সবচেয়ে বড় অপরাধী এদেশের জনগণ। তারা যাকে ক্ষমতায় পাঠায় তাকে এত বেশি আসন দিয়ে পাঠায় যে তারা সংবিধানে যা ইচ্ছা তা করতে পারে! জনগণের মতের বিরুদ্ধে গিয়েও তারা নিজের ইচ্ছামত, সুবিধামত সংবিধান বদলিয়ে নিতে পারে।
এর আগের বার বিএনপির দুইশর ওপর আসন ছিল সংসদে। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে নিজেদের কাছে আস্থাবান বিচারককে পেতে বিচারপতিদের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে দিয়েছিল।
এ বিষয়টা মেনে নেয়নি তৎকালীন আওয়ামীলীগ।
তারা আন্দোলন শুরু করলো। বিএনপি অনেক নাটক করলো। লাভ হলো না। শেষ পর্যন্ত মইন, ফখরুদ্দিন এলো। তখন মাইনাস টু ফর্মূলার কথা উঠেছিল।
তো এবার ক্ষমতার আসার পর সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই উঠিয়ে দিয়ে নিজেদের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করলো আওয়ামীলীগ। তাও ২০০ এর বেশি আসন পাওয়ার শক্তি দিয়ে। নির্মম বিষয় হচ্ছে এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আনতে আওয়ামীলীগ ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিল।
ওদের ক্ষমতার কামড়াকামড়ি নতুন না। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে এতে দুর্ভোগটা হচ্ছে এদেশের মানুষদের।
দেশের জনগণেরই দোষ। তারা এত আসনে কেন নির্বাচিত করে যে ক্ষমতায় ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়। জনগণইতো তাদের সুযোগ করে দেয় তাদের যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে করে সংবিধান বদলানোর।
এভাবে চলতেই থাকবে? এর শেষ কোথায়? আর কত লাশ গুণতে হবে?
এদেশের জনগণেরই দোষ। তারা ছোট দলগুলোকে ভোট দিয়ে শক্তিশালী না করে ওই দুইজোটকে পালাবদলে এমন ভাবে ভোট দেয় যে তারা যা ইচ্ছা তাই করে বসতে পারে! এ কারণে ওই দুই দল ইচ্ছামত স্বৈরাচারী করে যেতে পারে।
আসলে তো দোষ এদেশের জনগণেরই!!!
বিঃদ্রঃ ফেসবুক থেকে সংগৃহিত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।