এসো ভাই , তোলো হাই , শুয়ে পড়ো চিত, অনিশ্চিত এ সংসারে এ কথা নিশ্চিত - জগতে সকলই মিথ্যা , সব মায়াময়, স্বপ্ন শুধু সত্য আর সত্য কিছু নয়। : ফেলানী? ...উমমম কোন ফেলানী। ছোট বেলায় বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানীর নাম শুনেছি, কিন্তু ফেলানীর নামতো শুনেছি বলে মনে পড়ছে না।
: কেন ওই যে দুই বছর আগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে যাকে বিএসএফ গুলি করে মেরেছিল, কাঁটা তারে ঝুলেছিল তার লাশ।
: হুমম আপনি যখন বলছেন হবে হয়ত কোন গরু চোরাচালানী।
ওহ ইয়ে...আপনি কি যেন বলেছিলেন চোরাচালানী নাকি ফেলানী....
: ...না না চোরাচালানী হতে যাবে কেন আমিতো ফেলানীর কথা বলেছি। ওইযে ছোট মেয়েটা যার মৃর্ত্যু নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল। তার মৃর্ত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আর ভারতের সাইবার আর্মিদের মধ্যে সাইবার ওয়ার পর্যন্ত হয়েছে। এখন মনে পড়ছে?
: কি জানি, আপনারা মিডিয়ার লোকজন কেন যে এসব ছোটখাটো তুচ্ছ বিষয় নিয়া আমাদের সময় নষ্ট করতে আসেন বুঝিনা। আমাদের দৃষ্টি সামনের দিকে দেশের ভবিষ্যতের দিকে।
দু বছর আগের কোথাকার কোন মেয়ে মরল তা নিয়ে সময় নষ্ট করা আমি একদমই পছন্দ করিনা। আর যদি সে মরেও থাকে তাহলে নিশ্চিত ধরে রাখুন সেটা বিএসএফ ইচ্ছাকৃত ভাবে গুলি করে মারেনি। তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছিল। কারণ পাশ্ববর্তী দেশের সাথে আমাদের একটা বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক আছে। তাদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সীমান্তে আর কোন মানুষ হত্যা হবেনা বলে উনারা আমাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
: কিন্তু তারপর কি সীমান্তে (বাংলাদেশী নিরিহ) মানুষ হত্যা বন্ধ হয়েছে?
: দেখুন সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের মত বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনিটরিং করা একটা গণতান্ত্রিক সরকারের কাজ না। নেত্রীতো বলেই দিয়েছেন আমরা কারও বেডরুম পাহারা দিতে পারবোনা, সীমান্ত তো দূরের বিষয়। আর এটা কেমন কথা? দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি হলেও আমাদের দোষ দেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস,জ্বালানী তেল এর দাম বাড়ালেও আমাদের দোষ দেন। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্ররা মারামারি করলেও আমাদের দোষ। টাঙ্গাইলে একটা মেয়ে গণধর্ষণের শিকার সেটাও আমাদের দোষ।
বিশ্বজিত মারা গেল সেটা ও আমাদের দোষ। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক টাকা দেয়নাই সেটাও আমাদের দোষ, হ্যান-ত্যান যা ই ঘটুক সব আমাদের দোষ দিলে আমরা কি করতে পারি।
: না মানে একটা দেশে সরকারই তো এসব বিষয়ে জনগণের চাওয়া পাওয়া, মৌলিক অধিকার এর নিশ্চয়তা দেবে তাই নয়কি?
: আরে বাবা আপনারাতো আমাদেরকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার সময়ই দিচ্ছেন না। কোথায় কি হল না হল কে কিভাবে মরল, এই সমস্ত সিলি বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আমাদের নাই। আমরা ব্যস্ত দেশ ও জাতীর উন্নয়নে।
আর যদি এইসব ছোট খাটো বিষয় নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে বলেন, তাহলে বলবো আমাদেরকে আগামী টার্মে আরো একবার দেশ চালাতে সুযোগ দিন সব হবে ইনশাল্লাহ। ঘরে ঘরে চাকুরী, ১০ টাকায় চাল এসবের প্রক্রিয়া আমরা শুরু করতে যাচ্ছি। আগামীবার আবার ক্ষমতায় আসলেই বাস্তবায়ন হবে। আর ওই যে কি বললেন জিলানী না ফেলানী সে যদি মরে থাকে সেটার সুষ্ঠ তদন্ত করে আগামী টার্মে আমরা তার পরিবার কে এককালীন ২০ হাজার টাকা দেব। এখন রাখি উন্নয়নের ৪ বছর পূর্তির একটা জনসভা আছে সেখানে যেতে হবে।
জয়...... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।