আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপস করলেন আরফিন রুমি

কথায় আছে, গাধা নাকি পানি ঘোলা করে খায়।

ঠিক এ রকম কাজটি করলেন সাম্প্রতিককালের আলোচিত ও বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমি। অবশেষে প্রথম স্ত্রী অনন্যার সব শর্ত মেনে নিয়ে আপস করার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। গত ১২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন অনন্যা। অভিযোগ ছিল- তাকে নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য মানসিক চাপ প্রয়োগ।

সে সময় একটি আপসনামার ভিত্তিতে জামিন দেওয়া হয় রুমিকে। এর পর গত ১১ নভেম্বর এ মামলার শুনানি হয়। সে সময় আইনি মারপ্যাঁচ থেকে বের হওয়ার প্রত্যাশা রাখেন এ সংগীতশিল্পী। কিন্তু দাবি অনুযায়ী আপসে না এলে কোনো ছাড় দেবেন না বলে জানিয়েছেন অনন্যা। আজ আদালতে দুই পক্ষের শুনানি শেষে পরবর্তী তারিখ দেওয়া হয় ২৪ ডিসেম্বর।

শেষ পর্যন্ত আজ কোর্ট প্রাঙ্গণে আপসে আসার সিদ্ধান্ত নেন রুমি। এমনকি আগামী ২৪ ডিসেম্বরের আগে আপসনামা অনুযায়ী অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান ও চুক্তিনামার অন্যান্য শর্ত পূরণ করবেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুমির প্রথম স্ত্রী অনন্যা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আদালত শুরুর আগে অনেকটাই হাস্যোজ্জ্বল ছিল রুমি ও তার পরিবারের চেহারা। কিন্তু আদালত শেষ হওয়ার পরেই পাল্টে যায় তাদের চেহারার বর্ণ, হয়ে ওঠে ফ্যাকাসে। কারণ আদালত শুরু ও শেষ হওয়ার মাঝের এই সময়টাতে রুমির পরিবার অনুধাবন করতে পারে যে এই মামলা থেকে সহজেই মুক্তি মিলছে না তাদের।

বিশেষ করে আদালতে উপস্থিত অন্য আইনজীবীরাও এ মামলার পরিণতি সম্পর্কে তাদের ধারণা দেন। এতে করে হুঁশ হয় রুমির। অনন্যা আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে আপস না করলে রুমির বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এমনকি নতুন করে দেওয়া যাবে তিনটি মামলা। এ ছাড়া আজ আমি রুমিদের বাসায় যাব।

সেখান থেকে আমার নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র আনার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে রুমির বিরুদ্ধে আজ রিমান্ড চেয়েছিল মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। কারণ রুমি জানিয়েছিলেন, তারা ৪ নম্বর মৌলভীবাজার, চকবাজার, ঢাকার যে বাসায় থাকে সেটা অস্থায়ী। প্রকৃতপক্ষে এটি তাদের স্থায়ী ঠিকানা। সম্পদের পরিমাণ গোপন করার কারণে রিমান্ড চায় পুলিশ।

কিন্তু আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। উল্লেখ্য, একটি আপসনামার ভিত্তিতে রুমিকে জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উল্লেখ ছিল, সন্তান আরিয়ানের ভরণপোষণের জন্য রুমি অনন্যাকে ২০ লাখ টাকা প্রদান করবে, যা ব্যাংকে ডিপোজিট করে রাখা হবে। এ ছাড়া অনন্যার সঙ্গে সে আর খারাপ ব্যবহার করবে না। অধিকার দেবে স্ত্রীর প্রকৃত মর্যাদার।

সবচেয়ে মজার কথা, অনন্যারা তাদের কাছে যায়নি। রুমির গোটা পরিবার অনন্যাদের বাসায় গিয়ে অনেক কাকুতি-মিনতি করে রুমির জামিনের জন্য অনুনয়-বিনয় করেন। এমনকি এসব শর্তাবলি লেখার সময় সিডি চয়েজের এমদাদ ভাই, প্রিন্স ভাই, কাজী শুভ, ইলিয়াস, খেয়া, আরমান উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া রুমির ব্যান্ড দলের মামুন, লিটন ও শান্তরাও ছিলেন। এরাও এ শর্ত সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।