আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে ৭টি কথা সন্তানকে কখনোই বলা যাবে না

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই নিকটি অবশ্যই (১৮+) দের জন্য এবং দুর্বল ও সংবেদনশীলদের বিশেষ ভাবে অনুরোধ রইলো এই নিকের পোস্ট সমূহ এড়িয়ে যাওয়ার। এর পরও যাদের ভিতরে খুব বেশি কুড়কুড়ি আছে তারা অবশ্যই নিজ দায়িত্বে ঢুকবেন। আর পোলাপাইন!!! এই গুলান বহুত শয়তান ।

বাচ্চারা স্বভাবতই বড়দের চেয়ে অনেক বেশি সংবেদনশীল। আপনি হয়তো সারাদিন বাচ্চার দুষ্টুমিতে অতি বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন এবং একটা সময়ে যাচ্ছেতাই বলে বকা দিচ্ছেন তাকে।

ভাবছেন সে তো বাচ্চাই, একটু বকাঝকা করলে ক্ষতি কি?অথচ কী ভয়ঙ্কর ক্ষতি যে হয়ে যাচ্ছে বাচ্চার মনস্তত্ত্বে তা আপনি ধারণাও করতে পারবেন না। তার ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সাথে সাথে আপনার সম্পর্কেও তার মনে ভয়, ঘৃণা বা রাগের শেকড় ছড়াচ্ছে যা থেকে ভবিষ্যতে আরও খারাপ পরিস্থিতির অবতারণা হতে পারে। এমন কিছু কথা আছে যেগুলো বাচ্চার সামনে কোনভাবেই বলা যাবে না অথচ একটু রাগ বা বিরক্তি হলেই আমরা চিন্তা না করেই সেগুলো বলে ফেলি। পরে আক্ষেপ হলেও কিছু করার থাকে না, যা ক্ষতি হবার তা হয়ে গেছে ততক্ষণে। দেখে নিন এই কথাগুলো কি হতে পারে।

১) তোমাকে রেখে চলে যাবো কিন্তু! বাচ্চা খুব দুষ্টামি করছে। হাত পা ছুড়ছে। অকারণে জেদ করছে। বিরক্ত হয়ে বলেই ফেললেন এ কথাটা। সত্যি সত্যি তো আর নিজের বাচ্চাকে ফেলে রেখে যান না কেউ।

কিন্তু বাচ্চার মনে অকারণেই একটা ভয় সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং আপনার ওপর থেকে তার আস্থা কমে যেতে শুরু করবে একদম কচি বয়স থেকেই। ২) তোমার ভাইয়া/আপুর মতো লক্ষ্মী হতে পারো না? প্রত্যেকটি শিশুই স্বতন্ত্র। আপনি অবহেলা করে তাকে এবং তার ভাইবোন/কাজিন বা অন্য কোনও বাচ্চার সাথে তুলনা করতে পারেন। এতে তার স্বতন্ত্র ব্যক্তিত্ব গঠনে ছেদ পড়বে। আর নিজেকে অন্যের চাইতে ছোট মনে করা শুরু করবে সে।

৩) তোমার লজ্জা হওয়া উচিত! একটা ছোট বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল। সে সব কাজই করে নিষ্পাপ উদ্দেশ্য নিয়ে। ভুল করে ফেললে তাকে বোঝাতে হবে যে কাজটা ঠিক নয়। কিন্তু সে যখন বুঝতে পারছে না ভুলটা কি করেছে, তখন এসব কথা বলে তাকে বিভ্রান্ত করার কোনও মানে হয় না। ৪) আমি যা বলবো সেটাই করতে হবে! আবারো বলছি, বাচ্চা জানে না কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল।

সে একটা কাজ করতে চাচ্ছে না। যেমন সবজি বা দুধ খেতে আপত্তি করছে। এমন সময়ে একটু ধৈর্য ধরে তাকে বোঝান কেন সেটা খেতে হবে, প্রয়োজনে গল্পের মতো করে উপকারিতা বর্ণনা করতে পারেন। কিন্তু জোর করে, বকা দিয়ে কাজ করাতে গেলে তার মাঝেও জেদ তৈরি হবে। ৫) দাও, আমি করে দিচ্ছি বাচ্চা ছোটোখাটো কোনও কাজ করতে গিয়ে হয়ত বেশ ঝামেলা তৈরি করে ফেলছে।

যেমন খাবার নিজ হাতে খেতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেলছে, গোসল করতে গিয়ে পানি ছিটিয়ে একাকার করছে, জুতো পরতে অনেক সময় নিচ্ছে। এ অবস্থায় ধৈর্য ধরে তাকে কাজটা শিখতে না দিয়ে অনেকেই বাচ্চার কাজটা নিজেই করে দেন। বাচ্চার উপকার করার বদলে এতে ক্ষতিই হয় কারণ এর ফলে বাচ্চার মাঝে পরনির্ভরশীলতা তৈরি হয়। আর আগ্রহ নিয়ে কোনও কাজ করতে গিয়ে বাচ্চা যখন দেখে মা অথবা বাবা সেটা করতে দিচ্ছে না তখন তার মাঝে বিরক্তি তৈরি হয়। ৬) তোমার জন্যই আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে! এ ধরনের কথা বলাটি খুব বড় ভুল।

বাবা মায়ের মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে বাচ্চা নিজে থেকেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, নিজেকে অবহেলিত এবং বোঝা বলে মনে করতে থাকে। এর মাঝে যদি তাকে এমন একটা কথা বলা হয় তবে প্রচণ্ড কষ্ট পাবে সে। বাবা মায়ের দোষের বোঝা তাকে কখনোই বহন করতে দেবেন না। ৭) তুমি না জন্মালেই ভালো হত! নিজের সন্তানকে ভালবাসলে এমন হৃদয়হীনের মতো কথা বলা সম্ভবই না। বাচ্চার মনে কেমন কষ্ট লাগবে সেটা বলে দেবার প্রয়োজন নেই।

আপনি নিজেই ভাবুন তো, আপনার বাবা মায়ের কাছ থেকে এমন কথা শুনলে কী রকমের আঘাত পাবেন আপনি?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।