আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাই উদ্যোগ, চাই ভরসা

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব গ্রুপের উদ্যোগে একটি বুট ক্যাম্প হয়েছে কয়েকদিন আগে। যেদন সেটি শেষ হয় সেদিন সকালে একটা গোল টেবিল আলোচনাতে গিয়েছিলাম দুইটি অভিজ্ঞতাকে নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে আমার একটি লেখা ছাপা হয়েছে - চাকরি খুঁজব না, চাকরি দেব ইদানিং গ্রামীণ কর্মসংস্থানের একটি বিষয় আমাকে খুবই পীড়া দিচ্ছে। এটি হল গ্রামের তরুনরা কোনভাবে ই পূঁজি যোগাড় করতে পারেন না। এমন কি যে তরুন মাত্র ৫০ হাজার অভাবে তার পুকুরটিকে লাভজনক উদ্যোগে পরিণত করতে পারছেন না, তিনিই আবার মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে তিন লক্ষ টাকা যোগাড় করে ফেলেন! যখন কী না তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যান শ্রমিকের চাকরি নিয়ে!!! তার মানে দাড়াচ্ছে আমরা কোন ভাবেই উদ্যোক্তা হওয়ার ব্যাপারে কাউকে আগ্রহী করতে চাই না।

প্রশ্ন হচ্ছে সরকার বা বড় কর্পোরেটদের কাছে নানান তদবির আর দাবী দাওয়া করে কি এই থেকে আমাদের মুক্তি হবে? আমি আসলে এনালিস্ট নই, কামলা শ্রেণীর লোক। যদিও অলস। তাই আমার হিসাব সোজা। আমাদের যা কিছু আছে, তা-ই নিয়ে নতুন আর হবু উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আত্মকর্মসংস্থানের মূল বিষয়গুলো শিক্ষাক্রমের আওতায় আনতে হবে।

ক্যারিয়ার ক্লাবের পাশাপাশি এন্ট্রাপ্রেনিউর ক্লাব বানাতে হবে। শিক্ষার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত লেখা যেমন শিখবে, তেমনি ঋণের প্রস্তাব আর উদ্যোগের পরিকল্পনাও করতে শিখবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে কিছু কিছু ব্যবসা উদ্যোগ-সম্পর্কিত প্রতিযোগিতা ইদানীং শুরু হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পাওয়া উদ্যোগগুলো যাতে শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিতে পারে, তার জন্য চেষ্টা চালাতে উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশে যেন ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আর এনজেল ইনভেস্টরদের উদ্যোগগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ভিত্তি পায়, সে জন্য আরও তৎপর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

কয়েকটি ছোট নীতিমালা হলেই প্রবাসীরা তরুণদের উদ্যোগে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাত্র ১০ শতাংশকে যদি জমির দাম বাড়ানো থেকে বিনিয়োগে রূপান্তর করা যায়, তাহলেই বছরে নতুন দেড় লাখ উদ্যোক্তার সংস্থান হয়ে যেতে পারে। প্রতিবছর ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর বিশ্ব উদ্যোক্তা সপ্তাহ হিসেবে পালিত হয়। এ বছর এটি আমাদের দেশেও নানাভাবে পালিত হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আয়োজিত হয়েছে শুরুতে উল্লেখ করা ‘উদ্যোক্তা বুট ক্যাম্প’।

হচ্ছে আরও নানা আয়োজন। কেবল সাহস আর অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে পুঁজি করে অনেক তরুণ-তরুণীই এখন পথ না হারানোর পথে নেমে পড়েছে। তাদের জীবনের মূল মন্ত্র হয়ে উঠছে, তারা ‘চাকরি খুঁজবে না, চাকরি দেবে’। পরিবার, ব্যাংক, স্থানীয় করপোরেট, সরকার আর সমাজ—সবাই মিলে আমরা যেন তাদের ভরসা হতে পারি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।