আমার নিজের সম্পর্কে আমার ধারণা নেই :)
তনুর পৃথিবীটা মনে হলো এক মুহূর্তে কেউ দুমড়ে মুচড়ে দিল। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না সে। আফতাব এমন করতে পারলো তার সাথে? নিজের কানকে সে বিশ্বাস করতে পারছে না। তনুর আশেপাশের সবাই জানে তনু পড়ালেখার ব্যাপারে কতটা সিরিয়াস। আর আফতাব কিনা তনুর সামনে এইচএসসি পরীক্ষা জেনেও তাকে বলল বিয়ে করে ফেলতে!!! এই মানুষটাকে কি তনু আদৌ চিনে? নাকি আসলে এটা আফতাবের মুখোশ পরা অন্য কেউ?? আফতাব বিয়ের কথা বললেও সে মেনে নিত।
কিন্তু তনু যখন বলল যে সামনে ওর পরীক্ষা আফতাব তখন কিভাবে বলতে পারল যে ওর পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই!! এটা কি আফতাবের কথা নাকি তার নতুন চিন্তাধারার ফসল??
আফতাবকে সাফ বলে দিয়েছিল তনু পড়ালেখাই ওর জীবন। আফতাব রাগ করেছিল ভীষণ । কিন্তু তনু আফতাবকেবুঝানোর অনেক চেষ্টা করেছে। আফতাব ওর সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছে। আফতাবের দিকে বেশি মনোযোগ দিলে তনুর পড়াশোনার ক্ষতি হবে তাই তনুও পড়ায় মনোযোগী হবার চেষ্টা করছে।
যদিও তা বৃথা চেষ্টা মাত্র। কাউকেই বলতে পারছে না সে। মিতু নিজেই সায়েমকে নিয়ে আপসেট । তার উপর তনুর কথা শুনলে তো মনে হয় ও হার্টফেল করবে। আর মিতু যা রাগী ।
দেখা যাবে আফতাবকে বাঁশ দিয়ে পিটাতে যাবে মেয়েটা। নিজের কষ্ট গুলোকে তাই নিজের মাঝেই পুষে রাখে তনু। পরীক্ষাটা শেষ হোক। আফতাবকে সে বুঝাবেই।
দেখতে দেখতেই পরীক্ষার সময় চলে এল।
মিতু আর তনুর যোগাযোগও একটু কমে এলো। দুজনই পড়ায় ব্যস্ত। নিজেও তারা হয়তো জানত না যে তাদের মনের অবস্হাটা প্রায় একই। মিতু তনুর আফতাবের সাথে সম্পর্কের কথাটা জেনেছিল পরীক্ষার কিছু আগেই। কিন্তু আফতাবের এসব কাহিনী তার অজানা ছিল।
তনু মিতুর প্রায় সবটা জানলেও জানত না আসল ঘটনাটা। কারণ মিতু নিজেই জানত না তার জীবন নিয়ে কতটা নিষ্ঠুর এক খেলা খেলছে বিধাতা।
পরীক্ষা শেষ। দুজনেই ব্যস্ত হয়ে গেলো ভর্তি কোচিং এ। এরই মাঝে হঠাত একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন এলো তনুর ফোনে।
তনু ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে একটা নারীঁকন্ঠ ভেসে এলো। ফোনটা দুমিনিট পর কেটে গেল। কিন্তু তবুও তনু মোবাইলটা শক্ত করে ধরে রাখল নিজের কানে। চোখ দিয়ে তপ্ত জল গড়িয়ে পড়ল। মনে হচ্ছে হাজার বছর কেটে যাচ্ছে ঐ এক মুহূর্তে।
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১১"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ১০"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৯"
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।