আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দেশের দুই প্রধান দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি বাড়িতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গোপনে বৈঠক করেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আলোচনার জন্য সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা ফখরুল দুই নেত্রীর কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে যাওয়ার আগে সৈয়দ আশরাফকে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুই দলের সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ব্যবসায়ীদের ওই প্রতিনিধিদল এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করেন।
এর আগে গতকাল দুপুরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফকে টেলিফোন করেন। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে গতকালই তাঁরা মুখোমুখি বসলেন।
গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেন এবং বিএনপিকে ওই সরকারে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর তিন দিন পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করে নির্দলীয় সরকারের পাল্টা প্রস্তাব তুলে ধরেন।
ওই প্রস্তাবের একটি কপিসহ আলোচনায় বসার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফকে চিঠি দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তাঁরা দুজন ফোনেও কথা বলেন।
গত ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেন। তিনি খালেদা জিয়াকে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানান।
খালেদা জিয়া সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি।
সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ নেওয়ার পরদিন খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সংলাপ ও সমঝোতার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। এরপর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনানিবাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁর দলের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানান।
।অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।