ঈশ্বরই সেই মানুষের অবস্থার তখনই পরিবর্তন করেন যখন সে নিজে তাঁর অবস্থার পরিবর্তন করে।
২৯ নভেম্বর (রেডিও তেহরান : ইরানের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি তার দেশের সাম্প্রতিক সফল কূটনীতর কথা তুলে ধরে বলেছেন, তেহরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু প্রযুক্তি রাখার অধিকারের প্রতি বিশ্ব-শক্তিগুলোর স্বীকৃতি ও সম্মান আদায় করার জন্যই ইরানি আলোচকরা সম্প্রতি জেনেভায় ৬ জাতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আজ তেহরানে জুমা নামাজের খোতবায় তিনি এ কথা জানান।
আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি বলেছেন, ইরান অতীতেও পরমাণু অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করেনি ও এখনও তা করছে না, বরং ইসলামী এই দেশটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা-কাঠামোর আওতায় সব ধরনের গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র উতপাদন এবং বিস্তারের বিরোধী।
তিনি বলেন, ইরান গত ৩৪ বছরে এটা প্রমাণ করেছে যে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা তেহরানের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা এবং ইতিহাসে এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি যে ইরান প্রতিবেশীর ওপর বা অন্য কোনো দেশে আগ্রাসন চালিয়েছে।
তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব আরো বলেছেন, ৬ জাতির সঙ্গে ইরানের পরমাণু আলোচনাকে ব্যর্থ করতে চেয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ইসরাইলি শাসকগোষ্ঠী সভ্যতা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ইরানকে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে প্রচার করছে এমন এক সময় যখন অধিকৃত ফিলিস্তিনসহ এ অঞ্চলে ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞ বিশ্ববাসীর মধ্যে তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
আয়াতুল্লাহ কাশানি বলেছেন, শুকর ও কুকুরের হিংস্রতার অধিকারী ইহুদিবাদীরা এবং তাদের নেতারা সব অর্থেই পশু ও ভবঘুরে; আর এ জন্যই তারা সব ধরনের নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে, যেমন, তারা ফিলিস্তিনি জাতিকে তাদের দেশ থেকে বের করে দিয়েছে এবং যে কোনো স্থানকে ধ্বংস করছে ও রক্তপাত ঘটাচ্ছে।
আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ ইমামি কাশানি বিশ্বনবী (সা.)'র সেই বিখ্যাত হাদিসটির কথা স্মরণ করিয়ে দেন যে হাদিসটি মহানবী (সা.)বলেছিলেন তাঁর প্রিয় ইরানি সাহাবি সালমান ফারসির কাঁধে হাত রেখে। বিশ্বনবী (সা.) বলেছিলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিশ্ব জগতের যেখানেই থাকুক না কেন সালমানের জাতির লোকেরা তা অর্জন করবে।
তিনি ৬ জাতির উদ্দেশে বলেন, জেনেভা চুক্তির পর আস্থা অর্জনের প্রক্রিয়ায় পাশ্চাত্যের উচিত তাদের মিথ্যাচার এবং প্রতিশ্রুতি ভাঙ্গার রেকর্ডগুলো বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্ট হওয়ার আগেই ইরানের ওপর সবগুলো অযৌক্তিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া।
আয়াতুল্লাহ কাশানি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির এই মন্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন যে, নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে ইরান আত্মসমর্পণ করেছে ও আলোচনায় বসতে বাধ্য হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্থনীতি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সম্মান, জাতীয় স্বার্থ, বিজ্ঞানে অগ্রগতি বা উন্নয়ন এবং শক্তিমত্তার মূল্য ইরানি জাতির কাছে অন্য সব কিছুর চেয়ে বেশি।
ইরানের আলোচক টিম ভবিষ্যত আলোচনায় আরো দৃঢ়তা ও দূরদর্শিতা দেখাতে সক্ষম হবে বলে আয়াতুল্লাহ কাশানি আশা প্রকাশ করেছেন।
রেডিও তেহরান/
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।