আমি জানি আপনি ভালো । কিন্তু আমি আপনার মত ভালো না ! কেন জানি মনে হয় আমি কারো যোগ্য না - আজ হয়তো আমরা অনেকেই ভুলে গেছি ফেলানির কথা , মনে পরে আপনাদের বি এস এফের নির্মম অত্যাচারের পর কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল ফেলানির মৃত দেহ । আমরা ভুলে গেছি এমন অনেক ফেলানির কথা , শুধু ফেলানি নয় ২০১১ এবং ২০১২ জরীপ নাই বা দিলাম দেখেন মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের অনুসন্ধান অনুযায়ী গত ১০ বছরে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিক খুন হয়েছে ৯২২ জন। এর মধ্যে ২০১০ সালে ৭৪ জন, ২০০৯ সালে ৯৮ জন, ২০০৮ সালে ৬২ জন, ২০০৭ সালে ১২০ জন, ২০০৬ সালে ১৪৬ জন, ২০০৫ সালে ১০৪ জন, ২০০৪ সালে ৭৬ জন, ২০০৩ সালে ৪৩ জন, ২০০২ সালে ১০৫ জন । আর কত আমরা নীরবে সহ্য করবো এই পৈশাচিকতা ??
আমরা আজ শুধু জানতে চাই জাতির বিবেক বান মানুষ গুলোর কাছে , কেন আমাদের সীমান্তের মানুষ গুলো আজও বি এস এফের অত্যাচারের কাছে মাথা নত করে বাঁচতে হয় ?? কেন আমাদের এত প্রতিবাদের পরও আমাদের সরকার বা তার কর্মরত কর্মচারী গুলো নীরব ?? যেখানে মানবাধিকার কর্মী গুলো আমাদের মত গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে বন্ধ করেন এই হত্যা জজ্ঞ সেখানে কেন আমাদের সরকার প্রধান গুলো চুপ করে দেখে যাচ্ছে এই নির্মম পৈশাচী হত্যা গুলো ।
তবে কি আমাদের উপরস্তু কর্ম কর্তাদের নির্দেশেই পরিচালিত হচ্ছে এই মরণ খেলা । যদি তাই না হবে তবে কেন প্রতিদিন এমন একজন দুজন করে তাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে আর আমরা হাত গুঁটিয়ে তা দেখে যাচ্ছি ? কেন আমরা কিছুই করতে পারছি না ? আমরা সাধারণ মানুষ কি করতে পারবো এই প্রতিবার বা মানববন্ধন ছাড়া ? কিন্তু এত প্রতিবাদ করার পরও কেন আমলে নিচ্ছে না সরকার ? কেন এখন পর্যন্ত
আমরা দেখিনি মন্ত্রণালয় কৃত কোন উদ্যোগ ? কেন এখন পর্যন্ত আমরা দেখিনি একটা জোড়াল প্রতিবাদ সরকারের কাছ থেকে ??
আমরা কোন রাজনৈতিক কর্মী বা রাজনীতিবিদ নই , আমরা এই দেশের নাগরিকত্তের দাবীতে বাংলাদেশী হয়ে বলছি, সরকার প্রধানরা একটা কিছু করেন আপনার । আমরা যে আর একটা লাশ দেখতে চাই না । আমরা যে আর খবরের পাতা খুলে দেখতে চাই না আজও একটা ফেলানি ঝুলে আছে ভারতের সীমান্তে । ।
।
ধন্যবাদ সবাই কে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।