে, সে এতদিন বাগানের সুন্দর প্রজাপতি ছেড়ে দূর আকাশের মেঘ এর পিছনে দৌড়িয়েছে…
আসলে রামছাগলের পাশের বাসাতেই থাকতো এক সুন্দরি ‘মুরগী’ । রামছাগল তো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে প্রোপোজ করে বসলো ।
বেচারি মুরগী, প্রথম প্রপোজ বলেই হোক কিংবা রামছাগলের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা ভেবেই হোক,সে রাজি হয়ে গেল।
তো এরপর শুরু হল রামছাগলের প্রেমকাহিনী…
কিন্তু আমরা জানি--- ” Once a রামছাগল, Always a রামছাগল ”
সে ভাবতে লাগলো মুরগীর জীবনে সেই প্রথম কিনা । এটা যাচাই করার জন্য তাঁর মাথায় একটা রামছাগলীয় প্ল্যান আসে। পরদিন ই রামছাগল তাঁর বিশ্বস্ত দেশি বন্ধু “শিয়াল”-এর সাথে দেখা করল। তা রামছাগলের কথা শুনে শিয়াল তাকে এই মহান কর্ম সম্পাদনের আশ্বাস দিল ।
অবশেষে রামছাগল শিয়ালকে তাঁর প্লানের কথা বলল…
১ম প্লান, আগামী এক সপ্তাহ রামছাগল বকের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করবে না এবং শিয়ালকে সে মুরগীর নাম্বার দিয়ে দিবে।
২য় প্লান, এই সুযোগে শিয়াল প্রতিরাত্রে মুরগীকে ফোন করে মুরগীর সাথে কথা বলবে এবং তাকে প্রেমে ফেলানোর চেষ্টা করবে।
যেই ভাবা সেই কাজ । রামছাগল তাঁর প্লান অনুযায়ী মুরগীর সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল । এতে যে মুরগী সারাদিন না খেয়ে থেকে একা একা রুমের মধ্যে পড়ে থাকলো, সেটা রামছাগল কেয়ার ই করল না।
কারণ তাঁর প্লানের মধ্যে নেই যে।
এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেল । ততদিনে মুরগীটাকে প্রচণ্ড ভাল লেগে যায় শিয়ালের । সে ভাবে, এত সুইট একটা মুরগী কেন ঐ রামছাগলের কপালে থাকবে!!! নিঃসঙ্গ মুরগীও হয়তো শিয়াল কে ভাল বন্ধু হিসেবে নিয়ে ফেলে ।
এক মাস পরের ঘটনা।
মুরগীর কথা বলি, তাকে আর শিয়াল কে দেখা যেতে লাগলো এক সাথে। চুটিয়ে প্রেম করে তারা এখন। মাঝে মাঝে হয়তো রামছাগলের ক্যাম্পাসে যেয়ে রামছাগলের চোখের সামনে।
আর শিয়াল ... ??
সে তো মুরগীর কাছে- “রামছাগল আমাকে ছাড়ে না”, তো আবার রামছাগলের কাছে-”মুরগী আমাকে ছাড়ে না” বলতে বলতেই অস্থির…
আর রামছাগল… ??!!
সে তো এখনো নতুন প্রেমের সন্ধানে……কে জানে এখন তার “মেধা”র কেউ সঠিক দাম দিচ্ছে না কেন… হয়তো বাজারে মেধার দাম কমে গেছে…
অনেক রিজেক্টের পর সে এখন প্রেমের সন্ধানে ফেসবুকে একাউন্টও খুলেছে। এখন তার একটাই কাজ সুন্দরীদের ফ্রেন্ড রেকুয়েস্ট পাঠানো, কমেন্টে গিয়ে "অ্যাড মেহ" বলে চিক্কুর পাড়া,আর তাকে সেঁকা দেওয়া মহান ব্যাক্তিদের নাম ও ছবি দিয়ে ফেইক আইডি খুলে বেরানো…
কাহিনীটি এখানেই শেষ…..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।