কাদিয়ান হল বর্তমান ভারতের পাঞ্জাবে অবস্থিত একটি এলাকার নাম। সেখানকার এক ব্যক্তি মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী ১৯০১ সালে বৃটিশ শাসন আমলে নিজেকে নবী দাবী করেছিল। সে ১৯০৮ সালে ২৬মে কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে লাহোরে মারা যায়। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর প্রথম খলিফা হাকীম নূরদ্দীন,দ্বিতীয় খলিফা মির্যা মাহমুদ,তৃতীয় খলিফা মির্যা নাছির,চতুর্থ খলিফা তাহের এবং বর্তমান পঞ্চম খলিফা মসরুর কাদিয়ানী। সে লন্ডনে বসবাস করে।
আল্লাহ মানব জাতির হিদায়েতের জন্য নবুওয়ত ও রিসালাতের যে পবিত্র ধারাবাহিকতা আদম(আ)হতে আরাম্ভ করেছিলেন তা শেষ জামানার নবী মুহাম্মদ(সা)এর উপর সমাপ্ত করেছেন। তার পরে কোন নবী সৃষ্টি হবে না। পবিত্র কোরআনের ৯৯টি আয়াত এবং মুহাম্মদ(সা) এর বহু সংখ্যক হাদীস সাহাবায়ে কেরামের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত(ইজমা) সমস্ত ওলামায়ে কেরামের সর্বসম্মত ফয়সালা যে মুহাম্মদ(সা) সর্বশেষ নবী ও রাসূল। মুসলিম উম্মতের এটাও সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত যে মুহাম্মদ(সা)এর পরে যে কেউ নবুওয়ত ও রিসালাতের দাবী করবে সে মিথ্যুক,দাজ্জাল,অপবাদ দাতা এবং কাফের। তার সাথে ইসলাম ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।
এ ধরনের মিথ্যুক নবুওয়তের দাবিদারকে যদি কেউ নবী মানে সেও কাফের হয়ে যাবে। সমস্ত মুসলমানদের জানানো যাচ্ছে যে কাদিয়ানী সম্প্রদায় যারা নিজেদের কে আহমদী ও আহমদী জামাত বলে পরিচয় দেয়। তারা M.TA.অর্থাত্ মুসলিম টেলিভিশন আহমদীয়া নামে 24 ঘন্টার একটি টেলিভিশন চ্যানেল পরিচালনা করে। কাদিয়ানীদের ওয়েব সাইটের নাম http://www.alislam.org । কাদিয়ানীদের টিভি চ্যানেল ও ওয়েব সাইটের মাধ্যমে ইসলামের আবরনে তাদের কুফরী মতবাদ প্রচার করে।
কাদিয়ানীরা সরল প্রান মুসলিমদের বোঝাতে চায় তাদের টেলিভিশন এবং ওয়েব সাইটের যাবতীয় প্রোগ্রাম নিরেট ইসলামি প্রোগ্রাম এবং "কাদিয়ানী জামাত" ইসলাম ধর্মের একটি শাখা সংগঠন। এসব কাদিয়ানীদের ডাহা মিথ্যা কথা। টেলিভিশন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাদিয়ানীদের এসব প্রচার সরাসরি ইসলাম বিরোধী। [আংশিক"আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ"অবলম্বনে]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।