আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থাই সরকার অবরুদ্ধ

বিক্ষোভকারীরা সোমবার অর্থমন্ত্রণালয় দখল করা থেকে শুরু করে পরে একে একে অন্যান্য মন্ত্রণালয় দখল করে নেয়।
বিক্ষোভের চতুর্থদিনে বুধবার বিকালে শ’ শ’ বিক্ষোভকারী দেশের বিশেষ তদন্ত বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট অব স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন-‘ডিএসআই’) ঘেরাও করে সেখান থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সরে যেতে বাধ্য করেছে।
ডিএসআই সরকারবিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করে পক্ষপাতদুষ্ট তদন্তকাজ পরিচালনা করছে অভিযোগে বিক্ষোভকারীরা এ বিভাগ ঘেরাও করে।
সরকার পতনের দাবিতে আন্দোলনরতরা ব্যাংককের বাইরের সরকারি কার্যালয়গুলোকেও অবরুদ্ধ করার চেষ্টা নেয়।
বুধবার তারা ব্যাংককে শ্রম, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমানে বিক্ষোভে জড়ো হওয়া ছাড়াও ১৯ টি প্রদেশের স্থানীয় সরকারি কার্যালয়গুলোতে জড়ো হয়।


ইংলাক তার ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার কথায় দেশ পরিচালনা করছেন অভিযোগে বিক্ষোভকারীরা ইংলাকের পদত্যাগ দাবি করে।
থাইল্যান্ডে সরকার বিরোধী এ বিক্ষোভ কয়েক সপ্তাহ ধরে চললেও তা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। গত দুইদিনে রাজধানী ব্যাংককে বিক্ষোভকারীদের অবরোধের মুখে খালি করা হয়েছে ৫ টি মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয় এখনো বিক্ষোভকারীদের দখলে রয়েছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মকর্তাদেরকে কারফিউ জারি করারও এখতিয়ার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক।

তবে সরকার বিক্ষোভকারীদের ওপর বল প্রয়োগ করবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
থাইল্যান্ডে ‘থাকসিনের শাসন’ নয় নির্বাচিত সরকারের শাসন চলছে বলে দাবি করেন ইংলাক। তবে বিক্ষোভকারীরা সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত থামবে না বলে জানিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে এবং ক্ষমতাসীন দলই আবার জিততে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।