আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ম্যাককালাম-টেলরের যুগলবন্দী

টস জিতে বোলিং নিয়ে আকর্ণ বিস্তৃত হাসিতে ড্যারেন স্যামি বললেন, ‘উইকেটে এত ঘাস জীবনে দেখিনি। ’ দিন শেষে মুখের হাসি তো মিলিয়ে গেছেই, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের মনের ভেতরটাও অনুমান করা যাচ্ছে সহজেই। ঝড়ে বিধ্বস্ত এক জনপদ। ঝড়ের নাম কিউই-ব্যাটিং!
সারা দিনে উইকেট জুটেছে ৩টি, প্রতিপক্ষের রান ৩৬৭। টস জিতে বোলিং নেওয়া অধিনায়কের মনের অবস্থা বুঝতে জ্যোতিষী হতে হয় না।

ডানেডিনের শেষ বিকেলের মরে আসা আলোর চেয়েও ম্লান দেখাল স্যামির মুখ। সেই আলোতেও দুটি মুখ ঠিকই জ্বলজ্বল করছিল। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আর রস টেলরের হাসিমুখে খেলে বেড়াচ্ছিল উচ্ছ্বাস, আনন্দ, স্বস্তি।
ক্রিকেটে দলীয় লড়াইয়ের মধ্যেও অনেক ব্যক্তিগত লড়াই থাকে। এই সিরিজে ম্যাককালাম আর স্যামির লড়াইটা নেতৃত্ব টিকিয়ে রাখার।

সাম্প্রতিক বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দুজনেরই নেতৃত্ব ঝুলছিল সুতোর ওপর। সিরিজের প্রথম দিনেই পায়ের নিচে শক্ত জমি খুঁজে পেয়ে গেলেন ম্যাককালাম। আরও আলগা হলো স্যামির সুতো।
২০১০ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ যখন টেস্টে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ম্যাককালাম, মাত্রই তখন টেস্টে কিপিং ছেড়ে দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অধিনায়ক তখন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি।

হায়দরাবাদে জহির-হরভজন-ওঝাদের বেধড়ক পিটিয়ে ২২৫ করেছিলেন সেই সময়ের ওপেনার ম্যাককালাম। এরপর পেরিয়ে গেছে ২৫ টেস্ট আর ৪৬ ইনিংস। ওপেনিং থেকে নেমে এসেছেন মিডল অর্ডারে। ভেট্টোরি থেকে টেলর হয়ে নেতৃত্ব এসেছে তাঁর কাঁধে। নিজ দেশ থেকে ঘুরেছেন পুরো ক্রিকেটবিশ্ব।

কিন্তু টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল অধরা। কদিন আগে বাংলাদেশে দুই টেস্টের তিন ইনিংসে করেছেন ২১, ২২ ও ১১। ম্যাককালামের কাছে টেস্টে সপ্তম সেঞ্চুরিটির তাই অন্য মাহাত্ম্য। ১০১ বলে সেঞ্চুরিতে ফিরে এলেন সেই দাপুটে ম্যাককালাম।
অত দীর্ঘ না হলেও অপেক্ষা ছিল টেলরেরও।

সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটি এক বছরের বেশি আগে। কলম্বোর সেই সেঞ্চুরির সময় ছিলেন অধিনায়ক। বিতর্কিতভাবে অধিনায়কত্ব হারানোর সঙ্গে হারিয়ে গিয়েছিল সেঞ্চুরিও। চতুর্থ উইকেটে বর্তমান ও সাবেক দুই অধিনায়কের ১৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি, যাতে ওভারপ্রতি রান এসেছে ৪.৭২ করে। দুজনের তাণ্ডবে শেষ সেশনে ১৭৩ রান!
টেলর-ম্যাককালামদের জন্য ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার।

বাংলাদেশে চরম ব্যর্থ হামিশ রাদারফোর্ড চেনা কন্ডিশনে ফিরেছেন চেনা আক্রমণাত্মক রূপে। ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে এই বাঁহাতি ওপেনারেরই ৬২। নিজের মতো ধীরস্থির খেলেই ফুলটন করেছেন ৬১। থিতু হয়েও বড় কিছু করতে পারেননি পাঁচ বছর পর টেস্ট দলে ফেরা অ্যারন রেডমন্ড (২০)।
ঘাস দেখে স্যামি যেমন ভেবেছিলেন, উইকেট মোটেও তেমন পেস সহায়ক নয়।

সুইং মিললেও ধারাবাহিকভাবে জায়গামতো বলই ফেলতে পারেনি ক্যারিবিয়ান বোলাররা। ওয়েবসাইট।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।