আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি, আপনি এবং বিবেকবন্দী সম্বাদিক-সরকারি কর্মকর্তা-নিরাপত্তা রক্ষী-বিচারক (!) এবং আমলারা সবাই মিলে এ দেশটাকে একটা নরক বানাইতাছি----

আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।

কোনো বিবেচনায় আগুন-মানুষ-পোড়ানো কিম্বা রেল লাইন উপড়ে ফেলাকে সমর্থন করতে পারেন বা করেন এমন মানুষ নেই। আপা কি তা পছন্দ করেন? করেন না। ম্যাডাম? তিনিও না।

তার পরেও তো নাশকতা হয়! এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। ২০০১ হরতালে নসু মিয়ার পোড়ানো ছবিটা এখনো চোখের সামনে ভাসছে। ক্ষমতা ত্যাগ করে সদ্য বিরোধী দলে যাওয়া আওয়ামী লীগের হরতালে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়। তার মাত্র বছর তিন আগে এই নগরে এসছিলাম পড়তে, সেই সাথে লিখতাম একটি প্রথশ শ্রেণীর পত্রিকায়। শখ এবং টাকা দুটোই পূরণ হয়েছে সেখানে।

কারা পুড়েছে? বা এখনো পুড়ছে! মানুষ। কিন্তু মানুষ হত্যার কোনো বিচার হয়? ঘয় না। এটা নিয়ে পলিটিক্স হয়। কঠিন পলিটিক্স। এইটা দিয়া কেমনে বিরোধী দলকে কাবু করা যাইবো, সেইটা নিয়া চিন্তা সবার।

রঅজনেতিক দল ও দলান্ধ পত্রিকা-টিভিগুলো লাগাতার লিখবে, বলবে, কিন্তু কেউ এইটা জিগায় না, যে পশুরা আগুন লাগাইলো বা এখনো লাগাইতেছে, তাগো ক্যান ধরা যাইবো না। পিপঁড়া মারা কেসে পুলিশ তৎপর, আর মানুষ মারলে শিষ বাজায়, এমুন কেন হয়। এত মজা লয় ক্যান। এত্ত রসিকতা ক্যান জীবন নিয়া। এই যে আমি, আপনি এবং বিবেকবন্দী সম্বাদিক-সরকারি কর্মকর্তা-নিরাপত্তা রক্ষী-বিচারক (!) এবং আমলারা সবাই মিলে এ দেশটাকে একটা নরক বানাইতাছি।

খালি নিজের স্বার্থ। পরেরটা দেখা হারাম। ফিরে আসি আগুনে- নগরে আসার পর আমার নসু মিয়ার পুড়ে কয়লা হওয়া ছবিটা প্রথম দেখা। এর আগে সায়দাবাদে একটা বাসে আগুন লাগানো হয়। ছিয়ানব্বুইয়ের দিকে।

ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সময়। হেলপারসহ সবাই পুড়ে মারা যায়। নোয়াখালীতে বসে সে সময়কার ইনকিলাম পত্রিকায় খবরটি ছবি সহ দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। ২০০৪ সালের কথাটা এখনো আমার মত অনেকের মনে আছে। শেরাটন হোটেলের মোড়ে সাকুরার সামনে বিআরটিসির দোতলা বাস, আগুড়ে পুড়ে গেলো ১১ টি জীবন্ত মানুষ।

পুড়ে গেলেন আরো অনেকে। কারা আগুন দিলো তার খবর নেই, বরং আগুনে কি ব্যবহার করা হযেছে তা নিয়ে তর্ক। তারপর কিছুটা বিরতি দিয়ে এখন চলছে মানুষ পোড়ানোর উৎসব। আগেই বলেছি আগুন-মানুষ পোড়ানো কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারেন- এমন মানুষ নেই। অমানুষ থাকতে পারেন।

এমনকি দলান্ধ-দলকানাও নেই। তবে দলকানারা যে কাজটি করছেন সেটি হলো দোষারোপ। বলি এ সব ধান্ধা ফিকির বন্ধ কইরা অপরাধীদের ধরেন- তারপর বলেন এই হইলো কুত্তার বাচ্চা কুত্তা-যে আগুন দিছে বাসে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।