আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষ নয়, ম্যাসিভ স্ট্রোকেই মৃত্যু হয়েছিল আরাফাতের!

প্যালেস্তাইনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইয়াসের আরাফাতের মৃত্যু তেজষ্ক্রিয় বিষক্রিয়াতে হয়নি। ফরেনসিক তদন্তের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, আরাফাতের মৃত্যু হয়েছিল ম্যাসিভ স্ট্রোকে। মঙ্গলবার রিপোর্টটি আরাফতের স্ত্রী সুহার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

গত মাসে আরাফাতের দেহ কবর থেকে তুলে রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়। এরপরই প্যালেস্তাইন জানায়, বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের।

অভিযোগ ওঠে, মৃত্যুর জন্য দায়ী ইজরায়েল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করে। কিন্তু মঙ্গলবার নতুন রিপোর্টের পর পরিস্থিতি বদলে যায়।  

২০০৪ সালে প্যালেস্তাইনের সেনা হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতের। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ কয়েক মাস আরাফাতকে রামাল্লায় অবরোধ করে রেখেছিল ইসরাইলের সেনা।

মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে বিষপ্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে তাকে। যদিও সেই সময় তার স্ত্রী সুহার অনুরোধে আরাফতের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়নি। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে নভেম্বরেই আরাফতের দেহাবশেষ কবর থেকে তুলে শুরু হয় রাসায়নিক পরীক্ষা।

পরীক্ষার পর সুইডেনের বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দেন, আরাফাতের দেহে মিলেছে মাত্রাতিরিক্ত পোলোনিয়াম টু ওয়ান জিরো, এবং সিসা টু ওয়ান জিরো যা বিষক্রিয়ার দাবিকেই জোরালো করে। সেই সময় বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, কোনও পানীয়র সঙ্গেই হয়তো মেশানো হয়েছিল বিষ।

এরপরই অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পিছনে রয়েছে ইজরায়েলের হাত। ইজরায়েলের পক্ষ থেকে ঘটনাটি অস্বীকার করা হলেও প্রভাব পড়ে কূটনৈতিক সম্পর্কে। ঘটনার পরই পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তোলে ইয়াসের আরাফাতের দল প্যালেস্তাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন। ফের তদন্ত শুরু করে প্যালেস্তাইন। এরপর মঙ্গলবার এক প্রেস কনফারেন্সে ফরেনসিক বিভাগের তরফে জানানো হয় বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়নি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আরাফতের।

ম্যাসিভ স্ট্রোকের ফলেই মৃত্যু হয়েছিল তার।

এদিকে, সুহা আরাফাত জানিয়েছেন, তিনি এই ঘটনার জন্য কাউকে দায়ী করেন না। শুধু চেয়েছিলেন সত্য উদঘাটন করতে। ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে আসায় ইজরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে কিছুটা হলেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।