আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলে গেলেন নেলসন ম্যান্ডেলা

দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট অবিসংবাদি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা আর নাই। সারা বিশ্বকে কাঁদিয়ে ৯৫ বছর বয়সে চলে গেলেন এ পৃথিবীর মায়া ছেড়ে।

ফুসফুসের সঙ্গে দীর্ঘ শেষ লড়াইয়ের ইতি টেনে জীবন-মৃত্যুর সীমারেখা অতিক্রম করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ইতিহাসে কিংবদন্তী দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা বৃহস্পতিবার জোহানেসবার্গে তার বাড়িতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা।

টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জুমা বলেন, প্রিয় দেশবাসী, আমাদের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট, আমাদের সবার প্রিয় নেলসন রোহলিহলা ম্যান্ডেলা চলে গেছেন।

নিজের বাড়িতেই শান্তিপূর্ণভাবে তিনি মারা গেছেন। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হবে। তিনি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেন।

এদিকে খবর প্রকাশ পরপরই তার বাসভবনের সামনে ফুল, কার্ড ও প্লাকার্ড নিয়ে জড়ো হতে শুরু করে ভক্তরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ ম্যান্ডেলা ২৭ বছরের কারাজীবন থেকে বেরিয়ে বর্ণভেদে রক্তাক্ত দেশটিকে গণতন্ত্রের পথ ধরিয়েছিলেন।

মাদিবা নামে ভক্তদের কাছে পরিচিত ম্যান্ডেলার উত্থান অজ গ্রামীণ জীবন থেকে। সেখান থেকেই তিনি আন্দোলণ শুরু করেছিলেন সংখ্যালঘু শক্তিমান শ্বেতাঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে। তার সেই তুলনারহিত সংগ্রাম তাকে দাঁড় করিয়েছে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে শ্রদ্ধাস্পদ ও ভালবাসার অন্যতম এক নেতা হিসেবে।

৩০ বছরের সংগ্রামের পরে দেশটিতে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা সংখ্যালঘু শ্বেতাঙ্গরা ধীরে ধীরে নমনীয় হতে শুরু করলে দেশ পুনর্গঠন ও ক্ষমা ঘোষণা করার ক্ষেত্রেও বিলম্ব করেননি মহান এই নেতা।

১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার সব জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে প্রথম নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।

১৯৯৯ সালে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ নেতা এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্কের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি বলেছিলেন, আমার সারাজীবন আমি উৎসর্গ করেছি আফ্রিকার জনগণের সংগ্রামের প্রতি। আমি লড়েছি শ্বেতাঙ্গ শোষণের বিরুদ্ধে, আমি লড়েছি কৃষ্ণাঙ্গ শোষণের বিরুদ্ধেও।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।