শুক্রবার বিকাল ৪টায় ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেয়া অনেকেই প্রশ্ন পত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ভর্তি পরীক্ষার সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছে।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে ওই বিভাগের শিক্ষক ও পরীক্ষা কমিটির সদস্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুর আড়াইটার মধ্যে রাজধানীর ১৫টি কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রসহ যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়। তখন পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ তাদের কাছে যায়নি।
“বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কেউ কেউ আমাদের কাছে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করেন। অভিযোগের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে না। তবে পরীক্ষা বাতিল বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ”
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কবির আহমেদ খান বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ তাদের কাছেও এসেছে। তবে তথ্য-প্রমাণসহ কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
”
এদিকে পরীক্ষায় অংশ নেয়া একজন চাকরিপ্রার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতেই একজন ফোনে আমার কাছে প্রশ্ন পত্র বিক্রি করতে চেয়েছিলো। তখন বিষয়টিতে পাত্তা দেইনি। প্রশ্নপত্রের জন্য সে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। ”
“পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পরে হোস্টেলে এসে শুনি আমার একজন পরিচিত সেই প্রশ্ন পেয়েছিলেন। সে জানিয়েছে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষার মূল প্রশ্নপত্র হুবুহু মিল রয়েছে।
”
আরেক পরীক্ষার্থী জানান, সাধারণত ব্যাংকগুলোর পরীক্ষায় লিখিত এবং এমসিকিউ মিলিয়ে মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে লিখিত থাকে ১০০ এবং এমসিকিউ ১০০। কিন্তু অগ্রণী ব্যাংকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শুধু মাত্র ৭৫ নম্বরের এমসিকিউ দিয়ে। পরীক্ষায় কোন লিখিত অংশ ছিলো না।
প্রশ্ন ফাঁস করার পরীকল্পনা থেকেই এমনটি করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।