সাম্প্রতিক কালের কিছু জরিপে দেখা গেছে দুটো বিষয়ে দেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে। একঃ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দুইঃ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। অতি নগন্য সংখ্যক দলকানা, দলবাজ, যুদ্ধংদেহী, মতলববাজ লোক দেশে রয়েছেন যারা একটাকে সমর্থন করেন কিন্তূ অন্যটা করেন না। কারনটা সহজেই বোধগম্য। অথচ, গনতন্ত্রের স্বার্থে, আইনের শাষনের স্বার্থে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে, 'আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব' নীতির স্বার্থে, সম অধিকারের স্বার্থে, 'অপরাধী যত বড়ই হোক, আইন সকলের জন্য সমান' নীতির স্বার্থে, গণ প্রজাতন্ত্রের স্বার্থে, জনগনের রাজ কায়েমের স্বার্থে উপরোক্ত দুটোই সমান গুরুত্বপুর্ণ।
ইন্টারেষ্টিং বিষয় হলো, দেশের জনগন কিন্তূ তাই মনে করে। যে কারনে নানান কায়দায়, নানান ঢংয়ে, পরস্পর বিরোধী গ্রুপ বা দলের স্বার্থে করা জরিপে দেখা গেছে রেজাল্ট কিন্তূ একই। অর্থাৎ একটা গ্রুপ তাদের স্বার্থে করা জরীপে দেখিয়েছে দেশের ব্যাপক মানুষের সমর্থন রয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে। ভিন্ন গ্রুপ দেখিয়েছে, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কেয়ার টেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। সুতরাং উভয় গ্রুপের জরীপটা একসাথে করলে যেটা দাড়ায়, তা হলো, তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনও চায়।
কারন দেশের মানুষ সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। যে সত্যটা কখনো আপনার পক্ষে, কখনো আপনার বিপক্ষে যেতে পারে, কারন আপনি নিজেই নিজের হীন স্বার্থে সত্য আর মিথ্যার বিপরীত প্রান্তে দৌড়াদৌড়ি করেন, জনগন কিন্তূ তা করে না, তারা সুযোগ পেলেই সঠিক কথা বলতে, সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে কখনোই ভুল করে না। আর মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা স্বৈরাচারেরা গনতন্ত্রের ধোকাবাজির ডালি নিয়ে জনগনের দ্বারে গেলেও মানুষ ঠিকই তাদেরকে চিনে ফেলে। তাই যদি না হবে, তা হলে কেন এত হানাহানি, কেন এত খুনাখুনি, কেন এত রক্তপাত? আপনারা যদি এতই সতী সাধী হবেন, তাহলে উপরোক্ত দুটো বিষয়ই মেনে নিতে সমস্যা থাকারতো কথা নয়!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।