আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের গাড়িবিলাস

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন প্রকল্পের ৭৭টি গাড়ি মন্ত্রী-উপদেষ্টাসহ সরকারের সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ব্যবহার করছেন। মন্ত্রণালয় বা পরিবহন পুল থেকে গাড়ি পাওয়ার পরও প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প থেকে অতিরিক্ত গাড়ি তাঁরা নিয়েছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে তাঁরা শুধু গাড়িগুলো ব্যবহারই করেননি, চালক, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ হিসেবে গাড়িপ্রতি এলজিইডি থেকে দিতে হয়েছে মাসে প্রায় এক লাখ টাকা। অবশ্য কয়েকজন গাড়ি নিলেও অন্যান্য খরচ নেননি। মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের যেসব গাড়ি দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটির দাম অর্ধকোটি টাকার কম নয়।

তাঁদের অনেকে পদত্যাগের পরও এসব গাড়ি ফেরত দেননি।
গত ২৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দিন থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবেন না।
কিন্তু প্রথম আলোর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে, এমনকি মন্ত্রী বা উপদেষ্টা হিসেবে বাদ পড়ার পরও রাজনৈতিক নেতাদের কেউ কেউ এলজিইডির গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকি নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টাদের অনেকেই গাড়ি ফেরত দেননি। তবে গতকাল সকাল থেকে এ বিষয়ে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে অনুসন্ধান শুরু করার পর এলজিইডি ও গাড়ি ব্যবহারকারীদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয় এবং কেউ কেউ গাড়ি ফেরত দেন।

শুধু মন্ত্রী-উপদেষ্টা নন, অবৈধ-ভাবে গাড়ি ব্যবহারের তালিকায় আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আটজন কর্মকর্তা, পরিকল্পনা কমিশনের দুজন সদস্য এবং সচিবসহ ডজন খানেক কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা। এমনকি এলজিইডির যানবাহন শাখার দায়িত্বে থাকা দুজন প্রকৌশলীর দুই সাবেক স্ত্রীও প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করা অবৈধ ও অনৈতিক। তা ছাড়া এটি নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর ফলে এলজিইডি প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারছে না।

অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। এতে দেশ ও জনগণের সম্পদের ক্ষতি ও অপচয় হচ্ছে। তিনি মনে করেন, সংসদ ও মন্ত্রিত্ব বহাল রাখায় নির্বাচন-কালীন সরকার তার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারছে না।

এলজিইডির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টাদের মধ্যে এইচ টি ইমাম তাঁর ব্যবহার করা গাড়িটি (ঘ-১৩-৩৫০১) গতকাল বিকেল পর্যন্ত ফেরত দেননি। তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান।

তবে এলজিইডির যানবাহন শাখার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, খুব শিগগির তিনি গাড়িটি ফেরত দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

২০১১ সালের ১৬ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে এলজিইডি জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টাকে গাড়িটি বরাদ্দ দেয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম গতকাল রোববার প্রকল্পের গাড়ি ফেরত দিয়েছেন। তাঁর সহকারী একান্ত সচিব মো. দিদারুল আলমও এলজিইডির একটি গাড়ি (গ-২৩-৩০২৮) ব্যবহার করেন। দিদার এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানের ভাগনে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. সেলিম রেজাও একটি গাড়ি (ঘ-১১-৬৪৭০) নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী একটি গাড়ি (ঘ-১৩-০২৯৪) ব্যবহার করছেন।

এই মন্ত্রণালয়ে এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের পাঁচটি গাড়ি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ প্রসঙ্গে এলজিইডির যানবাহন শাখার সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ বা পরিবহন পুলের চাহিদাপত্র অনুযায়ী গাড়িগুলো দেওয়া হয়।

সাবেক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান সরকারের প্রায় পুরো মেয়াদে এলজিইডির একটি গাড়ি (ঘ-১৩-১৮৬১) ব্যবহার করেছেন।

২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর গত বৃহস্পতিবার তিনি গাড়িটি ফেরত দিয়েছেন।

সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এলজিইডির একটি গাড়ি (ঘ-১৩-২৮৮১) ব্যবহার করছেন। তিনি আসন্ন সংসদ নির্বাচনের একজন প্রার্থী। জাতীয় সংসদের হুইপ মির্জা আজম এলজিইডির একটি গাড়ি (ঘ-১১-৫৮৩৩) ব্যবহার করছেন। তিনিও আসন্ন নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান রহমত আলী প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) একটি জিপ (ঘ-১৩-১৮৫০) ব্যবহার করছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে। তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁর একান্ত সচিবও এলজিইডির একটি প্রকল্পের (পিএমটি) গাড়ি (ঘ-১১-৩০৭০) ব্যবহার করছেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এলজিইডির গাড়ি (ঘ-১১-৬২৫২) ব্যবহার করছেন। এবারও তিনি নির্বাচন করছেন।

এলজিইডির একটি গাড়ি (ঘ-১১-৮৯১৫) ব্যবহার করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম।

বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এলজিইডি থেকে নেওয়া গাড়িটি (ঘ-১৩-০২৯৫) গতকাল পর্যন্ত ফেরত দেননি। রস্ক নামে পরিচিত প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিশুদের একটি প্রকল্পের গাড়ি তিনি ব্যবহার করছেন।

আফছারুল আমীন এখন আর মন্ত্রিসভার সদস্য নন। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৩) একটি দামি গাড়ি (গ-২১-৯১৯৭) তিনি এত দিন ব্যবহার করেছেন। সম্প্রতি তা ফেরত দিয়েছেন।

এলজিইডি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক তাঁর নেওয়া গাড়িটি (ঘ-১৩-৬১১৪) তফসিল ঘোষণার পরই ফেরত দিয়েছেন। তবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারি গাড়ি ছাড়াও প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারাও এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন।

মূল মন্ত্রণালয় হিসেবে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দেখভাল ও নজরদারির জন্য এলজিইডির গাড়ি নেওয়ার যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তাদের কেউ কেউ। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কোন যুক্তিতে চালকসহ সর্বক্ষণিক এলজিইডির গাড়ি ব্যবহার করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন যেমন আছে, তেমনি এর জবাব সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অজানা নয়। তা ছাড়া প্রতিটি গাড়ির জ্বালানি, চালক, মেরামতসহ বিভিন্ন খাতে প্রতি মাসে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ করে অধিদপ্তর।

সূত্রমতে, এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পের কমপক্ষে ৭৭টি গাড়ি ব্যবহার করছেন সরকারের সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, সচিবসহ পদস্থ কর্মকর্তারা। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার বা কাজ আদায়ে দরকার হয়, এমন জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তাদের এসব গাড়ি সর্বক্ষণিক ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে।

এ কারণে এলজিইডি এসব গাড়ি ফেরত নেওয়ার জন্য চাপ দিতেও পারে না।

জানতে চাইলে এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর অনেকেই গাড়ি ফেরত দিয়েছেন, অন্যরা দিয়ে দেবেন। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে তিনি যানবাহন শাখায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

গত ৩ নভেম্বর এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানকে এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিতর্ক উঠলেও এই সুবিধা নিয়ে এর আগে তাঁর চাকরির মেয়াদ দুই বছর বেড়েছিল।

এরপর চাকরির বয়স সরকারিভাবে এক বছর বাড়ানো হলে সেই সুবিধাও পান তিনি। নিয়মিত চাকরির বাইরে তিন বছর পেলেও তিনি এলজিইডির রেওয়াজ ভঙ্গ করে এই প্রথম এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নেন। ১৩ ডিসেম্বর তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এক বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর হবে।

গত বছরের ২১ জুলাই প্রকাশিত টিআইবির এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এলজিইডি সরকারের পরিবহন নীতিমালা অনুসরণ করে না। অধিদপ্তরের যানবাহন ঢাকার বাইরে ব্যক্তিগত কাজে ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবহার করা হয়; এর জন্য জ্বালানি তেল, চালকসহ অন্যান্য খরচ অধিদপ্তর বহন করে।

এলজিইডির প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারসচিব আবু আলম মো. শহিদ খান প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি বরাদ্দ নিয়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন ধরনের অসংগতি চলছে। মন্ত্রী বা সচিবদের যে গাড়ি দেওয়া হয়, তা অনেক ক্ষেত্রেই পুরোনো থাকে এবং মহাসড়কে এসব গাড়ি ব্যবহারের অনুপযোগী। তিনি আরও বলেন, সচিবদের উন্নয়ন প্রকল্প তদারক করতে প্রায়ই ঢাকার বাইরে যেতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রকল্প পরিচালকের গাড়িটি মন্ত্রী বা সচিবদের গাড়ির চেয়েও দামি। এতে প্রকল্প পরিচালকেরা অনেক সময় বিব্রত হন।

এলজিআরডি সচিব আরও বলেন, সচিব কমিটির সভায়ও সচিবদের গাড়ির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে তাঁদের দুটি গাড়ি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি মনে করেন, প্রকল্পের গাড়ি যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটা বন্ধ করতে হলে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন।

 

গাড়ি ব্যবহারকারীদের তালিকায় সরকারের কর্মকর্তারাও

মন্ত্রী-উপদেষ্টা ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এলজিইডির গাড়ি ব্যবহার করছেন।

তাঁদের অনেকেরই ব্যক্তিগত বা সরকারি গাড়ি রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আটজন: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ (ঘ-১১-৮১৪৪), প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শেখর (ঘ-১৩-১৮৯৪), প্রধানমন্ত্রীর দুই বিশেষ সহকারী মো. আবদুস সোবহান গোলাপ (ঘ-১১-৮০৪৬) ও মো. ফেরদৌস আহাম্মেদ খান (ঘ-১১-৫৩৬২), প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন আহমেদ (ঘ-১১-৮০৪৫) এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের নামে গাড়ি বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া কোনো কর্মকর্তার নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নামে একটি গাড়ি (ঘ-১১-৪০০৯) এবং প্রধানমন্ত্রীর এডিসিদের নামে একটি গাড়ি (ঘ-১১-৩৮২৬) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

আরও যাঁরা প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন: গোপালগঞ্জের পৌর মেয়র রেজাউল হক শিকদার ও টুঙ্গিপাড়ার মেয়র সরদার ইলিয়াস হোসেন একটি করে প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানকেও প্রকল্পের গাড়ি দেওয়া হয়েছে।

তাঁদের সরকারি গাড়িও রয়েছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের পাঁচজন কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন।

প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহারকারীদের তালিকায় আরও আছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পর্যায়ের এক ডজন কর্মকর্তা। এ ছাড়া উপসচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবদের জন্য ২২টি গাড়ি বরাদ্দ করেছে এলজিইডি। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র বলছে, কনিষ্ঠ কর্মকর্তারা একই গাড়ি কয়েকজন মিলে ব্যবহার করেন।

এলজিইডির সূত্রমতে, পরিকল্পনা কমিশনের দুই সদস্য (পরিকল্পনা ও কৃষি) প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করছেন। গোপালগঞ্জ বাড়ি হওয়ায় স্থানীয় সরকার কমিশনের এক সদস্যের নামে একটি গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের বাইরে প্রকল্পের সর্বাধিক গাড়ি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এলজিইডি সূত্র জানায়, প্রকল্পগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়নে পরিকল্পনা কমিশনের বিশেষ ভূমিকা থাকে। এ জন্য তাঁদের মন জুগিয়ে চলতে হয়।

সাবেক স্ত্রীরাও প্রকল্পের গাড়ি পান! এলজিইডির দুই প্রকৌশলীর সাবেক দুই স্ত্রী প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে এলজিইডির বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষোভ রয়েছে। যানবাহন শাখার আরেক প্রকৌশলীর সাবেক স্ত্রীও প্রকল্পের গাড়ি ব্যবহার করেন। দুই সাবেক স্ত্রীই নাট্যশিল্পী।

 



সোর্স: http://www.prothom-alo.com     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।