আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবের ভুল, বাংগালীরা ক্ষতিগ্রস্ত

ইকোনোমিস্ট

১৯৮১ সাল থেকে ২০১৩ সাল(আজ অবধি) শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি, শুধু এ ইতিহাসটুকু কি বলে? যে পার্টির প্রতিস্ঠা করা হয়েছিল বাংগালীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিস্ঠা করার জন্য, সে পার্টির এ অবস্হা হলে, সেই জাতির অবস্হা কি হয়েছে? ১৯৪৯ সালে এ পার্টি প্রতিস্ঠার সময়, যাঁরা কর্ণধার ছিলেন, দু'জনেই প্রাকৃতিক সমাজতান্ত্রিক মনোভাবের মানুষ ছিলেন। ষেই বিক্যাত মানুষদের দলকে কুক্ষিগত করে শেখ হাসিনা এ জাতিকে গালাকাটা ক্যাপিটেলিজমের মাঝে নিয়ে, আজকের এ ভয়ংকর সমস্যার জন্ম দিয়েছে। শেখা মুজিবর রহমান ১৯৬৩ সালে, হোসেন শহীদ সরওয়ারদীর মৃত্যুর পর, এই পার্টির প্রধান হন, ১৯৭৫ সালে উনার মৃত্যু অবধি তিনি সেই পদ ছাড়েননি, এটাও ভয়ংকরভাবে অস্বাভাবিক ছিল; তাঁর মৃতয়ুর কারণের মাঝে এটিও একটা ফ্যাক্টর ছিলো। শেখ মুজিবর রহমান নিঃত না হলে, বাংগালী জাতি বিশ্ব আজ অনেক উপরের অবস্হানে থাকতো, কিন্তু অনেকগুলো ভুলের মুখে তিনি সঠিক ব্যবস্হা নিতে পারেননি। আধুনিক বিশ্বের রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার কোন দক্ষতা শেখ হাসিনা কোনদিন দেখাননি; কিন্তু পদ দখল করে রেখে, চারিপাশে ভুয়া আওয়ামী লীগের সৃস্ট করে তিনি বাংগালীদের শক্তিশালী রাজনৈতিক দলকে প্রহসনে পরিণত করেন। তিনি পার্টিকে দুর্বলভাবে পরিচালনার ফলে, পাকি আইএসআই এর সাহায্যে গড়ে উঠা পাকিপন্হী বিএনপি আজ আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দী ও বাংগালী জাতীয়তাবাদের জন্য গড়ে তোলা পার্টিকে নাজেহাল করছে। শেখ হাসিনাকে সরায়ে দিয়ে তোফায়েল আহমেদসহ পুরানো আওয়ামী লীগারদের উচিত, পার্টিকে ১৯৭৫ সালের পজিশনে নেয়া।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।