আশায় আছি সমৃদ্ধ দেশের।
বর্তমানে মেঘনা-গোমতী সেতু মেরামতের জন্য ঢাকা-চট্রগ্রাম,ঢাকা-সিলেট,ঢাকা-আখাউড়া রোডে কি পরিমান যানজট এবং ভোগান্তি তা একমাত্র ভুক্তভোগীই বলতে পারবেন। অথচ আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়ক ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের যোগাযোগ সহজ হতে পারে। আর এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন। ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নত করতে বিকল্প হতে পারে আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়ক।
এতে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের দূরত্ব যেমন কমবে, তেমনি যানজট থেকে মুক্তি মিলবে। সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকার পরও শুধু পরিকল্পনার অভাবে বিকল্প সড়ক ব্যবহার উপযোগী হচ্ছে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, বাঞ্ছারামপুর হয়ে
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটের বিকল্প সড়ক চালু করা যেতে পারে। এর জন্য বর্তমান সড়ক বর্ধিতকরণ ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পুনর্র্নিমাণ, সংস্কার ও বিশনন্দী-কড়িকান্দি ফেরিগুলোর আধুনিকায়ন করতে হবে।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু পার হতে হয়।
কোনো কারণে সেতুগুলোতে সমস্যা হলে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঢাকা-ভৈরব-ময়নামতি-চট্টগ্রাম সড়ক। এতে ৮৫ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী যানবাহন কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হলে বিকল্প পথ হিসেবে ময়নামতি-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক ব্যবহার করা হয়। এতে যানবাহনগুলোকে ৮৮ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়। অথচ যদি ঢাকা থেকে আড়াইহাজার হয়ে মেঘনা নদী পার হয়ে বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর হয়ে ময়নামতি দিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়া হয়, তবে ঢাকা-ভৈরব ময়নামতি রুটের চেয়ে ৮০-৯০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৪২ এবং ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-মুরাদনগর-চট্টগ্রাম সড়কের দূরত্ব ২৪৬ কিলোমিটার। অন্যদিকে ঢাকা-সিলেট রুটের দূরত্ব ২৪১ এবং ঢাকা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-সিলেট সড়কের দূরত্ব মাত্র ২৩৯ কিলোমিটার। যানযট থেকে মুক্তি পেতে এ রুটে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গাড়ি যাতায়াত করছে। যানবাহন চালক ও মালিকদের কাছে এরই মধ্যে যানজটমুক্ত নিরাপদ সড়ক হিসেবে এটা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এদিকে বর্তমানে আখাউড়ার স্থলবন্দর ব্যবহারকারীরা আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ভৈরব হয়ে গাউছিয়া এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
যদি গাউছিয়া আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর-রাধিকা-আখাউড়া সড়ক চালু হয়, তাহলে আখাউড়া স্থলবন্দর ব্যবহারকারীদের সময় ও দূরত্ব দুটোই কমে আসবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, মেঘনা নদী পার হয়ে বাঞ্ছারামপুরের ওপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেটের বিকল্প সড়ক হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি লাভ করেছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, অবশ্যই এ সড়কগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেলে এ সড়কগুলো খুব দ্রুত চালু করা সম্ভব। এ সড়কটি চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের যানজট অনেক কমে আসবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল আলম জানান, মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করে কিছু রাস্তার বাঁক সোজা ও ঝুঁকিপূর্ণ এবং কিছু বেইলি সেতু অপসারণ করে নতুনভাবে সিসি সেতু নির্মাণ করা হলে এ রুটগুলোতে সবধরনের যানবাহন চলাচল করা সম্ভব হবে। সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ প্রয়োজন।
মূল খবর এখানে-
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।