গতকাল অফিসের কাজ সেরে, বাসায় ফিরে টিভি খুলতেই পর্দায় ব্রেকিং নিউজ হয়ে ভেসে উঠলো, শাহবাগে বাসে আগুন ১৯ জন জীবন্ত দগ্ধ ! দেখেই বুকটা হাহাকার করে উঠলো। একটু পর যখন আধপোড়া “বিহঙ্গ” বাসটা দেখলাম, তখন নিজেই প্রমাদ গুনলাম। কারণ এইরকম সিটিং গাড়িতে আমি নিজেই প্রতিদিন চলাচল করি।
ঘটনার কিছুটা আগে পিছে আমিও এই রুটের অন্য কোন বাসে ছিলাম। আমিও হয়ে যেতে পারতাম এই দুর্ভাগা ১৯ জনের একজন!
যারা পুড়েছেন বা ইতিমধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন বা মৃত্যুর মিশিলে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় হাসপাতালের বেডে শুয়ে শুয়ে ধুঁকছেন বা সারাজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করার অপেক্ষায় আছেন, তারা আমাদেরই কারো ভাই, বোন, স্বামী, মা-বাবা।
কর্মজীবী এই মানুষগুলো শুধুমাত্র তার কর্ম পালনের জন্যই এই বিভীষিকাময় সময়ে ঘর থেকে বের হয়েছিল। তারা যখন ঘর ছেড়েছিল, তখন নিশ্চিতভাবেই একটা দীর্ঘশ্বাস চেপে রেখে প্রিয়তমা স্ত্রী, সন্তান বা মা-বাবার শুভকামনা নিয়েছিল আর ভেবেছিল তাদের ভবিষ্যতের কথা।
কিন্তু খুনির দল আজ তাদের ছাড়েনি। হয়ত আগামীকাল আমি বা আপনাকেও ছাড়বে না। এই করে করে এরা একদিন তাদের প্রতিপালকদেরও পোড়াবে, তারপর নিজেরা পুড়বে।
পুড়বেই!
পাপ বাপ’কেও ছাড়ে না ...
এটা এই বাংলায় অনেকবারই প্রমাণিত হয়েছে...
আবারও হবে ...
২৯/১১/২০১৩, ৫.১৫ বিকাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।