বিপদের সময় বন্ধু যদি বন্ধুকে বাচানোর চেষ্টা না করে তাহলে সে কিসের বন্ধু? পকিস্তানের সাথে বিএনপি-জামাতে বন্ধুত্ব বিভিন্ন সময়ে পরিক্ষিতও প্রমানিত। আজ এই দূর্দিনে আইএসআই বিএনপি ও জামাতের বাঁচানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে গেছে এমনকি তারা বিভিন্ন নাশকতার জন্য টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করছে। এখন সবার ভয় হচ্ছে কখন যে এ দেশে আইএসআইয়ের মাধ্যমে চোরাগুপ্তার শিকার না হয় সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে যে বিএনপি নাকি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে না আইএসআইয়ের পরামর্শ অনুযায়ী। এ থেকে প্রমাণিত আইএসআই এখন বিএনপির গাইডলাইন।
আইএসআই বিএনপিকে যা বলছে বিএনপি সেই পথেই চলছে। এছাড়া খালেদা কোন সমস্যাই পড়লে নাকি আইএসআই বিভিন্ন ভাবে শলাপরামর্শ বা অর্থ দিয়ে সাহায্য করছেন।
সুতরাং সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয় যে, আমরা যাদের ঘৃণা করি এবং যারা এক সময় আমাদের মা বোনদের ইজ্জত মারছে আজ তাদের গাইড লাইন নিয়ে চলছি। তাই আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে এবং খালেদা জিয়ার কোন পরামর্শ গ্রহণ করব না। তিনি যখন বিভিন্ন কর্মসূচী দেবেন তখন বুঝতে হবে এর সাথে আইএসআই জড়িত এবং বড় ধরণের বিপর্যয়ের সম্মুখিন হতে পারে দেশ।
শুধু যে বিএনপির বিপদে আইএসআই পাশে দাড়িয়েছে তা নয়, বিএনপিও বিভিন্ন সময় আইএসআই কে সহযোগিতা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের গহিন অঞ্চলকে বিএনপি তার সময়ে আইএসআই এর জন্য এক প্রকার উন্মুক্ত করে দিয়েছিল ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীতা করার জন্য এবং তখন আইএসআই এর সহযোগিতায় পার্বত্য অঞ্চল ছিল ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্য। মিয়ানমারের আরাকানে পৃথক মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে সে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয়-নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় বান্দরবানের গভীর পাহাড়ে যেটা করেছিলো আইএসআই।
আসলে আইএসআই এর কার্যক্রম তথা বিএনপি কে টাকা দিয়েছিলো কি দেয়নি তা পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় দুরে থাক পকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জানার কথা না। কারন আএসআই পাকিস্তানের সরকারের কথায় চলে না তারা নিজেদের মত চলে।
পাকিস্তানের আদালতও আইএসআই কে জঘন্য গোয়েন্দা সংস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেছে। আর দুররানি আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার সময় বুঝতে পারেনি তার এই সাক্ষ্যের কারনে তার বন্ধু এত বড় বিপদে পড়বেন! তিনি হয়তো ভেবেছিলেন তার এই সাক্ষ্য আদালতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু তা হয়নি, তার বক্তব্য খালিজ টাইমস, ডেইলি মেইল হয়ে বাংলাদেশে এক অস্থির রাজনৈতিক ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। সেই ঝড়ে তাদের বন্ধু বিএনপি আজ দিশেহারা। তাই তিনি আবার বক্তব্য দিলেন, আইএসআই বিএনপি কে টাকা দেয়নি।
কিন্তু আসল বক্তব্য রয়েছে তো পাকিস্তানের আদালতে দুররানির জবানবন্ধিতে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে পাকিস্তানের আদালত থেকে তার জবানবন্ধির কপি সংগ্রহ করার ঘোষনা দিয়েছে। পাকিস্তান সরকার যদি সেটা বাংলাদেশকে দেয় তাহলেই সব বিতর্কের অবসান হবে। পাকিস্তান সরকারের বিএনপির পক্ষে দেয়া কোন বক্তব্য বাংলাদেশের জনগন বিশ্বাস করবে না। কারন আমরা জানি পাকিস্তান তার সর্বশক্তি দিয়ে বিএনপি কে রক্ষার চেষ্টা করবে।
কেন পাকিস্তান বিএনপি কে রক্ষা করবে না? বিডিআর বিদ্রোহের সময় এই খালেদা জিয়াই তো আশ্রয় নিয়েছিলেন পাক হাইকমিশনারের বাসায়। বিপদের দিনে যিনি কোন বাংলাদেশিকে বা বিএনপি কোনো নেতাকে বিশ্বাস না করে পাক হাইকমিশনারকে বিশ্বাস করেন পাকিস্তান সরকার তার সবকিছু দিয়ে তো বাচানোর চেষ্টা করবেই।
বিএনপি টাকা নিয়েছে এটাই সত্য। এখন পাকিস্তান তার বন্ধুকে বাচানোর চেষ্টা করছে। বর্তমানে পাকিস্তান থেকে যে বক্তব্য আসছে হয়ত তার পেছোনেও আইএসআই এর হাত আছে।
অতএব আমরা আরেক ৭১ দেখতে চাইনা, পাকিস্তান পূনরায় এদেশে এসে খবরদারি করুক তা বাংলার মানুষ চাইনা। বরং পাকিস্তানের লেজুড় ভিত্তিক যতসব আছে তাহা এ দেশ থেকে লাথি মেরে তাড়াতে হবে। সুতরাং এটা নিয়ে জনগণের মধ্যে আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে কারণ এ দেশ আমার, আমার বাবার, পাকিস্তানের নয়। বর্তমানে যে সহিংস অবরোধ চলছে অসহায় জনগণ দগ্ধ হচ্ছে এই দায় ভার কে নেবে? এজন্য এর প্রতিকার খুবই জরুরী এবং ইন্ধনদাতা কে আইনের আওতায় এনে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।