নিউট্রন বোমা বোঝো , মানুষ বোঝো না ।
একটি মেয়ে। খুব ছোট বয়সেই "মাসকুলার ডিসট্রফি " নামক রোগে আক্রান্ত হয় সে। ধীরে ধীরে চলা-ফেরা করার শক্তি হারিয়ে ফেলতে থাকে মেয়েটি । স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, বাইরে বের হওয়াই বন্ধ।
মা-বাবার সাহায্য ছাড়া হুইলচেয়ারেও ওঠা-নামা করাও শক্ত হয়ে পড়ে। কোথাও গেলে সবাই করুণা নাহয় ঘৃণার চোখে তাকাত, পারিবারিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেওয়া বন্ধ। সমাজের চোখে অচ্ছুৎ মেয়েটির নির্বাসিত জীবন শুরু হয়।
কিন্তু মেয়েটি তার পরিস্থিতি মেনে নেয় নি । এক সাহসি পদক্ষেপ নিয়ে বসে সে।
প্রধানমন্ত্রির কাছে চিঠি লিখে; যদিও জানতো তার চিঠি কখনোই পৌঁছাবে না। মেয়েটির লেখার ক্ষমতা অসাধারণ । তার চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দেবার জন্য শুরু করে ফেইসবুকে লেখালেখি। পোলিওর শিকার বান্ধবি সালমা মাহবুবকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করে যোগাযোগ । অবশেষে ২০০৯ সালের ১৭ জুলাই ৫০০০ সদস্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে B-SCAN (Bangladeshi Systems Change Advocacy Network ) , সকল শারীরিক বাধার সম্মুখিন মানুষের কল্যানার্থে ।
মাত্র ৪ বছরের মাথায় এটি এই বিষয়ে কর্মরত এদেশের শীর্ষস্থানিয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। সকল সরকারী যানবাহন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, পার্ক,অফিস সহ সকল পাব্লিক প্লেসে প্রতিবন্ধীদের চলাচলে সুবিধার জন্য রাম্প বসানো এবং এই জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুলত প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে। এছারাও প্রতিবন্ধীদের শিক্ষাদান , কর্মসংস্থান , হুইলচেয়ার বিতরন সহ অন্যান্য কাজ তো আছেই। অতুলনীয় তার কর্মস্পৃহা, চলাফেরায় অসুবিধা হলেও মেয়েটি কখনোই থেমে থাকে না।
আশা করি B-SCAN এর কর্মপরিধি আরও বাড়বে।
এখন না হলেও হয়ত ১০-২০ বছর পর আমরা একটা সুস্থ সুন্দর সমাজ পাব, যেখানে প্রতিবন্ধী হবার জন্য কাউকে করুণা পেতে হবে না। চলাফেরায়,শিক্ষায়,কর্মে সব জায়গায় সমাদৃত হবে।
U may say I'm a dreamer
But I'm not the only one
I hope some day u will join us
& the world will live as one ....
বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে B-SCAN এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাবরিনা সুলতানা ও তার প্রতিষ্ঠানের জন্য অনেক ভালবাসা ও শুভকামনা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।