আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দয়া করে গাড়ি পুড়াবেন না। দরকার হলে গাড়ি ভেঙ্গে খান খান করে ফেলুন।

সত্য পথের অনুসন্ধানি

বিএনপি তথা আটার দলীয় জোটের শান্ত শিষ্ট ভদ্র কর্মী বাহিনীদের প্রতি একটি অনুরোধ। আপনাদের কথা না শুনলে গাড়িওয়ালা, ট্রেন ওয়ালাদের পাছায় গজারী লাঠির বাড়ি দিন , তাও না শুনলে সামনের গ্লাসটা ভেঙ্গে দিন। তারপরও দয়া করে আগুন দিবেন না। হরতাল অবরোধে আমার কোন আপত্তি নেই । দেশটা আপনাদের সব অধিকারও আপনাদের ।

দেশটা চালাবেনও আপনারা। দেশটার ১২ টা বাজাতে চাইলে তাও পারবেন আপনারা। আপনাদের বা আপনাদের প্রতিপক্ষ কাউকে দোষ দিচ্ছি না। দোষ আমাদের কপালের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল ভাগনি পরিবার সহ।

বললাম দুই দিন থেকে যান বেড়িয়ে যান । কাল সাড়ে ৩ টার সুবর্ন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটা ছিল তাদের জন্য। বগি লাইন চ্যুত হওয়ায় সেটা ছাড়ে রাত ১০ টায়। তাও ভালো কোন মতে ট্রেনে তুলে দিয়ে ঘুমালাম। হায়! সকালে উঠে ফোন করে দেখি তারা আখাওড়া স্টেশনে।

শান্ত শিষ্ট ভাইয়েরা ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছেন। এত কঠিন কর্ম তাহারা কত সহজে করলেন? ট্রেন লাইন উপড়ানো অনেক শক্ত কাজ এবং ভালো হাতিয়ার যন্ত্রপাতি লাগে। কিন্তু আমাদের কর্মী ভাইয়েরা এসব কিছুকে তোয়াক্কা করে না। মা-বাপের বাজার করে আনার কথা ফেলে দিতে পারেন কিন্তু ফখরুল ভাইয়ের কথা কিভাবে ফেলবেন ? মীর্জা ফখরুলের ঘোষণার দেরী আছে কিন্তু গভীর রাতে কাজে নেমে পড়তে দেরী নেই। উৎসব মুখর পরিবেশর শীতের মধুময় রাতে তাহারা উপড়ে ফেলেছেন এক একটা রেল লাইন।

তাহারা এখনো স্টেশনেরই আছে। আমার আত্মীয় স্বজন বসে থাক - সমস্যা কি? তাদের খাওয়া দাওয়া বাথরুম যাওয়া সব সমস্যা নিয়ে কি মাথা ঘামালে কি চলবে? ক্ষমতায় যেতে এবং থাকতে অনেক দেরী যাচ্ছে অনেক। জানা মতে তাহারাও আঠারো দলের ভোটার । তাহারা ও বুঝুক আঠারো দল কত ভালো!! কার দোষ দিবো এ সবের জন্য? ঐ ট্রেনে ভোট নিলে আঠারো দল পাবে ৬৫ ভোট আর সরকারী দল পাবে ৩৫ ভোট । ৬৫ ভাগের নেত্রী ও তাদের ইনসিকিউটি চিন্তা করে না ৩৫ ভাগের নেত্রীও সেটা চিন্তা করে না।

মানুষ পুড়লে -এত এত দামী গাড়ি পুড়লে মনে এখনো কেন যেন ব্যাথা লাগে। এ জন্যই হয়ত দলীয় কর্মী হতে পারলাম না। পরিশেষে আপনাদের প্রতি আবারো অনুরোধ - দয়া করে আগুনের ব্যবহারটা নিয়ন্ত্রণ করুন। গাজারি লাঠি নিয়ে সব ভেঙ্গে ফেলুন সমস্যা নাই। কিন্তু আগুন দেওয়াটা ভালো না।

সে আগুন একদিন আপনার ঘর বাড়িও পুড়াতে পারে। বিএনপি পুড়লেও ব্যাথা লাগে আওয়ামীলীগ পুড়লেও ব্যাথা লাগে। মানুষতো সবাই, এক দেশেরইতো মানুষ। যে কোন মিছিল গেলে শুনতে পাই - জ্বালো জ্বালো! আগুন জ্বালাও এক সাথে। ভাই এবার একটু ভাঙ্গুন বহুত জ্বালিয়েছেন এবার হাতের কাছে রাখা পেট্রোল এবং ম্যাচের কাঠিটা হাতির ঝিলে ফেলে দিয়ে আসুন।

ভালো থাকুন আপনারা। আপনারইতো করবেন আগামী দিনের অন্যরকম বাংলাদেশ, আপনারা থাকতে পথ হারাবেনা বাংলাদেশ!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।