পৃথিবীতে অনেক মানুষ। সবারই দুটি চোখ কিন্তু এদের বেশিরভাগই অন্ধ।
তখন ‘মোবাইল টু মোবাইল’ ৪/= মিনিট। কেউই অপ্রয়োজনীয় কল খুব একটা দেয় না।
সামনে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা।
পড়াশোনার অনেক চাপ। আমরা একটা গ্রুপ। সবার থেকে আলাদা। পড়াশোনা নিয়ে একজন আরেকজনকে সহায়তা করি। গ্রুপে একটা মেয়ে ছিলো, নাম হীরা।
ওদের বাসায় একটাই মোবাইল। ওর বাবার। আংকেল আবার ভারী কনসারভেটিভ।
তো ... সিরিয়াস প্রয়োজন ছাড়া কেউ কল দিতো না। বরং হীরাই নিয়মিত ফোন দিতো।
একদিন জরুরী প্রয়োজনে দোকান থেকে কল দিলাম। আংকেল রিসিভ করলো ...
- হ্যালো ! কে?
- আংকেল, আমি তোফায়েল। হীরা আছে?
- হীরাকে কেন? হীরা তোমার কে?
- আংকেল, আমি হীরার ফ্রেন্ড !
- কি? কি বললা? নাম কি তোমার? কি? কই থেকে? হাম-দাম-হাল্কি-বাল্কি (ব্যাপক উত্তেজিত)
অনেকক্ষণ এটা-সেটা বললাম। কেটে আবার কল দিলাম। ওদিক থেকে কিছুই বুঝে না।
চিল্লা-ফাল্লা।
ধুর ! বুইড়ার ক্ষ্যাতা পুরি। লাইন কেটে বাসায় ফিরে গেলাম।
(পরে শুনলাম কানে নাকি একটা কম শুনে!!)
দু’দিন পর কলেজে। স্পেশাল কোচিংয়ের ক্লাস।
হীরা মুখ ভারী করে বলল,
- পরশু কে ফোন করেছিলি?
- কেন কি হয়েছে? (সবাই সমস্বরে)
- তোরা মনে হয় কেউ ফোন দিয়েছিলি। আব্বু নাকি জিজ্ঞেস করেছে, কে? উত্তরে বলেছিস - আমি হীরার হাজব্যান্ড!
সবাই অট্টহাসি দিয়ে উঠলো। আমি চুপ করে রইলাম।
ক্লাস শেষে হীরাকে বললাম,
- আমিই সেই হাজব্যান্ড! চল, কাজী অফিসে চল! বিয়েটা রিনিউ করি ...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।