সাইকোলজিক্যাল হরর মুভিগুলোর প্রথম পাঁচটির মধ্যে অবশ্যই থাকবে এমন একটি ‘দ্য সিক্সথ সেন্স’। অন্তত আমার লিস্টে উপরের দিকেই থাকবে! ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই মুভি পরিচালনা করেছেন ভারতীয় বংশদ্ভূত পরিচালক এম নাইট শ্যামালান। কাহিনীও তার নিজের লেখা।
ESP বা Extrasensory Perception যার বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি! ESP কে সিক্সথ সেন্স হিসাবেও নামকরণ করা হয়। কিছু কিছু মানুষ এই ক্ষ্মতার অধিকারী হয়ে থাকে।
তারা স্বাভাবিক-সাধারণ এই পৃথিবীর বাহিরের এক জগতের সন্ধান পায়। ব্যাখ্যার অতীত এই ক্ষমতার অস্তিত্ব অবশ্য আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করে না। এমন ক্ষমতার একজনকে নিয়েই 'দ্য সিক্সথ সেন্স' মুভির কাহিনী আবর্তিত হয়। কোল সিয়ার নামের নয় বছরের এই ছেলের দাবি সে মৃত ব্যক্তিদের দেখতে পায়, তাদের সাথে সে যোগাযোগ করতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই সে বন্ধুবিহীন হয়ে পরে।
অদ্ভূত কিছু ঘটনা ঘটতে থাকে তাকে ঘিরে।
ড. ম্যালকোম ক্রো যিনি একজন চাইল্ড সাইকোলোজিস্ট তিনি কোলের ব্যপারে বেশ আগ্রহ দেখায়। এই ধরণের রোগী নিয়ে সে আগেও কাজ করেছে। এমনি একজনের দ্বারা মুভির শুরুতেই সে আক্রমণের শিকার হয়। সাইকোলজিক্যাল দিক থেকে তার কাছে মনে হতে থাকে নিশ্চয়ই কোল ডিল্যুশনে ভুগছে।
কোলের সাথে সে আরো বেশী সময় কাটাতে থাকে, বুঝতে চেষ্টা করে তার সমস্যা। কোল ধীরে ধীরে তার সমস্যাগুলো ক্রোকে বলতে থাকে। সে তার চারপাশে সবসময় মৃত মানুষ দেখতে পায়। তারা হয়তো কোনো এক সময় সেই স্থানে ছিল। কিন্তু মৃত মানুষগুলো একে অন্যেকে
দেখতে পায় না, তারা শুধু তাই দেখতে পায় যা তারা মনে প্রাণে চায়।
কিন্তু কোল বুঝতে পারে না তাকে সবসময় মৃত মানুষগুলো কেন তাকে ভয় দেখায়, কি প্রয়োজন তাদের? কোল ক্রোর কাছে সাহায্য চায়। এই অবস্থা থেকে সে মুক্তি চায় কিন্তু কিভাবে সে জানে না। এমন সময়ে ড. ক্রো তার দাম্পত্য জীবন নিয়ে খুব হতাশার মধ্যে পড়ে যায়। তার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী হটাৎ করে যেন অন্য রকম হয়ে গেছে। তার প্রতি কোনো ধরণের আগ্রহ নেই।
মানসিকভাবে সে নিজেই বিপর্যস্থ।
যদিও ক্রো প্রথমে কোলের কথা বিশ্বাস করেনি তবে শেষ পর্যন্ত তার কথা সত্য ধরেই এগিয়ে যেতে থাকে। কোল মুক্তি পেতে থাকে তার অমানুষিক এক ভীতি আর উৎকণ্ঠা থেকে। কিন্তু ক্রোর স্ত্রী কেন তাকে এড়িয়ে চলে, কেন একটি কথাও তার সাথে বলে না কোল তাকে একটি সমাধান দেয়। আর সমাধান সম্পূর্ণই অপ্রত্যাশিত।
পুরো মুভি এক নিঃশ্বাসে দেখে নেবার মত। আর কাহিনীর শেষটায় অবশ্যই চমকাতে হয়। কোল চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে হেইলি জোল অজমেন্ট আর ড. ক্রো চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রুস উইলিস। ক্রিটিকদের কাছে যেমন এই মুভি হাই রেটিং পাওয়া তেমনি ব্যবসায়িক দিক থেকেও ব্লকবাস্টার। ৪০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই মুভি আয় করে ৬৭২ মিলিয়নেরও বেশী।
আইএমডিবি রেটিং ৮.২ এবং রোটেন ট্যোমেটোতে ৮৫% ফ্রেশ রেটিং।
ডাউনলোড লিংকঃ
টরেন্টঃ
[link|http://torcache.net/torrent/1BA5018C8278ABEC06F8C024D734083E462352C4.torrent?title=[kickass.to]the.sixth.sense.1999.1080p.bluray.x264.anoxmous|দ্য সিক্সথ সেন্স ১০৮০পি টরেন্ট লিংক]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।