ফেরি-সংকট ও ডুবোচরের কারণে ইলিশা-মজুচৌধুরীরহাট নৌপথে যানবাহন পারাপার মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে ইলিশা ও মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটে শতাধিক যান আট-দশ দিন পর্যন্ত আটকে থাকছে। এই কারণে বাসযাত্রী ও ট্রাকচালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই নৌপথে নিয়মিত কামেনী, কস্তুরী ও কিষানী নামে তিনটি ফেরি চলাচল করত। অক্টোবরের শেষ দিকে ইঞ্জিনে ক্রটি দেখা দেওয়ায় কামেনী নামের ফেরিটি সরিয়ে নেওয়া হয়।
বর্তমানে কস্তুরী ও কিষানী দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। দুই-এক দিন পর পর একটি ফেরি বিকল হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এই নৌপথের বিভিন্ন স্থানে ডুবোচর পড়েছে। এই কারণে চালকেরা ভাটার সময় বেশি যানবাহন নিয়ে ফেরি চালাতে চাচ্ছেন না। এসব কারণে দুই ঘাটে যানবাহন আটকে থাকছে।
গতকাল রোববার ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে শতাধিক বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস আটকে থাকতে দেখা যায়।
লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাট থেকে মুঠোফোনে জাকির হোসেন নামের এক ট্রাকচালক জানান, গত ১০ দিন ধরে মজুচৌধুরীরহাট ঘাটে শতাধিক ট্রাক আটকে আছে। চালকেরা ডুবোচরের দোহাই দিয়ে ধারণক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে ফেরি চালাচ্ছেন।
যাত্রী, চালক ও যানবাহনের মালিকেরা অভিযোগ করেন, বিআইডব্লিউটিসি যথাযথভাবে সংস্কার না করায় প্রায়ই এই নৌপথের ফেরি বিকল হয়ে যাচ্ছে। তাঁরা বলেন, এই নৌপথ দিয়ে চট্টগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ যাতায়াত করেন।
ইলিশা ফেরিঘাটে কথা হয় ট্রাকচালক আবদুল লতিফের সঙ্গে। তিনি জানান, দিনের পর দিন ঘাটে থাকায় মাছ, গরু ও কাঁচামালবোঝাই ট্রাকগুলোর চালকদের ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতিতে পড়তে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি ইলিশা ও মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, গত সেপ্টেম্বর থেকে ডুবোচরের কারণে ভাটার সময় ফেরি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। ইলিশাঘাট এবং লক্ষ্মীপুরের রহমতখালী চ্যানেল এলাকার মেঘনায় ডুবোচর পড়ায় ফেরি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রায়ই ফেরি বিকল হয়ে যাওয়ায় দুই পাড়ে বাস ও ট্রাক আটকে থাকছে।
তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।
আিইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সারা দেশেই ফেরি-সংকট আছে। মাওয়া-কাওড়াকান্দি এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের ফেরি নিয়ে এমনিতেই সমস্যায় আছি। আশা করি, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নভেম্বরের শেষ নাগাদ দুটি নতুন ফেরি দিতে পারব। ’
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।