ইয়াহু নিউজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিকাংশ মার্কিন পর্যটক অনলাইন হ্যাকিং বিষয়ে জানলেও তাদের খুব অল্পসংখ্যকই এ থেকে রক্ষার পদ্ধতি জানেন।
ভোক্তা নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যাংকরফ্রির এক জরিপে জানা গেছে, আমেরিকার শতকরা ৮৪ ভাগ পর্যটক পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন না। ফলে তাদের কম্পিউটারের তথ্য সাইবার অপরাধী ও হ্যাকারদের কাছে উন্মুক্ত থাকে।
সূত্র জানিয়েছে, শতকরা প্রায় ৮৯ ভাগ ওয়াই-ফাই হটস্পট অনিরাপদ। স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট ডিভাইসের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহারকারীদের তথ্য হারানোর ঝুঁকি বাড়ছে।
জরিপে জানা গেছে, শপিং মল বা পর্যটকবহুল এলাকাগুলোতে ল্যাপটপের তুলনায় স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে অনিরাপদ ওয়াই-ফাই ব্যবহারের প্রবণতা তিনগুণ বেশি। এছাড়া এ প্রবণতা কফি শপ ও রেস্টুরেন্টে দ্বিগুণ এবং এয়ারপোর্টে দেড়গুণ বেশি।
অ্যাংকরফ্রির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ডেভিড গরদিনস্কি বলেন, “ট্যাবলেট, স্মার্টফোন ও হটস্পটের ছড়াছড়িতে অনেক পর্যটকই জানেন না যে, তারা ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে সংবেদনশীল তথ্য বিনিময় করছেন। অধিকাংশ পর্যটকই অনলাইন হ্যাকিং বিষয়ে জানলেও তাদের খুব অল্পসংখ্যকই এ থেকে রক্ষার পদ্ধতি জানেন। ”
অনলাইন চোর থেকে শুরু করে ম্যালওয়ার ও অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা পাবলিক ওয়াই-ফাইতে দ্রুত বাড়ছে বলেও জানান গরদিনস্কি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।