(আমার জেনারেল হওয়ার আগের আরেকটি লেখা । কিছু আপডেট করে আবার শেয়ার করলাম। )
আমার কাছে ব্লগিং-এর সবচেয়ে সেরা অংশ হলো বিভিন্ন ব্লগারগণের রসালো ও মজার কমেন্টসগুলো। আমি প্রতিদিন সামুতে আসি। নানান মজার কমেন্টস পড়ে মনের অজান্তেই হঠাৎ হো হো করে হেসে উঠি।
আর একটু দূরে বসা আমার বয়স্ক বস বলে ‘কি ব্যাপার কি হলো তোমার? আমি তারাতারি নিজেকে সামলে নিয়ে বলি, ‘কিছু হয়নি স্যার, হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ে গেল’।
যাইহোক, কোন লেখা পড়ে ব্লগারগণ নানা ধরণের মন্তব্য বা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে থাকেন। এর মধ্যে কোনটা ভাল, কোনটা প্রেরণাদায়ক, আবার কোনটা মন্দ। কোন ব্লগারের চিন্তা-ভাবনা কতটুকু যুক্তিসংগত তা অনেকটাই যাচাই হয়ে যায় পাঠকদের মন্তব্যের মাধ্যমে। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে।
বিশেষ করে রাজনৈতিক বা ধর্মীয় আলোচনার ক্ষেত্রে চিন্তা-চেতনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মতের মিল থাকা। মতের মিল হলে সবাই বলে ‘একমত’ সহমত’। অন্যথা হলেই ব্লা ব্লা ব্লা...। আমার আজকের লেখার মূল বিষয় হলো সামু-র সবচেয়ে পরিচিত, বহু উচ্চারিত, বহুল আলোচিত, বহু ব্যবহৃত মন্তব্যসমূহ নিয়ে। একটা কথা, এখানকার একটা কথাও আমার নিজের না।
আমি বিভিন্নজনের লেখা পড়ে এটা সংগ্রহ করেছি। ওকে, শুরু করা যাক।
অভিনন্দনসূচক মন্তব্যসমূহঃ
নতুন ব্লগারগণ যখন ‘জেনারেল’ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন তখন পুরাতন ব্লগারগণ তাকে বা তাদের ব্লগিং জগতে শুভকামনা করে নানান কিসিমের মন্তব্য করেন। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, ‘হ্যাপি ব্লগিং’, ‘অভিনন্দন আপনাকে’, মিস্টি কোথায় মিয়া/বোন’, ‘ভাল লেখা পাব আশা করি’, কয়দিন লাগল ভাইজান’ ইত্যাদি হরেক রকমের মন্তব্য করে নুতুন ব্লগারকে আনন্দের সাগরে ভাসিয়ে দেন। (উল্লেখ্য আমি জেনারেল হোয়ার সময়ে ৬ জন ব্লগার ৭টি মন্তব্য করে আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এবং ৬৯ জন নাম না জানা ব্লগার আমার লেখাটি পড়েছিলেন।
বাকী জীবনের জন্য আমি তাদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। )
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যসমূহঃ
• কেউ যদি নতুন আইডিয়া, নতুন কোন সুসংবাদ, দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনে এমন কিছু কাজ করে বা এ জাতীয় পোস্ট দেয় তাহলে সবাই একযোগে বলতে থাকে ‘অনেক অনেক অভিনন্দন’ ‘চমৎকার’ ‘সাবাস’ ‘চালিয়ে যান’ ‘শুভেচ্ছা’ ইত্যাদি। এটা খুবই প্রেরণাদায়ক। এটা ব্লগের পরিবেশ কে খুব সুন্দর করে, অনেক ক্ষেত্রে ব্লগারদের আবেগপ্রবণ করে তোলে।
• কোন লেখায় যখন মতামত জাতীয় কিছু দেয়া হয় এবং তা সঠিক বলে প্রতীয়মান হয় তখন সহ ব্লগার ‘সহমত ভাই’ ‘প্রবল ভাবে একমত” জাতীয় কমেন্টস দেন।
এগুলো খুব ভালো মন্তব্য।
• কোন ব্লগ লিখে যদি আপনি শুনতে পান বা দেখতে পান “সেরাম লিখেছেন’ ‘ভালো লিখছেন’ ‘পুস্ট কুপাকুপি হইছে!”তাহলে আপনার ব্লগ লেখা স্বার্থক। সবাই এইরকম মন্তব্য পেতেই ব্লগিং করে। এ জাতীয় আরো কিছু মন্তব্য হলো, ‘অচাম পোস্ট হইছে’ ‘ভালো লাগল’ ‘ভালোলাগা রইল’ ‘চ্রম হৈছে’ ইত্যাদি।
মন ছুঁয়ে যাওয়া মন্তব্যসমূহঃ
ব্লগে মাঝে মাঝে কিছু কিছু লেখা দেখা যায় যা পড়লে মনের ভেতরে এক ধরণের প্রচন্ড ভালোলাগা কাজ করে, মন ভরে যায়, সবাই মন খুলে প্রশংসা করে।
এমনি লেখার ক্ষেত্রে মন্তব্যগুলো হলোঃ ‘মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট’ ‘প্রিয়তে নিলাম’ বা ‘সোজা প্রিয়তে’ ‘লাইক দেবার জন্য লগ ইন করলাম বস’ ‘প্লাস দিলাম’ ‘মারাত্তক জোস হইসে’ ‘+++’ কি ‘চমৎকার দেখা গেল’ ‘পুত্তুম পেলাচটা কইলাম আমি দিচি’ ‘ভাললাগায় মন ছুয়ে গেল’ ইত্যাদি। প্রতিটা ব্লগারের স্বপ্ন এমন মন্তব্য পাওয়া। হাজারো লেখার ভীড়ে সামান্য কিছু লেখায় এমন মন্তব্য পাওয়া যায়। আমার ধারণা এই ভালোবাসপূণ মন্তব্য কোন ব্লগার পেলে তার লেখা, তার ব্লগ জীবন খুবই আনন্দময় হয়ে উঠে। তার অনেক ভক্ত তৈরি হয়।
ব্লগার সমাজে তার অবস্থান পাকাপোক্ত হয়। সব পাঠক তার নেক্সট লেখার জন্য প্রতীক্ষা করতে থাকে।
আহারে!
যদি লিখতে পারতাম এমন লেখা
পাইতাম সবার এমন ভালোবাসা!!!
রাজনৈতিক মন্তব্যসমূহঃ
• রাজনৈতিক মন্তব্য হরহামেশা শুনতে পাওয়া যায়। আমার স্বল্প ব্লগ জীবনে দেখছি যে রাজনীতি সামু-র একটা জনপ্রিয় আইটেম। বাজ্ঞালীরা রাজনীতি পছন্দ করে এটা কে না জানে! প্রথমেই জাশিদের কথা বলা যায়।
জাশিদের জন্য সামু একটা অগ্নিকুন্ডের মত। এখানে তাদের টিকে থাকাই অনেক কঠিন। ছাগু, বহুল প্রচারিত, বহু ব্যবহৃত এবং অনেক সময় অপ-ব্যবহৃত, কারো কাছে গালি হিসাবে চিহ্নিত একটি মন্তব্য। এ জাতীয় আরো কিছু মন্তব্য হলো ‘ল্যাজ্ঞা ইজ আ ভেরী ডিফিকাল্ট থিং টু হাইড’, ‘কাঠাল পাতা ইজ আ ভেষ্ট থিং’, ‘পাদা’ কাঠাল পাতা খাও’, ‘দেশটা ছাগুতে ভরে গেল’, ‘এত ছাগু আসলো কুথা থাইকা বুঝলাম না’ ‘ছুপা ছাগু’ ইত্যাদি। কেউই এটা শুনতে ভালো বোধ করে না।
কিন্তু শুনতে হয়। সাধারনতঃ দেখা যায় জাশিদের গুণগানমূলক পোস্ট, লীগপন্থীদের সমালোচনামুলক পোস্ট এমনকি বিএনপি-র সমর্থনমুলক পোস্টেও ছাগু জাতীয় মন্তব্য শোনা যায়। অনেকের মতে যুক্তিহীনদের কাছে last option হচ্ছে ‘ছাগু’ বলে গালি দেয়া।
• এরপরে আলাপ করা যায় জাতীয়তাবাদী দল তথা বিএনপি-র সমর্থনকারীদের কথা। তাদেরকে বলা হয় ছাগীয়তাবাদী হিসাবে।
কি সাংঘাতিক!!! আরো যা বলা হয়ঃ ‘ছাগীয়তাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘এরা এখন জামাতের বি টিম্’, ‘আদর্শ বলে আর কিছু নেই তাদের’ ইত্যাদি। আমার মনে হয় জাশি সংশ্লিস্টতার জন্যই এমন বলা হয়ে থাকে। এটাও কেউ প্রত্যাশা করে না। কিন্তু আপনি অন্যের মুখ বন্ধ করবেন কি দিয়ে?
• এবার লীগপন্থীদের কথা আলাপ হোক। সামুতে এদের অনেক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
তবু গালির হাত থেকে রেহাই নেই! কাউকে ছাগু বলে গালি দিলেই পালটা গালি হিসেবে তাদের শুনতে হয়, ‘আইলো লীগের দালাল’, বা ‘ভাদা’ ‘বলদ একটা’, ‘আপনার পোষ্ট দিয়ে হাম্বার গন্ধ কেন’, ‘পুরাই আওয়ামী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মার্কা কথাবার্তা্’, কিংবা কথায় কথায় যারা ছাগু বলে টিপ্পনি কাটে তাদের জন্য বরাদ্দ ‘ট্যাগবাজ’ টাইটেল। অনেক সময় দেখা যায় ‘তুই সত্যি একটা আওয়ামী লীগ’ একটা গালি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অদ্ভুত!!! লীগারদের অতি প্রিয় (এক সময়ের সবার প্রিয় ছিল) একটি মন্তব্য হলো ‘জয় বাংলা’।
• হনুদের কথা না বললে আবার ‘ছাগু’ ট্যাগ পেয়ে যেতে পারি। হাহাহা।
সামান্য কিছু নাস্তিক টাইপের ব্লগার আছেন সামুতে (যদিও ব্যক্তিগত ভাবে আমি কাউকে নাস্তিক বলতে চাই না)। এদের প্রতাপ লক্ষনীয়। এরা মাঝে মাঝেই চুলকানীযুক্ত পোস্ট দেয়। আর সাথে সাথেই গালাগালির হিড়িক পড়ে যায়। গালাগালির কথা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
এদের জন্য এটাই বলা যায়, ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
ধর্মীয় ব্যাপারে হনুদের ভূমিকা মারাত্বক। আমরা জানি নাস্তিক মানেই ধর্ম-কর্ম থেকে তারা শত মাইল দূরে। কিন্তু খুবই আশ্চর্যের বিষয় হলো এরা ধর্ম-কর্ম নিয়েই পরে থাকে!!! পুরাই অস্থির অবস্থা!!! তাই এটা আলাদা করলাম না। ধর্মীয় মতভেদমুলক আলোচনাও এখানে প্রচুর।
আমি ধর্মের ব্যাপারে কোন প্যাচাল পছন্দ করি না।
লুল মন্তব্যসমূহঃ
সামু ইতিমধ্যে লুল সাহিত্যে বেশ উল্লেখজযোগ্য অগ্রগতী অর্জন করেছে। বেশ কয়জন ডাকসাইটে লুল পন্ডিত নিয়মিতভাবে এই রসাল সাহিত্য আমাদের নিয়মিত উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। যারা সরাসরি কথা বলতে ভালবাসেন তারা আবার একে লুইচ্চামি বলে ডেকে থাকেন। এখানকার মন্তব্যগুলো বলতেও আমার লইজ্জ্য লাগছে!!! তবু কপি মেরে দিলাম।
‘উফ ঠোঁট! সে তো আর শুধু ঠোঁট নয়, যেন কোন মরুদ্যানের শীতল জলাধার’ ‘আহা!! সুন্দর সুন্দর!! ‘ঠোঁট! সে যেন কমলার একখন্ড কোয়া’ ‘পরান যায় জ্বলিয়া রে’ ‘অমুকের রান... ইত্যাদি।
ফান মন্তব্যসমূহঃ
কোন কোন লেখা অনেক হাস্যরস উদ্দ্রেক করে। আবার কোন লেখার মাথামুন্ড কিছু বোঝা না গেলে অনেক ফানি মন্তব্য দেখা যায়। যেমন, ‘পুরাই বিনোদন’ ‘মাইরালা আমারে কেউ মাইরালা’ ‘তেব্র নেন্দা জানালাম’ ‘কস্কি মোমিন’ ‘কেউ আমারে ধর’ ‘হাসতে হাসতে লুঙ্গির গিট্টু খুইল্যা গেল’ ইত্যাদি।
স্বান্তনাদায়ক মন্তব্যসমূহঃ
কোন ব্লগার যখন তার জীবনের কোন দুঃখময় ঘটনা বলেন বা কারো মৃত্যু সংবাদ বা এ জাতীয় পোস্ট দেন তখন সহ ব্লগারগণ তাকে অনেক স্বান্তনাদায়ক কথা বলেন।
যথাঃ ‘প্রভু এই প্রার্থনা কবুল করুন’ ‘তিনি যেন ভাল থাকেন এই দোয়া করি’ ‘তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন তিনি বা সুস্থ্য হয়ে উঠুক আপনার...’ ইত্যাদি। এগুলো পড়ে খুব ভাল লাগে। সত্যি সামু যেন আমাদের বন্ধুদের এক মিলনমেলা।
অবজ্ঞাসূচক মন্তব্যসমূহঃ
কিছু ব্লগার মূল বিষয়বস্তু ঠিক না রেখে বা ভুল তথ্য দিয়ে বা ধান বানতে শিবের গীত টাইপের লেখা দিলে অথবা সময়োচিত কোন লেখা না দিলে কিংবা যুক্তিহীন কোন কথা বললে নানা রঙের রসাল মন্তব্য আপনাকে শুনতে হবে, যথাঃ ‘হুদাই ক্যাচাল’ ‘ব্লগ আজে বাজে পোস্টে ভরে গেছে’ ‘আরো ভাল পোস্ট চাই’ ‘আজিব তো’। এগলো মোটামুটি ভদ্রস্থ মনে হলেও কেউ কেউ বলেই ফেলেন ‘অতিমাত্রায় বালপুষ্ট!!!’ আমরা কেউই এই জাতীয় কমেন্টস আশা করি না, কি বলেন?
রিপোর্টেড মন্তব্যসমূহঃ
কেউ যদি ক্যাচাল সৃষ্টিকারী, বিতর্কিত বিষয়ে লেখালেখি, ধর্মীয় উত্তেজনামূলক, রাজনৈতিক প্যাচাল সৃষ্টিকারী পোস্ট দেন তাহলে যে মন্তব্যগুলো শোনা যায় তা হলঃ ‘আইপিসহ ব্যান করা হোক’ ‘মডুকে রির্পোট করলাম’ ‘সামু থেকে একে লাত্থাইয়া খেদানো হোক’ ‘একে গণহারে ধোলাই দেয়া হোক’ ইত্যাদি।
তবে কেউ কেউ কয়েক ডিগ্রী নেমে গিয়ে বলে ফেলেন ‘খাপো, ‘বা...ত’ ‘কোন ব্রান্ডের মাল টানিস’ ‘গাঞ্জায় টান বেশী পড়েছে মনে হয়’ ইত্যাদি।
দলবাজদের প্রতি মন্তব্যসমূহঃ
কোন কোন ব্লগার খোলাখুলি ভাবে রাজনৈতিক অবস্থান নেন। এটা দোষের কিছু নয়। তবে অনেকে উলংগভাবে মূল সত্য কে এড়িয়ে দলবাজী করে থাকেন। তাদের কপালে জোটে ‘এরা গৃহপালিত ব্লগার’ ‘পেইড ব্লগার’ ‘দালালী কইরা মাসে কত কামাস’ ‘জানতে ইচ্ছে করে এদের সেলারী কত’ ইত্যাদি।
আবালীয় পোস্টের প্রতি মন্তব্যসমূহঃ
কেউ কেউ কিছু আবালীয় বা অযথা পোস্ট করে থাকেন। এর ফলাফল খুবই খারাপ হয়ে থাকে। এ জাতীয় লেখার জন্য ব্লগারকে অনেক মূল্য দিতে হয়। কী মন্তব্য জোটে তাদের কপালে? চলুন শুনি। ‘পাবনা থেকে ছাড়া পাইছেন কবে ভাইজান’ ‘এই সব আবাল যে কই থাইক্কা আসে’ ‘হাস্তেই আচি হাস্তেই আচি’ ‘হে আল্লাহ মই ফেলান, উপরে উঠব’ ‘মিয়া, কচু কাছের সাথে ঝুলে পরেন’ ‘ব্লগিং না কইরা স্কুলে ভর্তি হন’ ইত্যাদি।
এই ব্যাপক গালাগালির তোপে অনেক ব্লগারের ব্লগ জীবনের পরিসমাপ্তিও ঘটে। কাজেই সাধু সাবধান!
ইমোটিকোনঃ
কোন শব্দ ব্যবহার না করে একটা ইমো দিয়ে যেভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় তা অতুলনীয়। আমার ভীষণ পছন্দের এটি। যে কয়েকটি ইমো সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত হয় তা হলো,
মডুদের প্রতি মন্তব্যসমূহঃ
আমরা বীর বাজ্ঞালী। আমাদের হাত থেকে কারো নিস্তার নেই।
তাহলে মডু বাদ যাবে কেন? মডুদের প্রতিও অনেকেই আঙ্গুল তোলেন। এতে আমি খারাপ কিছু দেখি না। এটা ভারসাম্য বজায় রাখতে ব্যাপক ভুমিকা রাখে। সাধারণতঃ কোন ক্যাচাল সৃষ্টিকারী, বিতর্কিত বিষয়ে লেখালেখি, ধর্মীয় উত্তেজনামূলক, রাজনৈতিক প্যাচাল সৃষ্টিকারী পোস্ট যখন দিনের পর দিন ঝুলে থাকে তখন মডুদের মন্তব্য বক্স খোলা হয়। তবে মন্তব্যগুলো মোটামুটি ভদ্রস্থগোছেরই হয়।
জাতে মাতাল হলেও আমরা কিন্তু তালে ঠিক থাকি!! মন্তব্যগুলো হলোঃ ‘মডু বহুত ঘুমাইছেন এইবার ঘুম থাইকা উঠেন’ ‘মডু ইদানিং চোখে কম দেখে মনে হয়’ ‘এই ছাগলটাকে/হনুটাকে/ভাদা টাকে/পাগলা কুত্তা টাকে খোয়ারে ভরেন’। কেউ কেউ মডুদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন করতে ছাড়েন না। মডুগণ বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলোকে ইতিবাচক ভাবেই দেখেন। এজন্যই সামু অন্য সব ব্লগ থেকে অনেক এগিয়ে। সামু কে বলা যায় ‘জনগণের ব্লগ’।
অনেক সময় জনহিতকর, জনসচেতনাতামুলক পোস্ট কে উল্লেখ করে বলা হয় ‘স্টিকি করা হোক’ ‘এটা কে ভাল করে আঠা লাগিয়ে টাঙ্গানো হোক’ ইত্যাদি। এই ব্যাপারে সামু দেশের জন্য, সমাজের জন্য বা কোন ব্যক্তিবিশেষের কল্যাণের জন্য অতীতে অনেক বড় ভুমিকা পালন করেছে। আশা করি এটা অব্যহত থাকবে।
আরো অনেক মন্তব্য হয়ত বাদ পরে গেছে। সবগুলো সন্নিবেশ করতে পারলে ভালো লাগত।
কিন্তু যতটুকু পেরেছি চেস্টা করেছি। যেগুলো বাদ গেল সেগুলো আপনারা যোগ করে দিবেন। সবাই কে আগাম শুভেচ্ছা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।